আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫ ০১:১০ এএম
যুদ্ধবিরতির পক্ষে কম্বোডিয়া, সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে থাইল্যান্ড
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দেশটি। তবে থাইল্যান্ড এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয়নি, বরং সীমান্ত এলাকায় সামরিক শক্তি আরও বাড়াচ্ছে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে আমি স্বাগত জানাই। তবে এই সংকটের সমাধানের চাবিকাঠি এখন থাইল্যান্ডের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।”
উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে তীব্র সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যিনি বর্তমানে আসিয়ান জোটের সভাপতিও।
এদিকে চীনও দ্বিপক্ষীয় এই সংঘাতে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “এই বিরোধের মূল কারণ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিমা উপনিবেশবাদের রেখে যাওয়া দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। এখন সময় এসেছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার।” তিনি আরও জানান, চীন সংকট নিরসনে গঠনমূলক এবং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেইজিংয়ে আসিয়ান মহাসচিব কাও কিম হোর্নের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। চীন মনে করছে, হতাহতের প্রতিটি ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। শুক্রবার সকাল থেকে উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা পুরো এলাকাকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।
আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি দ্রুত কোনো সমাধানে পৌঁছানো না যায়, তাহলে সীমান্ত সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করতে পারে, যা পুরো আসিয়ান অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ভোরের আকাশ//হ.র