ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০৫:২৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী। তবে সরকারের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও সরকারের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে সরকার যদি কোনও নির্দেশনা দেয়, আমরা সে অনুযায়ী নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করব।
মব ভায়োলেন্সকে সেনাবাহিনী কীভাবে দেখছে। মব ভায়োলেন্স বেড়েছে নাকি কমেছে, নাকি নীরবে চলছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মব ভায়োলেন্স কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা মব ভায়োলেন্স অনেকাংশে কমিয়ে এনেছি। রংপুরের ঘটনাটিতে যে মব ভায়োলেন্স ঘটেছিল সেখানে সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ঈদুল আজহাকেন্দ্রিক কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কতটুকু সন্তুষ্ট জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল আজহার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ বাস ও রেল স্টেশনে এবং লঞ্চ টার্মিনালে দিন-রাত সার্বক্ষণিক টহল দিয়েছেন। এছাড়া স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আমাদের পুরুষ অফিসারদের পাশাপাশি নারী অফিসার ও সৈনিকরা রাস্তায় নেমে নির্দ্বিধায় ঈদের সময় অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা এক হাজার ২৫৫টি গাড়ি থেকে বাড়তি আদায় করা ভাড়া বাবদ ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিকভাবে দেশের মানুষের পাশে কাজ করার চেয়ে ইচ্ছা, প্রবণতা, আন্তরিকতা, সততা এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় পতাকা বিক্রেতাকে পেটানোর ঘটনায় কর্নেল শফিকুল বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক এবং বিচ্ছিন্ন। আমরা পতাকা বিক্রেতাকে ডেকে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং তাকে এক লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছি যাতে সে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।
ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে পুশ-ইন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, এই মুহূর্তে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড তৎপর রয়েছে। টহল, ক্যাম্প ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা এখনো প্রয়োজনীয় মনে করা হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ