ছবি: সংগৃহীত
সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের (ইউএন) একটি শান্তিরক্ষা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন– সৈনিক শামীম, মোমিন, সিপিএল মাসুদ, সৈনিক শান্ত, জাহাঙ্গীর ও ধুপি সবুজ। আহতদের আটজনের মধ্যে রয়েছেন–সৈনিক মেজবা, উম্মে হানি, চুমকি, ইতি, মহিবুল, সার্জেন্ট মোস্তাকিম, সৈনিক মানাজির ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালাকুজ্জামান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সুদানের কোরদোফান এলাকায় জাতিসংঘের ভবনে হামলা হয়েছে। এই হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে সুদানের সরকার। সরকারের এক বিবৃতিতে, এ হামলার জন্য সরকারবিরোধী আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে দায়ী করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন দিয়ে জাতিসংঘের ওই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের মাঝে অবস্থিত ‘আবেই’ একটি সংঘাতপ্রবণ অঞ্চল। উভয় দেশ এ অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে। ফলে এখানে প্রায়ই সংঘাত হয়। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী এখানে জাতিসংঘ মিশনে কাজ করছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাইযোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।এতে জানানো হয়, শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এসময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।এর আগে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আজ সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ওসমান হাদির কফিন বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এরপর সেখানে তার কফিনের পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের মিয়া গোলার পরওয়ার, আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, যাকসু ভিপি সাদিক কায়েমসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা।জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ সরাসরি হিমঘরে রাখা হবে। এরই মধ্যে মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স হিমঘরের পথে রওনা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। চিকিৎসকদের ভাষায়, তার অবস্থা ছিল ‘অত্যন্ত সংকটজনক’।উন্নত চিকিৎসার আশায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল; দীর্ঘ এক যাত্রা, যার শেষটা আর দেশে ফেরা হলো না। তিন দিনের জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষে হার মানেন এই তরুণ নেতা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করেছে। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ঢাকায় নামে। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ গ্রহণ করতে বিকেলে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে এবং শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেন। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে।হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘোষণা দেন। তিনি আরও জানান, হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে। আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে দাফনের স্থান সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আজ বাদ জুমা হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় সারা দেশের মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে সহিংসতা পরিহার করে নিজ নিজ এলাকায় খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগে অংশ নেওয়ার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, দেশে–বিদেশের মানুষের দোয়া— সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও।ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।”হাদির মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ‘ভাইয়া, আল্লাহ যদি আমাকে নিয়ে যায়, আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’— শিরোনামের একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে আবেগ ছড়িয়েছে।ভিডিওটি এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের সময় ধারণ করা। সেখানে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে নিজের সন্তান ও পরিবারের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাদি।ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিজেকে আল্লাহর কাছে সপে দিয়েছি। মন খারাপ হয়— আল্লাহ যদি কোনো দিন আমাকে নিয়ে যায়, তো এই যে ছেলেমেয়েগুলা… আল্লাহ আমাকে একটা সন্তান দিসে, তিন মাস বয়স ওর। আমার বাচ্চাটারে তিন মাসে ত্রিশ মিনিটও কোলে নিতে পারি নাই। আমার ওয়াইফ মাঝে মাঝে মজা করে বাচ্চাকে বলে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে।”তিনি আরও বলেন, “এই প্রথম মনে হইলো আমি আমার ভাইয়াকে বলি— ভাইয়া, আল্লাহ যদি আমাকে নিয়ে যায়, আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। কিন্তু এই কথাটা আমি আর বলতে পারি নাই।”নিজের লড়াই ও বিশ্বাস নিয়ে হাদি বলেন, “আমার সারা জীবনের সততা আর সাহসের পেছনে আমার আব্বা আছেন। আল্লাহ যদি আমাকে রহম করেন, তাহলে আমার সন্তান, পরিবার, ভাইবোন আর ইনকিলাব মঞ্চের ভাইবোনদের আল্লাহই দেখবেন। কারো কাছে আর কোনো প্রত্যাশা নাই।”উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হামলায় জড়িত হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে গত সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।সেখানেই শেষ পর্যন্ত জীবনের লড়াইয়ে হার মানেন ইনকিলাব মঞ্চের এই নেতা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ঘটনার পরপরই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলার প্রায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সে সীমান্ত অতিক্রম করে।তদন্তে উঠে এসেছে, গুলির ঘটনার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করা হয়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ফিলিপের দুই সহযোগীর জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফয়সাল ও তার এক সহযোগী ভারতে পালিয়ে যায়।তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ফয়সালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইপি অ্যাড্রেস বিশ্লেষণ করে বুধবার তার অবস্থান ভারতের মহারাষ্ট্রে শনাক্ত করা হয়েছে। সে দেশটির রিলায়েন্স কোম্পানির একটি সংযোগ ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।যদিও হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই অভিযুক্ত এখনো পলাতক, তবে তদন্তে পুরো ঘটনার নকশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশে ফিরে ফয়সাল করিম মাসুদ, কামাল, রুবেল ও মাইনুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তারা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তে উঠে এসেছে।কিলিং মিশন যেভাবে পরিচালিত হয়গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৮ মিনিটে বাংলামোটরের ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান ফয়সাল ও তার সহযোগী কবির। প্রায় ছয় মিনিটের ওই বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করা হয় এবং একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে ফয়সাল আবারও ওই কেন্দ্রে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নতুন সহযোগী আলমগীর। ওই বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং এর মাধ্যমেই হাদির প্রচারণা টিমে যুক্ত হয় ফয়সাল। পরদিন ১২ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় হাদির প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেয় তারা।তদন্তে বলা হচ্ছে, প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার পরই হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। নরসিংদী, সাভার ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রেকি করা হয়। ১১ ডিসেম্বর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফয়সাল পশ্চিম আগারগাঁওয়ে তার বোনের বাসায় ওঠে। হামলার দিন ভোরে উবারে করে হেমায়েতপুরের একটি রিসোর্টে যায় তারা।রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে শুক্রবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে ফয়সাল ও আলমগীরের গাড়ি প্রবেশের দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া ও তার বোন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেখানে হাদির একটি ভিডিও দেখিয়ে ফয়সাল হামলার পরিকল্পনার কথা জানায় এবং ঘটনার পর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।পরে বান্ধবীকে বাড্ডায় নামিয়ে দিয়ে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আগারগাঁওয়ের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে বের হয় ফয়সাল ও আলমগীর। তারা সরাসরি সেগুনবাগিচায় হাদির প্রচারণায় যোগ দেয়। দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে হাদি মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা হলে অভিযুক্তরা পিছু নেয়।দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হাদিকে বহন করা অটোরিকশা মতিঝিলের জামিয়া দারুল উলুম মসজিদের সামনে পৌঁছায়। সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন হাদি। নামাজ শেষে দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তিনি সেখান থেকে রওনা হলে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা অনুসরণ করতে থাকে। মতিঝিল হয়ে পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ঢোকার পর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে খুব কাছ থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.