আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:১৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
সদস্য দেশগুলো বিপুল অংকের চাঁদা বকেয়া রাখায় তীব্র অর্থসংকটে পড়েছে জাতিসংঘ। ফলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে সংস্থাটির বাজেট ১৫ দশমিক ১ শতাংশ ও কর্মীসংখ্যা ১৯ শতাংশ কমানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) আগামী বছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ২০২৬ সালের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার কম।
গুতেরেস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বাজেট ১৫.১ শতাংশ কমানো হবে এবং কর্মী সংখ্যা ১৮.৮ শতাংশ ছাঁটাই করা হবে। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নির্ধারিত বাজেট কমানো হবে না। গুতেরেস বলেন, গাজা নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাজেট কমানোর বাইরে রাখা হবে, কারণ এর বাজেটে কাটছাঁট হলে গাজায় মানবিক সহায়তার কাঠামো ভেঙে পড়বে।
ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং আফ্রিকার উন্নয়ন সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসির বাজেটও ২০২৫ সালের মতোই রাখা হবে।
কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮১টি পদ বাতিল করা হবে। এসব পদ অন্য সংস্থার মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হবে অথবা তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মহাসচিব জানান, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বকেয়া ও অন্যান্য দেনার কারণে জাতিসংঘে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূল ঘাটতি এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর বকেয়া চাঁদা থেকে।
ভোরের আকাশ/তা.কা