ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫ ০৩:০৬ এএম
ডিএনসিসির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে: প্রশাসক এজাজ
শহর থেকে সব বর্জ্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সোমবার (৯ জুন) ঢাকা উত্তর নগর ভবনে আয়োজিত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি প্রশাসক এ কথা বলেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণের জন্য ডিএনসিসি সচেষ্ট রয়েছে। কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে ডিএনসিসি হটলাইনে তথ্য দিলে দ্রুততার সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এবছর মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি, ছাগল ১ লাখ ৫৪৬টি, মহিষ ১ হাজার ৭৬২টি এবং ভেড়া ৪ হাজার ৫৭টি। তবে এবার কোনও উট কোরবানি হয়নি।
প্রশাসক বলেন, গত বছরের তুলনায় কোরবানির সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, ঈদের প্রথম দিন থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নগর কর্তৃপক্ষ সক্রিয় ছিল।
সোমবার (৯ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সোমবার বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল ডিএনসিসির। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোরবানির পর ঢাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ বরাবরের মতোই এবারও উঠেছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রশাসক বলেন, ডেঙ্গুর ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে সকালে ও বিকালে দিনে দুবার মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
বৃষ্টির কারণে বাসাবাড়িতে পানি জমে এডিস মশার প্রজননের ঝুঁকি বেড়েছে। এ বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্রিজের নিচে, রান্নাঘরের কেবিনেট, ছাদ কিংবা গ্যারেজ যেখানেই পানি জমে, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। দেশের বাড়িতে থাকলেও দারোয়ান বা আত্মীয়দের মাধ্যমে বাড়ি সপ্তাহে দুদিন পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডেঙ্গুকে ‘পাবলিক ক্রাইসিস’ উল্লেখ করে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এটা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব নয় সবার সচেতনতা ও অংশগ্রহণ ছাড়া এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ