আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও ঈদের ছুটি টানা ৯ দিন
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীও একই সুবিধা পাবেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ০৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো ফাইন্যান্স কোম্পানিও বন্ধ থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশায় (সিএনজি) ব্যবহার উপযোগী গ্রাভিটন সিরিজের নতুন সাত মডেলের কার ব্যাটারি বাজারে এনেছে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন। জাপানিজ স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি সিলড মেইনটেনেন্স ফ্রি ওয়ালটনের কার ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। যা উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি গাড়ি ব্যবহারকারীদের দেবে রাস্তায় নিরাপদে অবিরাম চলার শক্তি।সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের কার ব্যাটারিগুলো উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক জাকিয়া সুলতানা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি।এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ওয়ালটন ব্যাটারির শতাধিক ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর উপস্থিত ছিলেন।বাজারে নিয়ে আসা ওয়ালটনের কার ব্যাটারির নতুন মডেলগুলো হলো- গ্রাভিটন এন৫০জেড, গ্রাভিটন এন৫০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৪০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৬০এল, গ্রাভিটন এনএস৭০, গ্রাভিটন এএক্স১২০-৭ এবং গ্রাভিটন এনএক্স১২০-৭ এল। প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ওয়ালটনের এসব গাড়ির ব্যাটারি ৮ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। সারাদেশে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে এসব ব্যাটারি।অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটন এখন শুধু একটি নাম নয়; এটি একটি জাতীয় ব্র্যান্ড। একটি প্রতিশ্রতি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সাফল্যের প্রতীক। স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ সব ক্ষেত্রেই ওয়ালটন এখন দেশের গর্ব। নিজস্ব কারখানায় তৈরি সিলড মেইনটেন্যান্স ফ্রি কার ব্যাটারি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওয়ালটনের নিরন্তর এই অগ্রযাত্রায় আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হলো। এটি আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং সক্ষমতা, গবেষণা দক্ষতা, এবং গ্রাহকের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতারও প্রতিফলন।তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে লো-মেইনটেন্যান্স কার ও কমার্শিয়াল ভেহিকেল ব্যাটারি, সোলার ও আইপিএস ব্যাটারি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি জানান, দেশে গাড়ির ব্যাটারির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৫ লাখ ইউনিট এবং বাজারের আকার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। সম্ভাবনাময় এই বাজার চাহিদা পূরণে কয়েক বছর ধরে কার ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের আরঅ্যান্ডআই টিম।অনুষ্ঠানে ব্যাটারির উৎপাদন প্রক্রিয়া, গ্রাভিটন ব্যাটারির ফিচার, গুণগত মান ও প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেকের সিইওর বিজনেস কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল আসিফ এবং ওয়ালটন ব্যাটারির রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নাহিদ আল মাহমুদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে। সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ১,৫৭৫ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দরপতনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনা এখন ১,৭০,৫৫১ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৬২,৭৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১,৩৯,৫৪৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১,১৫,৩৯২ টাকা প্রতি ভরি।বাজুস জানিয়েছে, নতুন এই মূল্য তালিকা আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। এর আগে সোমবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ১,৭২,১২৬ টাকা প্রতি ভরি।এদিকে, সোনার দামে পরিবর্তন এলেও রুপার বাজার স্থির রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার ভরিতে দাম ২,৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেট ২,৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২,২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১,৭২৬ টাকা ভরিতে বিক্রি হচ্ছে। ভোরের আকাশ/হ.র
ঝুঁকি ও ব্যবসার ধরন বিবেচনায় দেশের ৬১টি ব্যাংককে ১২ গ্রুপে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সোমবার (৭ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, ২০টি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ২০২৬ এর জানুয়ারি থেকে ব্যাংক রিস্ক বেইসড সুপারভিশন শুরু হবে।তিনি বলেন, আর্থিকভাবে রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলায় রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি নজরদারি দিয়ে সম্ভব নয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনিয়ম, লুটপাট ও রাজনৈতিক প্রভাবের ছায়ায় ক্রমেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকায়, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫.৩১ শতাংশ।২০২৫ সালের মার্চ শেষে এনবিএফআইগুলোর মোট ঋণ স্থিতি ছিল ৭৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এক বছর আগের একই সময়ে (২০২৪ সালের মার্চ) খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে জামানত ছাড়াই বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে। অনেক গ্রাহকের আর কোনো খোঁজ নেই, ফলে ঋণ ফেরত না আসায় প্রতিষ্ঠানগুলো আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে।এই খাতের বিপর্যয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা পিপলস লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন মারাত্মক খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বিআইএফসি ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপির হার ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।এছাড়াও, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স ও আভিভা ফাইন্যান্সসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খেলাপির হার ৮০-৯০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, অনেকেই কার্যত দেউলিয়া হওয়ার পথে।অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এনবিএফআই খাতের এই গভীর সংকট দেশের সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়বে, আর সাধারণ আমানতকারীরা হারাবেন তাদের সঞ্চিত অর্থ।১৯৮১ সালে আইপিডিসির মাধ্যমে দেশে প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ৩৫টি এনবিএফআই রয়েছে, যেগুলোর লাইসেন্স ও নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৪-এর আওতায় পরিচালিত হয়। তবে এত বিধিনিষেধের মধ্যেও মাত্র চার থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানই ৫ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র