ভারতে আবারও করোনার হানা
ভারতজুড়ে আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। দেশটির কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলোতে দ্রুতগতিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
গত ১৯ মে পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল ২৫৭ জন, তা নয় দিনে নতুন করে ৭৫২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাতে বুধবার (২৮ মে) এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে এক হাজার ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।
এর মধ্যে নতুন সংক্রমণের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে কেরালা। সেখানে ৪৩০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০৯ জন।
এছাড়াও দিল্লিতে ১০৪ জন, গুজরাটে ৮৩ জন, কর্ণাটকে ৪৭ জন, উত্তর প্রদেশে ১৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এনবি.১.৮.১। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনায় বেশকিছু মৃত্যুও দেখতে হয়েছে দেশটিকে। মহারাষ্ট্রে অন্তত চারজন, কেরালায় দুজন এবং কর্ণাটকে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এ পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজ্যগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ওষুধ ও টিকা মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আতঙ্কিত না হয়ে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ মৃদু, তবুও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নগরী করাচিতে গত ৬ দিনে অন্তত ৩২টি মৃদু ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।দেশটির প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার লাঘারি জানিয়েছেন, ১ থেকে ৬ জুনের মধ্যে এসব কম্পনের মাত্রা ছিল ১.৫ থেকে ৩.৬ রিখটার স্কেলের মধ্যে।জিও নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের কাইদাবাদ, গাডাপ, মালির, ডিএইচএ ও করাঙ্গি এলাকায় ভূকম্পনগুলো সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে। সর্বশেষ কম্পনটি রেকর্ড করা হয় শুক্রবার সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ১.৫। ভূকম্পনের গভীরতা ছিল ২ কিলোমিটার থেকে ১৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত।লাঘারি জানান, করাচির লান্ধি ফল্ট লাইন দীর্ঘ কয়েক দশক পর আবার সক্রিয় হয়েছে। তবে এটি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের ছোট ভূকম্পনগুলো সাধারণত শক্তি প্রশমন করে, যা ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, ফল্ট লাইনের ওপর নির্মিত ভবনগুলো যেন অন্তত ৬ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়—এ বিষয়টি মাথায় রেখে ভবন নির্মাণ করা উচিত। ইতোমধ্যে কিছু ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার পেছনে কাঠামোগত ত্রুটি থাকতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।ভোরের আকাশ।।হ.র
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংক–এর সংযোগ যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে স্থাপন নিয়ে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সরকারি বিশেষজ্ঞরা।ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, তবে ইলন মাস্কের প্রতিনিধিরা এসব আশঙ্কা উপেক্ষা করেন।প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের তৈরি করা ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-র প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউসের পাশে অবস্থিত আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস বিল্ডিংয়ের ছাদে একটি স্টারলিংক টার্মিনাল স্থাপন করেন। তবে, এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে পূর্বে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ ধরনের সংযোগের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের নিজস্ব আইটি ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে ভিপিএন ও নজরদারির আওতায় থাকলেও স্টারলিংকের মাধ্যমে এ নিয়ন্ত্রণ বাইপাস করা সম্ভব।তারা আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে মোবাইল ফোনে ‘Starlink Guest ও’ নামে একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দেখা যায়, যেখানে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড দিলেই সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল— কোনো দ্বিতীয় ধাপের যাচাই ছিল না। এ নেটওয়ার্ক এখনও হোয়াইট হাউসে সক্রিয় আছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য চাওয়ার পর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সংস্থাটির মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি বলেন, “ডিওজিই হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করতে চাইছিল। আমরা এটি নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করিনি।”তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংকের সংযোগ কোনো নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক বা নিরাপত্তা পরিকাঠামোর আওতায় না থাকায় এটি ডিভাইসের কার্যক্রম নজরদারি এবং রেকর্ড রাখার প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোকে বাইপাস করতে সক্ষম। ফলে সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।এ বিষয়ে স্টারলিংক এর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, যদিও প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে দাবি করেছে তাদের স্যাটেলাইট সংযোগ ‘হ্যাক করা তুলনামূলকভাবে কঠিন’।ভোরের আকাশ।।হ.র
৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা। রোববার (৮ জুন) পুরো শহরটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিসএ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রাটি ছিল ৬ দশমিক ৩। তবে জর্মানির ভূ-বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (জিএফজেড) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রাটি ছিল ৬ দশমিক ৫। আর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।বার্তসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভূমিকম্পের সময় রাজধানীর ভবনগুলো কাঁপতে থাকে। শহরজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে মানুষ ভবন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন।ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: আলজাজিরাভোরের আকাশ/জাআ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি সাবেক ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে টিউলিপ এ সাক্ষাৎ চান বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা একটি চিঠি লিখেছেন টিউলিপ। লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এ সময় রাজা চার্লস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ড. ইউনূসের এই সফরকালে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ।’চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যিনি আমার খালা, তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও জড়িত থাকার বিষয়ে আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে—দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ থেকে এই যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা এই সাক্ষাৎ দূর করতে পারবে বলে আমি আশা করি।’তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। আমার জন্ম লন্ডনে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি।’টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমার হৃদয়ের টান রয়েছে কিন্তু সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। আমি ওই দেশে জন্মাইনি, থাকি না, এমনকি আমার পেশাগত জীবনও গড়ে উঠেনি সেখানে।’টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘দুদককে আমি এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগে আগ্রহ দেখায়নি। বরং তারা বারবার ঢাকার একটি ঠিকানায় এলোমেলোভাবে চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি ধাপ গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমার আইনি দলের সঙ্গে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’প্রধান উপদেষ্টার প্রতি লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন, এমন প্রতিবেদন যেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও আমার দেশের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়, সেটি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।’টিউলিপের দাবি, তিনি তাঁর খালার বিরোধীদের পরিচালিত একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসা অভিযানের’ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন।দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ব্রিটিশ মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে টিউলিপকে। বাংলাদেশের সাবেক সরকারের আমলে টিউলিপ সিদ্দিক ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে।গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি অবকাঠামো খাত থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন কি না—এ অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। এই অভিযোগের সূত্রপাত করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।দুদক এবং একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক বা তাঁর মা শেখ রেহানা ‘ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে’ ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের একটি জমি দখলে নিয়েছেন।যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তাঁর আইনজীবীরা এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।এদিকে গত মাসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।তবে টিউলিপ জানিয়েছেন, এমন কোনো পরোয়ানা বা আদালতে হাজিরার আদেশ সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ‘২ বি’ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতাভুক্ত দেশ হওয়ায়, যুক্তরাজ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে বাংলাদেশ থেকে স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেখাতে হয়—যা মন্ত্রী বা বিচারক পর্যায়ে যাচাই করে অনুমোদন দিতে হয়।গত বছর যুক্তরাজ্যে সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ নিজেই ব্রিটিশ মন্ত্রীদের আচরণবিধি তদারক কর্মকর্তা লরি ম্যাগনাসের কাছে রিপোর্ট করেন। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।ম্যাগনাস জানান, তদন্তে তিনি কোনো প্রমাণ পাননি যে টিউলিপের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত। তবে তিনি মত দেন, টিউলিপের উচিত ছিল—বাংলাদেশে তাঁর পারিবারিক সম্পৃক্ততা থেকে উদ্ভূত ভাবমূর্তির ঝুঁকির বিষয়ে আরও সতর্ক থাকা।তদন্তে আরেকটি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়, ২০১৩ সালে মস্কোতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি পারমাণবিক চুক্তির সময় টিউলিপ সিদ্দিকের উপস্থিতি। এই চুক্তি ঘিরে গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তবে টিউলিপ জানান, তিনি তখন মস্কোতে পর্যটক হিসেবে অবস্থান করছিলেন। তাঁর এই ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত মনে করে তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।তবুও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এসব বিতর্ক কিয়্যার স্টারমারের নতুন সরকারের জন্য ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করছে।ভোরের আকাশ/জাআ