প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আজ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৩ হাজার ৮১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞে যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সে লক্ষ্যে আমার সহকর্মীরা সুচারুভাবে কাজ করেছেন। আমরা আশা করছি পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের পাবলিক পরীক্ষায় যে ধরনের ব্যত্যয় মাঝেমধ্যে ঘটে যায়, সেটা যেন না ঘটে; সেদিকে আমরা সতর্ক ছিলাম। আশা করছি, সুন্দর ও নিরাপদ এ পরিবেশ বজায় থাকবে। পরীক্ষা সবে শুরু, ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এটা শেষ হবে আগামী মাসে। সে পর্যন্ত আমরা সতর্ক থাকবো।
ফেসবুকে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এমন কাজ করবেন না। কারণ এ পরীক্ষা অনেক প্রস্তুতির পর অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই এক ধরনের চাপে থাকেন। সুতরাং গুজব ছড়িয়ে তাদের চাপটা দয়া করে আর বাড়াবেন না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রকাশ হতে পারে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। সে হিসেবে আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক। “আমরা আশা করছি, অক্টোবরের মাঝামাঝি ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে,” মন্তব্য করেন তিনি।গত ২৬ জুন শুরু হয়ে কয়েক দফা স্থগিতের পর পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং মেয়ে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।সারা দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে সোয়া ১২ লাখ পরীক্ষার্থী ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভোরের আকাশ/হ.র
চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১-২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।প্রকাশিত রুটিনে পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা আগামী ২১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দিন ইংরেজি ২২ ডিসেম্বর, তৃতীয় দিন গণিত ২৩ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দিন বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী হবে। বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য দেড় ঘণ্টা করে, মোট ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে পূরণ করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।পরীক্ষায় বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। তবে কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষাকক্ষে আনতে পারবেন না। ভোরের আকাশ/হ.র
সাংবাদিক রতন বিশ্বাস ও ডা. সোনালী রানী দম্পত্তির জ্যেষ্ঠ সন্তান শীর্ষ বিশ্বাস স্কাউটিং এর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড "প্রেসিডেন্ট'স স্কাউট" অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।শীর্ষ বিশ্বাস সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর দশম শ্রেণির ছাত্র। সন্তানের এমন সাফল্যে গর্বিত রতন বিশ্বাস। তিনি সকলের কাছে সন্তানের জন্য আশির্বাদ/দোয়া প্রার্থনা করেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
সাত বছর পর আবারও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ একরের ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৯টি কেন্দ্রে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তারা উচ্ছ্বসিত।এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হয়।নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তদারকিতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরো ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে ৩৫০ জন নিরাপত্তা সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমও দায়িত্ব পালন করছে।ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, “দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গকসু নির্বাচন জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।”গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম গকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হলেও ২০২০ সালে তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এবার হবে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।ভোরের আকাশ/মো.আ.