ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫ ০৮:১৯ পিএম
‘চামড়া শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে’
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্টের আমলের পুরোনো চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটশিল্পের ধ্বংসের বিদেশি চক্রান্ত সফল হওয়ার পর আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের ধ্বংসের চক্রান্ত সফল হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মীর্জা শরিফুল আলম, কলামিস্ট লায়ন মীর আবদুল আলীম, পরিবেশবিদ বাপ্পী সরদার প্রমুখ।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানি দাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্য দাম মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এবার বিপুলসংখ্যক পশু জবাই হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আবার প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়াশিল্প।
দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী, অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ