ছবি : সংগৃহীত
মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের তরুণী প্রিয়া তার স্বামী পুরুষোত্তমকে নিজের একটি কিডনি দিয়েছেন। করবা চৌথের দিনে স্বামীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দান করে প্রমাণ করেছেন সত্যিকারের ভালোবাসা শুধু কথায় নয়, কাজে।
কিছুদিন আগেই পুরুষোত্তমের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে বাঁচানো সম্ভব নয়।
পরিবারের কেউ অঙ্গদানের জন্য রাজি না হলেও প্রিয়া এক মুহূর্ত দেরি না করে স্বামীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।
দুই দিন আগে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুজনই এখন সুস্থ আছেন।
প্রিয়া বলেন, যদি আমার কিডনি দানে স্বামীর জীবন বাঁচে, তাহলে এটাই হবে আমার জীবনের সেরা করবা চৌথ।
স্বামী পুরুষোত্তম বলেন, আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে প্রিয়া। এখন থেকে প্রতিটি করবা চৌথ আমার নতুন জন্মদিন।
সূত্র : আনন্দবাজার
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ বোস্টনে আয়োজন নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং মেয়র মিশেল উ’র সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে বোস্টনের ম্যাচগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে মার্কিন রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনে।গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির সঙ্গে যৌথ উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চাইলে ম্যাচগুলো সরিয়ে নিতে পারি। আমি বোস্টনের মানুষকে ভালোবাসি, জানি ম্যাচগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু তোমাদের মেয়র ভালো নয়। সে বুদ্ধিমতী, তবে চরমপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী, এবং শহরের কিছু অংশ তারা দখল করে নিচ্ছে। ’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইলে মুহূর্তেই ম্যাচগুলো ফেরত নিতে পারি। মেয়র শুধু আমাদের ফোন করলেই আমরা এসে সেগুলো নিয়ে যাব, কিন্তু সে রাজনৈতিক কারণে ভয় পাচ্ছে। ’বোস্টন শহর থেকে প্রায় ৩০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ফক্সবোরোর জিলেট স্টেডিয়ামে ২০২৬ বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে আয়োজন করবে এবারের বিশ্বকাপ, যেখানে ২০২২ সালে ফিফা ১৬টি আয়োজক শহর এবং ম্যাচ সূচি চূড়ান্ত করে।ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি ম্যাচগুলো সরানোর বিষয়ে সরাসরি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তার ভাষায়, ‘যদি দেখি কেউ দায়িত্বে ব্যর্থ হচ্ছে, বা নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে, আমি ফিফা প্রধান জিয়ান্নিকে ফোন করব। আমি বলবো, আমরা অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছি। আর তারা সঙ্গে সঙ্গে সেটাই করবে। হয়তো পছন্দ করবে না, কিন্তু সহজেই করে নেবে। ’তবে ফিফা আগেই স্পষ্ট জানিয়েছে, আয়োজক শহর ও ম্যাচ ভেন্যু নির্ধারণের পূর্ণ ক্ষমতা তাদের হাতেই। চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মন্টাগলিয়ানিও বলেন, ‘এটা ফিফার টুর্নামেন্ট, ফিফার এখতিয়ার। সিদ্ধান্ত নেবে ফিফাই। ’ট্রাম্পের মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন বোস্টনে এক রাতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় একাধিক গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মেয়র মিশেল উ’র কার্যালয় ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বোস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে বিপুল অর্থনৈতিক প্রভাবের পূর্বাভাস দিয়েছে আয়োজকরা। টিকিট বিক্রিতে দেখা যাচ্ছে উচ্চ চাহিদা, ফলে এত দেরিতে কোনো ভেন্যু পরিবর্তন হলে তা বড় ধরনের লজিস্টিক ও চুক্তিগত জটিলতা তৈরি করবে। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনো বাকি প্রায় আট মাস, উদ্বোধনী ম্যাচ হবে আগামী ১১ জুন।বোস্টনের প্রথম ম্যাচ নির্ধারিত আছে আগামী ১৩ জুন, টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনে, গ্রুপ ‘সি’র দুটি দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়, তবে ইসরায়েলকে নতুন করে গাজায় অভিযান চালাতে দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, হামাস নিয়ে যা ঘটছে, তা খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। আমি বললেই ইসরায়েল রাস্তায় নেমে পড়বে।যদি হামাস নিরস্ত্র হতে অস্বীকার করে তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি বললেই ইসরায়েল আবার রাস্তায় ফিরে যাবে। ইসরায়েল যদি চায়, তারা ওদের একেবারে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আমি-ই ওদের (ইসরায়েলকে) এখন পর্যন্ত থামিয়ে রেখেছি।ট্রাম্প আরও জানান, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে হামাসকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিহত অন্যদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে এবং অস্ত্র জমা দিতে হবে।তার মতে, যদি হামাস তার যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তিনি ইসরায়েলকে গাজায় আবার সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন।এদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা চুক্তি অনুযায়ী সব জীবিত বন্দিকে হস্তান্তর করেছি এবং পাশাপাশি যেসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলোও দিয়েছি। বাকি মরদেহগুলো উদ্ধার করতে বিশেষ সরঞ্জাম ও দীর্ঘ প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং তারা এই কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই পরিকল্পনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি, সব ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে হিন্দি ভাষা ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য একটি নতুন বিল আনা হতে যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন চলতি বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন।প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষায় হোর্ডিং ব্যবহার ও হিন্দি সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক ভাষা তামিলকে গুরুত্ব দেওয়ার এবং স্থানীয় ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।দ্য ইকোনোমিক টাইমস জানায়, চলতি বছরের শুরুতে তামিলনাড়ু সরকার সরকারি বাজেটের নতুন লোগোতে ভারতীয় মুদ্রা চিহ্ন ‘₹’ এর পরিবর্তে তামিল অক্ষর ‘ரூ’ ব্যবহার করেছিল। এই পদক্ষেপও স্থানীয় ভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে, যা তামিলদের আত্মসম্মানের ক্ষতি করছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিজেপি তিন ভাষার নীতির আড়ালে প্রথমে হিন্দি, পরে সংস্কৃত চাপিয়ে দিতে চায়।ডিএমকে দলের নেতারা মনে করেন, রাজ্যের দুই ভাষার নীতি—তামিল ও ইংরেজি—শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।ভোরের আকাশ//হর
আগেই মারা যাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তরকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব বলে ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা এক বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, গাজায় আটক জীবিত ২০ জন জিম্মির সবাই ফিরে এসেছে। এটা খুবই ভালো হয়েছে, কারণ আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করছিলাম।যদিও একটি বড় সংকট কেটে গেছে, তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। কারণ সমঝোতা চুক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল মৃত সব জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে- তা এখনও ঘটেনি। তাদের অবশ্যই ফেরত দিতে হবে এবং যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় এখন থেকে শুরু হলো।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে এসেছিল হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হামাসের কব্জায় ছিল ৪৮ জন জিম্মি। হামাস জানিয়েছিল, এই ৪৮ জনের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে, বাকি ২৮ জন মারা গেছে।গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন যে পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে হাজির করেছিলেন ট্রাম্প— ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাতে সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাসকে ট্রাম্প শর্ত দিয়েছিলেন যে গোষ্ঠীটিকে অবশ্যই জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মি এবং মৃত ২৮ জন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সোমাবার নিজেদের কব্জায় থাকা জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলও কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ৩ হাজার ৭০০ জনকে ছেড়ে দেয়।২০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তির পাশাপাশি ৪ জন মৃত জিম্মির মরদেহও হস্তান্তর করে হামাস। যুদ্ধবিরতির আগেই অবশ্য হামাস জানিয়েছিল যে তারা কিছু জিম্মির মরদেহের সন্ধান হারিয়ে ফেলেছে। এর কারণ হিসেবে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ড বলেছে, জিম্মিদের মরদেহের ব্যাপারে যারা জানতেন তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অথবা হামলার কারণে মরদেহগুলো যেখানে রাখা হয়েছিল, সেই স্থানের চিহ্ন হারিয়ে গেছে।এসব জিম্মির মরদেহ খুঁজে পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল হামাস। এমনকি ৭ থেকে ৯ জিম্মির মরদেহের সন্ধান আর কখনো পাওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেছেন গোষ্ঠীটির নেতারা।২৮ মৃতদেহের বদলে গতকাল মাত্র চারটি মরদেহ ফেরত দেওয়ায় দখলদার ইসরায়েল গাজা-মিসর সীমান্তের রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখা এবং ত্রাণ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, যদি হামাস জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেয় তাহলে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখা এবং ত্রাণ কম পরিমাণে প্রবেশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যেই জানা গেলো আরও কয়েকজন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে যাচ্ছে হামাস।এদিকে জিম্মিদের ২৮টি মৃতদেহের পরিবর্তে মাত্র ৪টি ফেরত দেওয়ায় হামাসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা থেকে প্রদান করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস যদি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেয় তাহলে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখা ও গাজায় ত্রাণের প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েলের সরকার। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ/তা.কা