ছবি: সংগৃহীত
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজিত এশিয়ান মেয়রস ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
এশিয়ান মেয়রস ফোরামের এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল “সহযোগিতামূলক উদ্ভাবন: একটি নিম্ন-কার্বন নিঃসরণ ও টেকসই ভবিষ্যতের শহর নির্মাণ”।
আন্তর্জাতিক এই ফোরামে বাংলাদেশ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ফোরামে টেকসই নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো এবং নগর শাসনে উদ্ভাবনের ভূমিকা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
ফোরামের উদ্দেশ্য ছিল শহরগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, কম কার্বন নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কৌশল ভাগ করে নেয়া এবং প্রযুক্তি ও অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) অর্জনে শহরগুলোকে সহায়তা করা।
এবারের আয়োজনের আয়োজক ছিল ইউএনডিপির চীনে অবস্থিত প্রতিনিধিদপ্তর। এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা ১৬টিরও বেশি শহরের মেয়র, শহর প্রশাসক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির চীনে নিযুক্ত প্রতিনিধি বেয়াতে ট্রাংকমান উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “শহরগুলোকে নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং অর্থায়নের কাঠামোতে নতুন চিন্তা নিয়ে এগোতে হবে, যাতে তারা টেকসই উন্নয়নের পথ তৈরি করতে পারে। শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী শাসন ব্যবস্থাই শহরকে গতি ও স্থিতিশীলতা দিতে পারে।”
ফোরামের মূল পর্বে প্রধান বক্তৃতা, ইন্টার্যাক্টিভ প্যানেল আলোচনা ও মেয়র সংলাপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে অংশগ্রহণকারী শহরগুলোর মধ্যে ছিল, উলানবাটর (মঙ্গোলিয়া), বেইজিং (চীন), সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), সিঙ্গাপুর, ললিতপুর (নেপাল), কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), কলম্বো (শ্রীলঙ্কা), সুভা (ফিজি), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (বাংলাদেশ), মালে (মালদ্বীপ), নমপেন (কম্বোডিয়া), এবং ভিয়েনতিয়েন (লাওস)।
এ ছাড়াও, ফোরামে অংশ নেন জাতিসংঘ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (UN ESCAP), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), UNCTAD, সিটি নেট (CityNet), চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, RICS ও আরুপ (ARUP)-এর প্রতিনিধিরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি সংস্কারের কাজ এগিয়ে চলেছে। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যাতে পরবর্তী সরকার যেই হোক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।”তিনি আরও বলেন, “ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ দিয়েছে। ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে দরকার ছিল ব্যাপক সংস্কার। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা, যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে এবং আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটবে না।”এ সময় দেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া এখন মূল লক্ষ্য। যেসব দেশ ও প্রতিষ্ঠান এ অর্থ গচ্ছিত রেখেছে, তাদের দ্রুত ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানাই।”টাকা পাচার রোধে আন্তর্জাতিক কঠোর আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান তিনি। ভোরের আকাশ/হ.র
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় তিনি বক্তব্য শুরু করেন।ভাষণে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গত ১৪ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস।তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপও ভাষণে গুরুত্ব পাবে।প্রেস সচিবের ভাষায়, “মূল বার্তাটি হবে— আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটি হবে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও উৎসবমুখর।” ভোরের আকাশ/হ.র
জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মামুনুর রশীদ নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর উদ্ধার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের মসজিদ থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদিক রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে পূর্বাচন জামে মসজিদ থেকে দুপুর ২টায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য কুয়েত মৈত্রীর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ইতোমধ্যে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা হাসপাতালে আসছেন।এদিকে, শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিখোঁজ মামুনুর রশীদের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করে তার পরিবার। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামুনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।মামুনের স্ত্রী খাদিজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পাঁচদিন ধরে আমার স্বামীকে পাচ্ছি না। আমি কোথায় গেলে সন্তানদের তার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারব? সরকার কী পারে না মাওলানা মামুনকে ফিরিয়ে দিতে? আমার স্বামীকে ছাড়া অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের মাদরাসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার সন্তান সারাক্ষণ বাবার খোঁজ করে। ওকে আমি কীভাবে বুঝাবো? আমার স্বামীকে জুমাআর দিনেও কি পাব না?এ সময় তিনি নিরাপদে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মামুনের মা-বাবা সন্তানের জীবিত ফেরার আকুতি জানান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন যে, পিআর পদ্ধতির দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল পার্টির (এনসিপি) প্রতীক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ সাটুহল মিলনায়তনে একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এই মন্তব্য করেন।নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এই কর্মশালাটির আয়োজন করে সিবিটিইপি প্রকল্প।আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যমান আইনেই কমিশন সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে এবং করবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না ও করবে না। সুতরাং আইনে যেভাবে আছে, নির্বাচন কমিশন সেভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা মনে করি ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সদা প্রস্তুত।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও জানান, কমিশন নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে যেন অতীতের নির্বাচনে যারা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের এবার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা যায়।কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ এবং পুলিশ সুপার রেজাউল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.