× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মৃত্যুর আগে স্বামীকে শেষবার যা বলেছিলেন শিক্ষিকা মাহরিন

ভোরের আকাশ ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৮ এএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হোন স্কুলের কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী (৪২)। শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে শরীরের ১০০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল তার। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর ওইদিন (সোমবার) রাতেই তার মৃত্যু হয়। তবে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল মাহরিন চৌধুরীর।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঠিক যেদিক দিয়ে বাচ্চারা বের হবে, ওখানেই বিমানটি ক্রাশ করছে, তারপরে এক্সপ্লোশন হয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। মাহরিন বাচ্চাদের বাঁচাতে যায় এবং কিছু বাচ্চাকে সে বের করে নিয়েও আসে।

আইসিউতে মাহরীনের সঙ্গে শেষ কথা প্রসঙ্গে মনছুর হেলাল বলেন, আমি তাকে বললাম, তুমি কেন এ কাজ করতে গেলে? সে আমাকে বলে- বাচ্চারা আমার সামনে সব পুইড়া মারা যাচ্ছে, আমি এটা কীভাবে সহ্য করি। ও (মাহরীন) সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিছু বাচ্চা বের করছে, আরও কিছু বাচ্চা বের করার চেষ্টায় ছিল। ঠিক এমন সময় বিকট শব্দে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই মাহরীনের পুরো শরীর পুড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মাহরীনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব পুড়ে শেষ। শুধু বেঁচে ছিল, একটু কথা বলতে পারছে। আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে বলল, আমার ডান হাতটা শক্ত করে ধরো। হাত ধরা যায় না, সব পুড়ে শেষ। ও বলল, তোমার সাথে আর দেখা হবে না।

স্বামীর হাত ধরে মাহরীন তখন বলছিলেন, আমার বাচ্চাদের দেখো।

জবাবে মনছুর বলেন, তোমার বাচ্চাদের এতিম করে গেলা। মাহরীন তখন বলেন, কী করব, ওরাও তো (মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা) আমার বাচ্চা, সবাই পুড়ে মারা যাচ্ছে, আমি কীভাবে সহ্য করব? 

মনছুর হেলাল সাংবাদিকের বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সবাই সহযোগিতা করেছে, কিন্তু তাকে বাঁচাইতে পারলাম না। ও (মাহরীন) আমাকে  বলে আমার খুব খিদা লাগছে আমারে কিছু খাওয়াও, আমি তিন ফোঁটা পানি ছাড়া কিচ্ছু দিতে পারি নাই। ডাক্তার বলে, শক্ত কিছু দিলেই বুকে আটকায়ে মারা যাবে। 

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
ভোট গণনাকালীন শিক্ষিকার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের বার্তা

ভোট গণনাকালীন শিক্ষিকার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের বার্তা

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

আদালতের বারান্দায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত, স্ত্রী আটক

আদালতের বারান্দায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত, স্ত্রী আটক

 পিরোজপুরে মুখোশধারীদের হামলায় আহত প্রধান শিক্ষক

পিরোজপুরে মুখোশধারীদের হামলায় আহত প্রধান শিক্ষক

 টুংগিবাড়িয়া গ্রাম আদালত পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগীরা

টুংগিবাড়িয়া গ্রাম আদালত পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগীরা

 সুনামগঞ্জে পিকআপ-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

সুনামগঞ্জে পিকআপ-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

 শ্রম সংস্কারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো, বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

শ্রম সংস্কারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো, বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

 শাহরুখ–আরিয়ানের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার মানহানি মামলা

শাহরুখ–আরিয়ানের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার মানহানি মামলা

 একদিনে ৭০ নতুন কমিটি দিল ছাত্রদল

একদিনে ৭০ নতুন কমিটি দিল ছাত্রদল

 ফরিদপুরে দুর্গাপূজা: ৭৫৮টি মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা, কড়া নিরাপত্তা

ফরিদপুরে দুর্গাপূজা: ৭৫৮টি মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা, কড়া নিরাপত্তা

 বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের পাকিস্তান

বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের পাকিস্তান

 শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায় মশার কয়েল

শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায় মশার কয়েল

 কটাক্ষের শিকার দেব

কটাক্ষের শিকার দেব

 গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

 চুমু খাওয়ার ৭টি চমকপ্রদ শারীরিক উপকারিতা

চুমু খাওয়ার ৭টি চমকপ্রদ শারীরিক উপকারিতা

 ৬ মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চীনের

৬ মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চীনের

 জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

 সময় বাড়ে, ব্যয়ও বাড়ে তবুও শেষ হয় না প্রকল্প

সময় বাড়ে, ব্যয়ও বাড়ে তবুও শেষ হয় না প্রকল্প

 ডাচ প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ডাচ প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

 যে কারণে রাজনীতিতে প্রবাসীরা

যে কারণে রাজনীতিতে প্রবাসীরা

 স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়

স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়

 ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ভোর আসবেই: মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ভোর আসবেই: মাহমুদ আব্বাস

সংশ্লিষ্ট

শ্রম সংস্কারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো, বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

শ্রম সংস্কারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো, বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

সময় বাড়ে, ব্যয়ও বাড়ে তবুও শেষ হয় না প্রকল্প

সময় বাড়ে, ব্যয়ও বাড়ে তবুও শেষ হয় না প্রকল্প

ডাচ প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ডাচ প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়

স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়