আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৫:৫৩ এএম
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশা লেবাননের প্রেসিডেন্টের
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে আপাতত কোনো আগ্রহ নেই লেবাননের—এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ আওন। তবে তিনি ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আওন বলেন, “শান্তি মানে যুদ্ধের অবসান, আর এটাই এখন লেবাননের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক নীতির অংশ নয়।”
তার এই মন্তব্য ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রেক্ষিতে এসেছে। গিডিওন সার বলেছিলেন, ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
ইসরায়েলের দখলদারি প্রসঙ্গ প্রেসিডেন্ট আওন জানান, দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকা এখনো ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। তিনি বলেন,
“আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমান্ত পর্যন্ত লেবাননের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলি সেনাদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়া প্রয়োজন।”
যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপ গত নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার এবং লিটানি নদীর উত্তরে হিজবুল্লাহর সরে যাওয়ার কথা ছিল। ওই অঞ্চলে শুধু লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করার কথা চুক্তিতে বলা হয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন সে আহ্বানের জবাব দিলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট আওন শুধু বলেন,
“দেশের অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। তবে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখাও আমাদের লক্ষ্য।”
১৯৭৫-৯০ সালের গৃহযুদ্ধ শেষে হিজবুল্লাহ-ই ছিল একমাত্র গোষ্ঠী যারা অস্ত্র ধরে রেখেছিল। তখন দক্ষিণ লেবাননের বড় অংশ ইসরায়েলের দখলে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোর উত্তেজনায় হিজবুল্লাহর অবস্থান কিছুটা দুর্বল হলেও, তাদের সামরিক উপস্থিতি এখনো গুরুত্বপূর্ণ একটি বাস্তবতা।
লেবাননের বর্তমান নেতৃত্ব ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক থাকলেও, সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে এখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি নয়। তারা চাইছে নিজেদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য অটুট রেখে এগোতে।
সূত্র: আরব নিউজ
কালের সমাজ//হ.র