স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫ ০২:৩২ এএম
তীব্র চুলকানি ও অস্বস্তির দাদ থেকে মুক্তির উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
দাদ একটি পরিচিত এবং অস্বস্তিকর ত্বকের সমস্যা, যা তীব্র চুলকানি এবং মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গোলাকার আকারে দেখা দেওয়া এই সংক্রমণ অনেক সময় জনসমক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাদ এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এবং এটি খুব সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪০ রকমের ছত্রাক দাদের সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। উরু, ঘাড়, কুঁচকি, নিতম্বসহ শরীরের যেকোনো অংশেই এই সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই দাদের সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, দাদ অত্যন্ত সংক্রামক। কারো ব্যবহৃত পোশাক, কম্বল বা তোয়ালে ব্যবহার করলেও দাদ সংক্রমিত হতে পারে। তাই দাদে আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং যথাযথভাবে পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বেশ কিছু প্রতিকার ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন:
✅ আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক ও ব্যবহার্য সামগ্রী আলাদা করে ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন
✅ শরীর ও ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন
✅ দেহে ঘষে লাগাতে হয় এমন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
✅ অপরের কম্বল বা কাপড় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
✅ তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে
ঘরোয়া চিকিৎসা: রসুন ও তেলেই মিলতে পারে উপশম
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘরোয়া উপায়েও দাদের চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য রসুন কুচিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর ২ ফোঁটা রসুনের রসের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল অথবা জলপাই তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে হবে। তিন থেকে চার দিনের ব্যবহারে উপশম পাওয়া যেতে পারে।
দাদ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, অবহেলা করলে এটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভোরের আকাশ//হ.র