তীব্র চুলকানি ও অস্বস্তির দাদ থেকে মুক্তির উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
দাদ একটি পরিচিত এবং অস্বস্তিকর ত্বকের সমস্যা, যা তীব্র চুলকানি এবং মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গোলাকার আকারে দেখা দেওয়া এই সংক্রমণ অনেক সময় জনসমক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাদ এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এবং এটি খুব সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪০ রকমের ছত্রাক দাদের সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। উরু, ঘাড়, কুঁচকি, নিতম্বসহ শরীরের যেকোনো অংশেই এই সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই দাদের সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, দাদ অত্যন্ত সংক্রামক। কারো ব্যবহৃত পোশাক, কম্বল বা তোয়ালে ব্যবহার করলেও দাদ সংক্রমিত হতে পারে। তাই দাদে আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং যথাযথভাবে পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বেশ কিছু প্রতিকার ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন:
✅ আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক ও ব্যবহার্য সামগ্রী আলাদা করে ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন
✅ শরীর ও ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন
✅ দেহে ঘষে লাগাতে হয় এমন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
✅ অপরের কম্বল বা কাপড় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
✅ তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে
ঘরোয়া চিকিৎসা: রসুন ও তেলেই মিলতে পারে উপশম
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘরোয়া উপায়েও দাদের চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য রসুন কুচিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর ২ ফোঁটা রসুনের রসের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল অথবা জলপাই তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে হবে। তিন থেকে চার দিনের ব্যবহারে উপশম পাওয়া যেতে পারে।
দাদ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, অবহেলা করলে এটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
দাদ একটি পরিচিত এবং অস্বস্তিকর ত্বকের সমস্যা, যা তীব্র চুলকানি এবং মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গোলাকার আকারে দেখা দেওয়া এই সংক্রমণ অনেক সময় জনসমক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাদ এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এবং এটি খুব সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে।চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪০ রকমের ছত্রাক দাদের সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। উরু, ঘাড়, কুঁচকি, নিতম্বসহ শরীরের যেকোনো অংশেই এই সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই দাদের সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, দাদ অত্যন্ত সংক্রামক। কারো ব্যবহৃত পোশাক, কম্বল বা তোয়ালে ব্যবহার করলেও দাদ সংক্রমিত হতে পারে। তাই দাদে আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং যথাযথভাবে পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বেশ কিছু প্রতিকার ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন:✅ আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক ও ব্যবহার্য সামগ্রী আলাদা করে ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন✅ শরীর ও ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন✅ দেহে ঘষে লাগাতে হয় এমন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন✅ অপরের কম্বল বা কাপড় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন✅ তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে সংক্রমণ বাড়তে পারেঘরোয়া চিকিৎসা: রসুন ও তেলেই মিলতে পারে উপশমবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘরোয়া উপায়েও দাদের চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য রসুন কুচিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর ২ ফোঁটা রসুনের রসের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল অথবা জলপাই তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে হবে। তিন থেকে চার দিনের ব্যবহারে উপশম পাওয়া যেতে পারে।দাদ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, অবহেলা করলে এটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ভোরের আকাশ//হ.র
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৭ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপরীতে সাতজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমেধ্য দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শুরুর পর থেকে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫২ হাজার ৮০ জন। এরমধ্যে ২৯ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।ভোরের আকাশ/আজাসা
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৬২ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আটজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত আট হাজার ৩৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক নয় শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক এক শতাংশ নারী রয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো জটিল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, রাগ, উত্তেজনা বা অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে অনেক সময় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করতে পারে। নিচে এমন সাতটি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো:১. ধীরে ও গভীরভাবে শ্বাস নিনগভীর শ্বাস গ্রহণ এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেম সক্রিয় হয়। এটি হৃদস্পন্দন হ্রাস করে এবং রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কয়েক মিনিট শান্তভাবে এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান।২. ঠান্ডা পানি প্রয়োগ করুনমুখ, হাত বা পায়ে ঠান্ডা পানি দিলে রক্তনালি সংকুচিত হয় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিশেষ করে ৫–১০ মিনিট পা ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে চাপ কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।৩. লেবুর পানি পান করুন (চিনি বা লবণ ছাড়া)লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তনালিকে শিথিল করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। অর্ধেক লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার ধীরে পান করা যেতে পারে।৪. আস্তে আস্তে পানি পান করুনশরীরে পানির অভাব হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পানি খেলে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং রক্তচাপ কমে আসতে পারে।৫. পা উঁচু করে বিশ্রাম নিনপিঠ সোজা করে শুয়ে পা হৃদয়ের উচ্চতার চেয়ে ওপরে রাখলে শরীরে রক্ত চলাচল সুষ্ঠু হয় এবং হার্টের ওপর চাপ কমে আসে। এইভাবে ১০–১৫ মিনিট বিশ্রাম নিতে পারেন।৬. রসুন বা তুলসী পাতা গ্রহণ করুনরসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং তুলসীতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া বা কিছুটা তুলসী পাতা গ্রহণ করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।৭. বিকল্প নাক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস (অনুলোম–বিলোম)এই যোগ অনুশীলন নার্ভ সিস্টেমকে শান্ত করে ও মানসিক চাপ কমায়। এক নাক বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ধীরে ছেড়ে দিন এবং এই প্রক্রিয়াটি ৫–১০ মিনিট চালিয়ে যান। ভোরের আকাশ/হ.র