শুরুতেই সেশনজটের শঙ্কা
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে কয়েকমাস আগে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় সরকার। আর প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণার ৮ মাস পার হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ আইন ও অধ্যাদেশ জারি করা হয়নি। নতুন শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা, পুরাতন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। ফলে দিন দিন প্রস্তাবিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘হতাশা’ বাড়ছে।এদিকে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে কিছুদিন আগে। এখন স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন শিক্ষার্থীরা, আর এখন নতুন শিক্ষাবর্ষও শুরু হচ্ছে এবং দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরুর প্রস্ততিও চলছে। তবে, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এখনো গত শিক্ষাবর্ষের ক্লাসই শুরু করতে পারেননি। অর্থাৎ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে, তখন সাত কলেজে এখনো ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়নি। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ আর হতাশা বিরাজ করছে। সাত কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস শুরুর আশায় দিন গুনছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।এদিকে, শিক্ষাবিদদের অভিমত, ‘শিক্ষা’-বিশেষ করে ‘উচ্চ শিক্ষা’ কোনো ‘পরীক্ষাগার’ নয়। সাত কলেজকে পরীক্ষামূলক ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল’ বানানো দেশের উচ্চশিক্ষার জন্য এক ‘ভয়াবহ দৃষ্টান্ত’ হতে পারে। এছাড়া সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করায়, এসব কলেজের নিজস্ব স্বতন্ত্রতা, ঐতিহ্য ও শিক্ষার ধারা নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা করছেন তারা। অন্যদিকে, ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের মতো নারী শিক্ষার জন্য ঐতিহ্যবাহী কলেজে শিক্ষা সংকুচিত হওয়া এবং জাতীয়ভাবে পশ্চাদপদতা সৃষ্টিরও আশংকা করছেন তারা।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের এক অধ্যাপক ভোরের আকাশ’কে বলেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়ায় আমরা শিক্ষকেরা কোনোভাবেই নিজেদের ভবিষ্যৎ বা শিক্ষার্থীদের কল্যাণ দেখতে পাচ্ছি না। সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজকে একই ছাতার নিচে এনে বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পরিবর্তে রাজধানীতে নতুন কোনো প্রয়োজনে একাধিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা বেশি যৌক্তিক ছিল।তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছি না, কিন্তু সেটি নতুন স্থানে এবং নতুন অবকাঠোমো নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা উচিত। এছাড়া বিদ্যমান ঐতিহ্যবাহী কলেজের স্থাবর সম্পত্তি, লোগো ও নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে হস্তান্তর করা হলে তা আইনি ও নৈতিক দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ও নেই স্বস্তিপ্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে নিয়ে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে এ অধিভুক্তির আওতায় আনা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ ও সার্টিফিকেট প্রদানসহ শিক্ষা সম্পর্কিত সব কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।জানা গেছে, অধিভুক্তির শুরু থেকেই এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েন। সেশনজট, দেরিতে ফলাফল প্রকাশ, ভুল ফলাফল, গণহারে ফেলসহ নানা অভিযোগ নিয়ে কলেজগুলোতে বারবার আন্দোলন হয়। এ অবস্থায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি’ বাতিল করে ‘স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। সমসময় তারা সড়ক অবরোধ, মিছিল ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০২৪-এর ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং রূপরেখা প্রণয়নের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কমিটি ক্যাম্পাস পরিদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৈঠক এবং সম্ভাব্য ব্যবস্থার বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব আহ্বান করে ইউজিসি। এরপর ১৬ মার্চ সাত কলেজের সমন্বয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয় । এরপর ৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়। ২৪ জুলাই ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২২ ও ২৩ আগস্ট। তিন ইউনিটে মোট ১১ হাজার ১৫০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ২৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিষয় ও কলেজ পছন্দ কার্যক্রম শুরু হবে। আর ভর্তি শেষ হবে ৩০ অক্টোবর। তবে ক্লাস শুরুর সঠিক সময় এখনও জানানো হয়নি।সেশনজট ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরাএদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শুরুর প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু হতে যাওয়া সম্ভাব্য সেশনজট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি, উত্তীর্ণ হয়েছি, কিন্তু এখনো ক্লাস শুরু হয়নি- যা হতাশাজনক। আবার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অধ্যাদেশ এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে, একাডেমিক ভবিষ্যৎ কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে।মুহসিন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আর কোনো বিকল্প নেই। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার সুযোগও এখন আর নেই, আমরা সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা চাই দ্রুত কার্যকর আইন, স্পষ্ট সিলেবাস ও একাডেমিক কাঠামো প্রণয়ন করা হোক। যাতে আমাদের পড়াশোনায় ক্ষতি না হয়।হাবিব আশরাফ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর জন্য অপেক্ষা করছি। আর তা না হলে দ্বিতীয়বারের মতো আমাদেও আবার ভর্তির প্রস্তুতি নিতে হবে।তবে অনেকের সে সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো বিকল্প না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি দ্রুত প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর উদ্যোগ নিতে হবে।অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘পরস্পরবিরোধী’ অবস্থানএদিকে, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। তবে, খসড়া নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ দ্রুত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার পক্ষে হলেও অন্য পক্ষ পুরোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছেন।আর অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরাই ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র সনদ পাবেন, এর আগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান সেশনগুলোর শিক্ষার্থীরা অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের অভিযোগ, খসড়াটি বৈষম্যমূলক ও বাস্তবতাবিবর্জিত। সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকার সাত কলেজের স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হচ্ছে- এমন অভিযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।তারা বলেছেন, প্রস্তাবিত কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, ঐতিহ্য ও নারী শিক্ষার পরিসর সংকুচিত হবে। তাদের দাবি, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে তা অবশ্যই পূর্বাচল বা ঢাকার বাইরে নতুন কোনো ক্যাম্পাসে পৃথক স্থানে করতে হবে। এছাড়া পুরোনো কলেজগুলোর সম্পত্তি ও লোগো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই পরিবর্তনে নারী শিক্ষা মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষকদের আপত্তি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ এবং তারা দ্রুত অধ্যাদেশ জারি না হলে রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে, আবার বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন।ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান বলেন, আমরা চাই দ্রুত অধ্যাদেশ জারি হোক। বছরের পর বছর ঢাবি’র অধীনে থেকে শুধু সেশনজট, প্রশাসনিক জটিলতা আর ভোগান্তিই আমরা দেখেছি। এখন সরকার আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কিছু সংখ্যক শিক্ষক এখন তার বিরোধিতা করছেন।বিষয়টিকে এক ধরনের ‘ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষার্থীদের কথা তারা ভাবছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি না করলে আমরা রাজধানীতে কঠোর আন্দোলন শুরু করব।বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিমা আহমেদ বলেন, আমাদের কলেজের জায়গা, ক্লাসরুম আর সময় ভাগ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ চালু করা হবে বলে শুনেছি। এতে নারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিকেলের দিকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা, ক্লাসের সময় ও পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমাদের কলেজ বহু বছর ধরে নারী শিক্ষার একটি প্রতীক। এটি সংকুচিত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করলে মেয়েদের জন্য শিক্ষা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে মন্ত্রণালয়ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস জানিয়েছেন, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।তিনি বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষরা মিলে আমরা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, নতুন ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির বিষয়টি তাদের ক্লাস শুরুর ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘পরস্পরবিরোধী” অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। সব শিক্ষার্থী যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।ক্লাস শুরু করতে না পারাটা উদ্বেগের -ড. তানজীমউদ্দিন খানএদিকে, সাত কলেজের চলমান সেশনজট ও শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. তানজীমউদ্দিন খান।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কাছে খুব অপ্রত্যাশিত। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। নতুন কাঠামোর অধীনে শিক্ষাবর্ষ পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী প্রশাসক মূল দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমরা সময়ে সময়ে পরামর্শ দেবো।ড. তানজিম আরও বলেন, বর্তমান সেশনজট নিরসনে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের যৌথ পদক্ষেপ জরুরি।এছাড়া প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয় পক্ষের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভোরের আকাশ/এসএইচ