সংগৃহীত ছবি
উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের নাম-ঠিকানাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) গঠিত এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-
উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম
প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার
কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা
অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, চতুর্থ শ্রেণি)
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মারুফ বিন জিয়াউর রহমান
মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক (দ্বাদশ শ্রেণি)
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমিটির প্রতিবেদনটি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা ও অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে সদস্যরা।
এছাড়া, এই কমিটি ছাড়াও দুর্ঘটনার সার্বিক দিক, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন।মর্মান্তিক এই ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যানের ছবি ও ভুয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, প্রতারক চক্রটি চেয়ারম্যানের নাম, ছবি এবং ভুয়া নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং প্রতারণামূলক তৎপরতায় জড়াচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।বেবিচক বলছে, ‘সবার উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে, এ ধরনের ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর যোগাযোগ থেকে সতর্ক থাকুন এবং প্রতারণার শিকার হবেন না।যদি কেউ এমন কোনো ফোন কল বা বার্তা পান, তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানান।’সকলকে বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকার এবং প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, ভোটের দিন সাংবাদিকেরা যাতায়াতে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমোদন পাবেন। তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই গোপনকক্ষের ছবি তুলতে পারবেন না।বুধবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) সচিব আখতার আহমেদের সই করা ‘নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করা হয়।নীতিমালা অনুযায়ী, ভোটকক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সরাসরি সম্প্রচার ও গোপনকক্ষের ভেতরে ছবি তোলায় মানা রয়েছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক পাস কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার দেবে ইসি সচিবালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তা।সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে।ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নীতিমালা জারি করা হলেও স্থানীয় সরকারের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও একই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।কী করা যাবে, কী করা যাবে না—ভোটের সময় বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।গোপনকক্ষের ছবি তোলায় বারণ।একসঙ্গে দুটির বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ভোটকক্ষে যাবেন না।১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবেন না।ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোটকেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে করতে হবে।ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে; কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব।বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।পোস্টে প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, ২০০২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অসংখ্য বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব। প্রাথমিকভাবে, পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনদের নিখোঁজ হিসেবে রিপোর্ট করে, তবে হাসপাতাল এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তারা সাধারণত তাদের আত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড ক্রস-রেফারেন্স করে হিসাব বহির্ভূতদের শনাক্ত করতে পারে।পোস্টে তিনি জানান, গতকাল স্কুল পরিদর্শনের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুজন উপদেষ্টা স্কুল ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন। এই সুবিধাটি আহত এবং মৃতদের সংখ্যা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করবে, স্কুলের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পরিসংখ্যান মিলাবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, উপদেষ্টারা কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমে বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিলেন। আমরা আশা করছি আজ এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে।তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করছে এবং সেনাবাহিনী এই প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি যে হতাহতের পরিসংখ্যানকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ সরকারের নেই।তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল আমরা ৯ ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। যদিও আমরা আরও আগে চলে আসতে পারতাম, উপদেষ্টারা শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তারা যতদিন প্রয়োজন ততদিন থাকার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং যখন উপযুক্ত সময় হতো তখনই আমরা রওনা হতাম। প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আমাদের সমবেদনা। এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি এবং তারা সবাই শহীদ। আসুন, আমরা ভবিষ্যতের ট্র্যাজেডি রোধে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করি। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বিমান সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।ভোরের আকাশ/জাআ
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় সৃষ্ট হওয়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ আরও ১৩টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ৪টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিকেল ৩টা থেকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো— রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, এলডিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, সিপিবি, বাসদ, খেলাফত মজলিস, ১২ দলীয় জোট, গণফোরাম।আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে বৈঠকে অংশ নেওয়া আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গতকাল চার দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আজ আরও বেশ ক'টি দলকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবি পার্টির পক্ষ থেকে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে চারটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলো হলো— বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।ভোরের আকাশ/জাআ