পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদ্বোধনী দিনেই এবার পদকের জন্য ঘোষিত ৬২ জন কৃতি পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশনে নিজ নিজ ইউনিটের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া জনমনে আস্থা ফেরাতে জনবান্ধব পুলিশ হতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০ এপ্রিল সকালে পুলিশ অডিটরিয়ামে এসবি, সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র্যাবের প্রেজেন্টেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের বৈঠক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন ১ মে আইজি’র ব্যাজ প্রদান ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২ মে বার্ষিক বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং স্টলের পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। সোমবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ) অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলীর পরিপন্থী। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলি দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।আরো স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, “ছদ্ম পরিচয়” বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং/অথবা সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই দণ্ডাদেশ প্রমাণ করেছে যে ক্ষমতার অবস্থান যাই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেছেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এ বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের আদালত এমন স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছে যা দেশের ভেতর থেকে বৈশ্বিক পরিসর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এ রায় জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষের প্রতি পর্যাপ্ত না হলেও ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন।প্রফেসর ইউনূস বলেন, দেশ এখন দীর্ঘ বছরের দমন-পীড়নে বিধ্বস্ত গণতান্ত্রিক ভিত্তি পুনর্গঠনের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেসব অপরাধের বিচার হয়েছে, নিরস্ত্র তরুণ-তরুণী ও শিশুদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ শুধু আইনের লঙ্ঘনই নয়; রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যকার মৌলিক আস্থার বন্ধনও ভেঙে দিয়েছিল।তিনি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের মৌলিক মূল্যবোধ-মর্যাদা, প্রতিরোধ-ক্ষমতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারে তীব্রভাবে আঘাত করেছিল। প্রায় ১,৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা কেবল কোনো সংখ্যা ছিলেন না; ছিলেন ছাত্র-ছাত্রী, বাবা-মা ও অধিকারসম্পন্ন নাগরিক, যোগ করেন তিনি।প্রফেসর ইউনূস জানান, আদালতে মাসের পর মাসের সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর কীভাবে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানো হয়েছিল। এ রায় তাদের দুর্ভোগকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিশ্চিত করে যে ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে ছাড় নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক জবাবদিহির মূল স্রোতে পুনরায় যুক্ত হচ্ছে। পরিবর্তনের দাবিতে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের অনেকে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে; তাদের আজকের ত্যাগ আমাদের আগামীর পথ তৈরি করছে।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু আইনি জবাবদিহি নয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনও এখন জরুরি। মানুষ কেন প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের জন্য সবকিছু ঝুঁকিতে ফেলতে প্রস্তুত হয়েছিল, এখন তা বোঝা এবং সেই আস্থার উপযোগী সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন।তিনি বলেন, আমি পূর্ণ আস্থা রাখি বাংলাদেশ সাহস ও বিনয়ের সঙ্গে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং প্রতিটি মানুষের সম্ভাবনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার শুধু টিকেই থাকবে না, বরং বিজয়ী হবে এবং তা স্থায়ী হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লালদিয়া টার্মিনালে ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি ডেনমার্ক ও ইউরোপ থেকে বৃহত্তর ও বহুমুখী বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে।সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মায়ের্স্ক গ্রুপ ও ডেনিশ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।সাক্ষাৎকালে রবার্ট মায়ারস্ক উগলা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনালে তাদের বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো ইউরোপীয় কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।মায়ারস্ক উগলা বলেন, ২০৩০ সালে লালদিয়া টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতি আনবে।তিনি বলেন, এটি হবে একটি টেকসই বন্দর, যা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং ড্যানিশ বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত হবে।বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিপিং লাইনের মালিক এই গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, লজিস্টিকস ও সাপ্লাই চেইন খাতেও তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজবে।জানুয়ারিতে দাভোসে হওয়া বৈঠকের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করায় উগলাকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।‘আমরা আনন্দিত ও উত্তেজিত’ এমন মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা এপিএম টার্মিনালসকে দ্রুত লালদিয়া টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু করতে আহ্বান জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত করতে হবে। এটি হবে আমাদের অর্থনৈতিক গেটওয়ে—ভবিষ্যতের দুয়ার। চট্টগ্রাম উপকূলরেখার বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা দেশের প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।উগলা বলেন, মায়ারস্ক গ্রুপ একটি ফাউন্ডেশন-নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান এবং অধ্যাপক ইউনূসের কাজ তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ স্থানীয় সম্প্রদায়ে বড় প্রভাব ফেলবে।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি মাইলফলক।তিনি জানান, ড্যানিশ বিনিয়োগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।ডেনিশ ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট স্টেট মিনিস্টার নিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন নতুন শ্রম আইন অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। তার মতে, এটি আরও ইউরোপীয় কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে।সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হস্তান্তরের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আজকের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।এর আগেও কয়েক দফায় শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ। এজন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। যদিও ভারত এ ধরনের অনুরোধে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কয়েকবার জানিয়েছেন, তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসেনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ