ফাইল ছবি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৬৬৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন রয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৬৮১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৩ হাজার ১৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
এডিস মশার প্রকোপ কমছে না। চলতি মাসেই একদিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন রেকর্ড ১২ জন। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য মশা তাড়ানোর সহজ হাতিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে মশার কয়েল। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, কয়েল কিছু ক্ষেত্রে মশা দূর করলেও এর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মশা থেকে নিরাপদে বাঁচতে মশারি ছাড়া কার্যকর বিকল্প নেই।শহরের অলিগলির দোকানগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কয়েল। দামও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকায় ঘরে ঘরে নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে। কেউ ২৪ ঘণ্টার, কেউ ৭২ ঘণ্টার কার্যকারিতা দাবি করা কয়েল ব্যবহার করছেন। তবে রাতভর কয়েল জ্বালালেও মশা পুরোপুরি চলে যাচ্ছে না, আর ধোঁয়া ঘরভর্তি করে শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি করছে।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েলের ধোঁয়ায় এমন গ্যাস থাকে যা ফুসফুসে গিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং শরীরের অক্সিজেন গ্রহণে বাধা দেয়। রাজধানীর ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা জানিয়েছেন, নিয়মিত কয়েল ব্যবহার করলেও তারা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি। বরং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা ও অন্যান্য অস্বস্তি বেড়েছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মশার কয়েল বিশেষ করে শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “মশা তাড়াতে ব্যবহৃত কয়েল বা অ্যারোসল কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এর ধোঁয়া ফুসফুসে প্রবেশ করলে ক্যান্সার, অ্যাজমা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুড়ি পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।”বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষকে মশার কয়েল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা উচিত। পাশাপাশি এই পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৬৬৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোন ৭৭১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ মোট ৪১ হাজার ৬৩৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেন ৫৭৫ জন। এর আগের বছর ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এডিস মশার প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। চলতি মাসেই একদিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন রেকর্ড ১২ জন। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য এডিস থেকে বাঁচার সহজ হাতিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে মশার কয়েল।তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েল কিছু ক্ষেত্রে মশা দূর করতে সাহায্য করলেও এর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মশা থেকে নিরাপদে বাঁচতে মশারি ছাড়া কার্যকর বিকল্প নেই বলেই মত চিকিৎসকদের।শহরের অলিগলির দোকানগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশার কয়েল। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এসব কয়েল নিয়মিতই কেনেন সাধারণ মানুষ। কেউ ব্যবহার করছেন ২৪ ঘণ্টার, কেউ বা ৭২ ঘণ্টার কার্যকারিতা দাবি করা কয়েল। ফলে ঘরে ঘরেই জ্বলছে কয়েল, আর বন্ধ ঘর ধোঁয়ায় ভরে উঠছে।তবে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমানো মানেই ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, কয়েল শতভাগ মশা দূর করতে পারে না বরং এর ব্যবহারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।চিকিৎসকরা জানান, মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ নিজের অজান্তেই ফুসফুসের ক্ষতি করছেন। কয়েলের ধোঁয়ায় এমন কিছু গ্যাস থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়।রাজধানীর কিছু ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের অনেকেই নিয়মিত কয়েল ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েল ব্যবহারের পরও তারা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি। বরং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা এবং নানা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন তারা। রোগীদের ভাষ্য, কয়েল জ্বালালেও মশা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না, উল্টো ধোঁয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়ছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মশার কয়েল মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, মশা তাড়াতে যে কয়েল বা অ্যারোসল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এসব পণ্যের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুরিও দেখা দিতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কয়েল ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি এইসব পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ডেঙ্গু:হঠাৎ উচ্চ জ্বর, ৪–৫ দিন পর লালচে র্যাশরক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণশক সিনড্রোম ও মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাবনা বেশিশরীরে ব্যথা থাকে, কিন্তু তীব্র নয়বমি, খেতে না পারা সাধারণএক্সপান্ডেড ডেঙ্গু হলে লিভার, হার্ট, কিডনিসহ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেচিকুনগুনিয়া:জ্বর শুরু হয় ধীরে, থেমে থেমে আসে (১০২–১০৪ ডিগ্রি)শরীরের প্রায় সব জয়েন্টে তীব্র ব্যথা, হাঁটাচলা কষ্টকরহাত-পা ফুলে যাওয়াতীব্র মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথার্যাশ সাধারণত দেখা দেয় নাপ্লাটিলেট কমে না, রক্তক্ষরণ হয় নামৃত্যুঝুঁকি নেই, তবে দীর্ঘদিন ব্যথা ভোগঅনেকের চামড়া উঠে বা কালো হতে পারেবিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, “ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও চিকুনগুনিয়ায় তা নেই। তবে জয়েন্ট পেইন এত তীব্র যে রোগী হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তাই অনেকে চিকুনগুনিয়াকে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ বলেও অভিহিত করেন।”কখন টেস্ট করালে ধরা পড়ে?ডেঙ্গু: জ্বরের ২–৩ দিনের মধ্যে টেস্ট করলে শনাক্ত হয়। পরে করলে ফল নাও মিলতে পারে।চিকুনগুনিয়া: জ্বরের ৫–৭ দিন পর টেস্ট করলে কার্যকর ফল পাওয়া যায়।চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় আইসিটি, আরটি-পিসিআর বা সেরোলজি টেস্ট দ্বারা। ডেঙ্গু শনাক্ত হয় সাধারণ রক্ত পরীক্ষায়।খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “চিকুনগুনিয়ায় জয়েন্ট পেইন এত তীব্র হয় যে আমরা প্রায়ই শুধু উপসর্গ দেখে অনুমান করি। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য টেস্ট জরুরি।”চিকিৎসার পার্থক্যডেঙ্গু: সহায়ক চিকিৎসা, প্যারাসিটামল জ্বর কমাতে, প্রচুর পানি, ডাবের পানি, শরবত, জুস, স্যুপ, দুধ খেতে বলা হয়। প্লাটিলেট কমলে রক্ত দেওয়া হয়।চিকুনগুনিয়া: তীব্র ব্যথা কমাতে পেইনকিলার, তরল খাবার, ফল এবং ফিজিওথেরাপি।সতর্কবার্তা:ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও চিকুনগুনিয়া দীর্ঘ ভোগান্তির কারণ। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া যায় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।সূত্র: বিবিসি বাংলাভোরের আকাশ // হ.র