ছবি: সংগৃহীত
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যারা টাকা পাচার করে তারা সব বুদ্ধি জানে, কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছি।
তিনি বলেন, এই ফরমালিটি কোনো সরকার অ্যাভয়েড করতে পারবে না। মনে করেন, আমি বললাম টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংকে। সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও, দেবে না তো। ওটা আপনার লিগ্যাল ওয়েতে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন ১১-১২টা আমরা একেবারে হাই প্রায়োরিটিতে দেখছি। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদেরকেও ধরা হচ্ছে।
এ সময়ও কিছু অর্থ পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আচ্ছা কিছুদিন পরে দেখি। একটা রিভিউ আমরা করছি। দেখি কতটুকু আনা যায়। আপনারা জানেন অলরেডি অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে বাহিরের কতগুলো দেশে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় অ্যাকাউন্ট আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে সেটার তথ্যও আছে। এখন বাকি একটু কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গত দুদিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাজারে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে মাছ ও সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে।বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। রুই মাছের কেজি ৩৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪২০ থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা। দেশীয় মাছ যেমন টেংরা, শিং, কই ইত্যাদির দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর রামপুরা বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। আর আজ সেই সবজির দাম আরও বেড়েছে। বাজারে যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে, যে যার মতো করে সবজি বিক্রি করে— তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খাবে? যেকোনো অজুহাতে তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ আমরা কখনো দেখতে পাই না।মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, আজকে বাজারে সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। দোকানিরা বলছেন বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বাড়তি। অথচ গত তিন মাস ধরে সবজির দাম বেড়েই যাচ্ছে। যে যার মতো করে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করছে। আজ এসে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির জন্য সবজির দাম বেশি, কিন্তু তাহলে এতদিন ধরে সবজির দাম এত বাড়তি ছিল কেন?সবজির দামের বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে বৃষ্টির কারণে আজ সবজির দাম বাড়তি। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির এখন মৌসুম শেষ হয়েছে, নতুন করে সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত সবজির দাম এমন বাড়তি থাকবে। আবার যে সবজি ক্ষেতে রয়েছে, সেগুলো গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে সেই প্রভাব পড়েছে বাজারে। বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন থাকে, তাহলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। একই সঙ্গে ফেসবুক পেজের প্রোফাইল ও কভার ছবি চেঞ্জ করে একটি হুমকিপূর্ণ বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ব্যাংকটির অফিসিয়াল পেজের এক পোস্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হ্যাকার গ্রুপ।এদিন ব্যাংকটির ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখা যায়, পেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়নি। এর প্রোফাইল ও কভার ফটো পরিবর্তন করে হ্যাকার গ্রুপটির ছবি দেওয়া হয়েছে।হ্যাকার গ্রুপ দাবি করেছে, ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণ চালানো হবে। বার্তায় ‘Team MS 47OX’-এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।হ্যাক হওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আজকে ভোরে ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংকের আইটি বিভাগ কাজ করছে।এদিকে এ ঘটনার পর ব্যাংকের গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ওই সময় ব্যাংকের ফেসবুক পেজে অস্বাভাবিক কিছু পোস্ট দেখা গেছে। তবে এ ঘটনায় ব্যাংকের অনলাইন সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দেশের মানুষের সুষম উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যমান আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন বৈষম্য দূরীকরণে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত ও গতিশীল করতে বাজেট বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেসব দ্রুত দূর করার এবং বাস্তবায়ন কর্মকাণ্ড মনিটরিং জোরদার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোন ধরনের দুর্নীতি যাতে না হয়- সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে বাজেট বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চেয়ে চিঠিতে বাস্তবায়নের আনুপাতিক হার বাড়াতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এবং প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়কে ভর্ৎসনা করা হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কোন কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন ও দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটের শতভাগ যথাযথ বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী-বাজেট বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা না হলে সরকার সেই অর্থ ফিরিয়ে নেয়। সরকার বাজেট বাস্তবায়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে কঠোরতা অবলম্বন করবে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে বাজেট বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে বাজেটের অর্থ খরচে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে বেশি পিছিয়ে রয়েছে, সেসব বিভাগে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চায় এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন বিলম্ব, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক সঙ্কট এবং ভূমি অধিগ্রহণের মতো সমস্যার কারণে অনেক সময় বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলো।তিনি জানান, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার জন্য শাস্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে, সবাই জারিকৃত পরিপত্রের বিষয়গুলো অনুসরণ করবে এবং ঠিক মতো বাজেট বাস্তবায়ন করতে তৎপর হবে।সম্প্রতি অর্থ বিভাগের এক পরিপত্রে বলা হয়- অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (৯ মাস) মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারলে শেষ অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকের অর্থছাড় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উদ্দেশে এই পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।পরিপত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বর্তমানে এমনভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করছে যাতে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজেট বাস্তবায়নের গতি বেশ ধীর, যার ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকেও থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের হার বেশি দেখা যায় চতুর্থ অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে গিয়ে। এ কারণে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই পরিপত্রে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে বাজেট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতির চিত্রও জানতে চাওয়া হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনার মধ্যে রাজস্ব আহরণ, কেনাকাটা, খরচ এবং বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রথম প্রান্তিকের সবকিছু ঠিকঠাকভাবে শেষ করতে না পারলে দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে অর্থছাড় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।এ বিষয়ে সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, এবারের পরিপত্রে অবশ্য একটি নতুন দিক লক্ষ্য করা গছে, যা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চতুর্থ প্রান্তিকের অর্থছাড় না করা-এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। তবে এভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি ঝুঁকির দিকও আছে। তখন তাড়াহুড়া করে সরকারি কেনাকাটার প্রবণতাও তৈরি হতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে- যাতে কোনরকম দুর্নীতি-অনিয়মের সুযোগ তৈরি না হয়।সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘদিনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জেঁকে বসা ‘অনিয়ম-দুর্নীতির চক্র’ এখনও পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি না অন্তর্বর্তী সরকার। প্রশাসনের কোনো কোনো স্তরে এখনও দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ কর্মকর্তারা সক্রিয় রয়েছেন বলে মনে করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে বাজেট বাস্তবায়নের হার এখনও বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কঠোর বার্তা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিমাণের দিক থেকে জুলাইয়ে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো কম।সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩২টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্ত প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এই বিপুল বরাদ্দের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংসদবিষয়ক সচিবালয়। অর্থাৎ এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার ‘শূন্য’।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাই মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগের বছরগুলোর মতো এবারও প্রস্তাবিত এডিপির ১৫টি খাতের মধ্যে পাঁচটি খাতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই পাঁচ খাত হলো-পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি এবং স্বাস্থ্য।সূত্র জানায়, বাজেট বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি মাসের মধ্যে সবাইকে বাজেট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে হবে এবং প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সবাইকে বাজেট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনও অর্থ মন্ত্রলণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সময়মতো বিভিন্ন পরিষেবা (ইউটিলিটি বিল) পরিশোধ, মেরামত, সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত, মালামাল ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অর্থবছরের শেষ দিকে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে-যা অগ্রহণযোগ্য। এসব কর্মকান্ড দুনীতি-অনিয়মকে উৎসাহিত করে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব কারণে প্রতিবছরের শেষে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ও মাথায় বহন করতে হয়। অথচ যথাযথ আগাম পরিকল্পনা করা থাকলে এসব অপরিকল্পিত ঋণ এড়ানো এবং ঋণজনিত ব্যয় অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে। অর্থাৎ বাজেটের অর্থ ব্যয় করতে পারছে না সরকার। অর্থ বিভাগের ১০ বছরের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতিবারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। আগের ধরাবাহিকতা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এজন্য বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়নের হার না বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে অর্থছাড় প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও বরাদ্দ পাওয়া অর্থ বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাযথভাবে খরচ করতে পারছে না।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রতিবছর রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশাল বাজেট প্রণয়ন করলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়া তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেককে ‘তুষ্ট’ করতে তারা বাজেটে বড় ধরণের অপ্রয়োজনীয় বরাদ্দও রাখতো। যা মুলত অনিয়ম ও দুণীতি বৃদ্ধিকে তরান্বিত করেছিল। বর্তমান সরকার এ ধরণের প্রকল্পকে প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।এছাড়া ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরনো প্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, তারপরেও বাজেট বাস্তবায়ন আশাব্যঞ্জক নয়। এ অবস্থায় বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যয়-সংকোচন নীতি ও কম গুরুত্বের প্রকল্পে কাটছাঁটের ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা কমিশন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করে। এটি গত অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম।পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয়-সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এবং আগের সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছাঁটাই করায় এবারের প্রস্তাবিত এডিপির আকার তুলনামূলকভাবে ছোট।এ ব্যাপারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশর চেয়ারম্যান ও সিইও এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, প্রস্তাবিত এডিপি চলতি বছরের মূল এডিপির চেয়ে ১৩ শতাংশ কম এবং সংশোধিত এডিপির তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ বেশি, যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, বড় এডিপি অনেক সময় মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে।তুলনামূলকভাবে ছোট এডিপি অভ্যন্তরীণ চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং রাজস্ব নীতির সঙ্গে সরকারের কৃচ্ছতাসাধন ও দুণীতি বন্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, নতুন এডিপিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও কমানো হয়েছে, যা বেশ ইতিবাচক। এ অবস্থায় এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন বিলম্ব, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা জটিলতা এবং ভূমি অধিগ্রহণের মতো নানা প্রতিবন্ধকতায় কোন কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলো বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে খরচ করতে পারে না। এ কারণে শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এ বং প্রায় প্রতিবছরই বরাদ্দকৃত অর্থেও শতভাগ ব্যয় করা বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এজন্য সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জগুলো আগেই চিহ্নিত করে সেসব দূর করার জন্য সরকারের ‘বিশেষ উদ্যোগ’ জরুরি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ৯৭৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ১ হাজার কোটি টাকার, ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে বিএসইসি।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন বিয়ারিং, ফ্লোটিং রেট বিশিষ্ট সোশ্যাল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকটি এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে আড়াই শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে নির্ধারণ করা হবে।বন্ডের পুরো অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন দিয়ে ব্যাংকের ‘টিয়ার-২’ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই বন্ডটি অনুমোদনের শর্ত হিসেবে পুঁজিবাজারের অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ট্রাস্ট ব্যাংকের আনসিকিউরিড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট বিশিষ্ট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকটি ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডের পুরো অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন দিয়ে ব্যাংকের ‘ব্যাসেল-৩’ এর অধীনে ‘টিয়ার-২’ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে।এতে বলা হয়, বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। এর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই বন্ডটি অনুমোদনের শর্ত হিসেবে পুঁজিবাজারের অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইউসিবির আন-সিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেট এই বন্ডটির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এ বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ লাখ টাকা। রেফারেন্স রেটের সাথে ৩ শতাংশ ক্যুপন মার্জিন যোগ হয়ে বন্ডটির ক্যুপন রেট নির্ধারিত হবে। বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ব্যাংকটি তার টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি আন্ডার ব্যাসেল ৩ শক্তিশালী করবে। লোচিত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর এর অ্যারেঞ্জারের দ্বায়িত্বে থাকবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টার্নেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা