আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩৮ এএম
ইসরায়েল সফররত ইমামরা মুসলিমদের প্রতিনিধি নন: আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া ১৫ জন ইমাম। এই সফরের উদ্দেশ্য হিসেবে তারা বলছেন—ইহুদি ও মুসলিমদের মধ্যে ‘শান্তির বার্তা’ ছড়িয়ে দেওয়া। তবে এই সফরকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
মিসরের প্রাচীন ও প্রভাবশালী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই সফরের কড়া সমালোচনা করেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ব্যক্তিরা মুসলিমদের প্রতিনিধি নন। তারা তাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের সঙ্গে বেঈমানি করেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইমামদের এই দলটি ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সহাবস্থান’ প্রচারের কথা বললেও, তারা ২০ মাস ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা গণহত্যা, আগ্রাসন ও মানবতাবিরোধী অপরাধকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। এটা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এদের ‘বিপথগামী’ বলে আখ্যায়িত করে সতর্ক করে দিয়েছে মুসলিম বিশ্বকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “এই ব্যক্তিরা ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং আল-আজহার ও বিশ্ব মুসলিম সমাজ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষেই রয়েছে।”
এদিকে ইউরোপের মুসলিম সম্প্রদায়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ইমামস-ও এই সফরের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল সফররত এসব ইমাম ইউরোপের কোনো বড় মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা বিস্মিত যে, কীভাবে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে এই কথিত ইমামদের বৈঠককে এত বড় করে মিডিয়ায় প্রচার করা হলো। এটি ইউরোপীয় মুসলিমদের অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননা।”
উল্লেখ্য, সফররত ইমামরা এখনো ইসরায়েলে অবস্থান করছেন। ফিলিস্তিনে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এই সময়ে তাদের এমন সফর মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
কালের সমাজ//হ.র