সালেহীন সোয়াদ সাম্মী, মধুখালী (ফরিদপুর)
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৩:৩৬ পিএম
মধুখালীতে জমজমাট আনারসের বাজার
রমজান মাসজুড়ে ফরিদপুরের মধুখালীর বাজারে উঠেছে নানান জাতের আনারস। আর ক্রেতারাও এসব আনারস কিনছেন বেশ আগ্রহ নিয়েই। কারণ সারাদিনের রোজার ক্লান্তি দূর করতে ইফতারে টক-মিষ্টি স্বাদের বিভিন্ন ফলের জুড়ি নেই। সে হিসেবে মাল্টা, কমলা আর আপেলের পাশাপাশি রোজাদারদের কাছে পছন্দের তালিকায় রয়েছে রসালো ফল আনারস। শুক্রবার সকালে মধুখালী মধুবন মার্কেটের সামনে ঘুরে দেখা গেছে, তিনটি স্থানে ১৫টি থেকে ২০টি ভ্যানগাড়িতে আনারস সাজানো হয়েছে। এগুলো ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করা হবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
একেক স্থানে একেক জাতের ছোট, মাঝারি এবং বড় আকৃতির আনারস রয়েছে। তবে অধিকাংশ আনারসই দেখতে পাকা লালচে এবং সুমিষ্ট ঘ্রাণ সমৃদ্ধ। বিক্রেতারা জানান, মে-জুলাই মাস আনারসের মৌসুম হলেও রোজার জন্য বাণিজ্যিকভাবে আগাম আনারসের চাষ করা হয়। আর এখনকার আনারসের অধিকাংশই টাঙ্গাইলের মধুপুরের আগাম জাতের আনারস। এরসঙ্গে রয়েছে রাঙামাটি ও সিলেটের পাহাড়ি আনারস। পাহাড়ি আনারসকে হানিকুইন আনারসও বলা হয়। এছাড়া গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকেও আগাম চাষ করা কিছু আনারস ঢাকার বাজারে রয়েছে।
আনারসের দাম সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, খুচরা বাজারে আনারস জোড়া এবং সিঙ্গেল হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় আকৃতির মধুপুরের আনারস জোড়া ১৬০ টাকা এবং প্রতিটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুধুপুরের মাঝারি ও ছোট আকৃতির আনারস ৪০-৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর পাহাড়ি হানিকুইন জাতের আনারস অধিকাংশই ছোট আকৃতির। এগুলো প্রতিটি ২০-৩০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে দাম যেমনই হোক দিনভর বেশ ভালোই আনারসের বিক্রি হচ্ছে বলে জানান গোন্দারদিয়া গ্রামের ভ্যানগাড়িতে করে ফলবিক্রেতা মো. আকুব্বর। তিনি বলেন, এই মৌসুমে সাধারণত গরমের কারণে রসালো ফল আনারসের চাহিদা বাড়ে। তবে রোজার দিন হওয়ার ফলে সারাদিন বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। বিকেলে বিক্রি আরও বাড়বে। ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বিক্রি হয়। চাহিদা বেশি থাকায় ভ্যানগাড়িতেও বিভিন্ন জাতের আনারস বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেক বিক্রেতাকে।
মশিউর নামের এক বিক্রেতা বলেন, ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করলেও আমাদের বাড়তি কষ্ট আছে। বেশিরভাগ মানুষই আনারস কেট নিতে চাইছেন। আবার অনেকেই লবণ কিংবা কাসুন্দি মিশিয়ে দিতে বলেন। আমরাও তেমনই যোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে অন্য সময়ের তুলনায় আনারসের বিক্রি অনেক ভালো বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ক্রেতারাও বলছেন, সারাদিন রোজা রাখার পর আনারস শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য দাম বেশি থাকলেও নানান ফলের ভিড়ে আনারসের চাহিদাই ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা বেশি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ