ছবি সংগ্রহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা এবার প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, “প্রতি নির্বাচনে লাখো মানুষ নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু এতদিন তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এবার তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরাও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।”
তিনি আরও জানান, আদালত কর্তৃক ‘পলাতক’ ঘোষণা করা কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এমনকি বিচারাধীন অবস্থায় পলাতক হলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে।
আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনী প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “নতুন সংশোধনীতে ইভিএম সম্পর্কিত বিধানগুলো বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে হলে প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয়, সম্পত্তি ও সম্পদের পূর্ণ বিবরণ এফিডেভিটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী এই তথ্যগুলো নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ তাদের এলাকার প্রার্থীদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন।”
এছাড়া নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাবও এই আইনে রাখা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
ভোরের আকাশ//হর
সংশ্লিষ্ট
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মন্তব্য করেছেন, দেশে এক–এগারো পরিস্থিতি আবার ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে, যদি আমরা রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে ব্যর্থ হই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা সংলাপ বা আলোচনার দিকে যাচ্ছি না, যা দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে নাগরিক কোয়ালিশন, ব্রেইন, ভয়েস রিফর্ম, ইনোভিশন, ফিনটেক সোসাইটি আয়োজিত ইকোনমিক রিফর্ম সামিটের দ্বিতীয় দিন তিনি এ মন্তব্য করেন।তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এক-এগারো আবার ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে। রাজনৈতিক সংঘাত হবে—এমন এক জায়গায় আমরা দেশকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা সংলাপ বা আলোচনার দিকে যাচ্ছি না।তিনি বলেন, নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা চেয়েছিলাম শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম বদল বা পদ-পদবির রদবদল নয়, বরং সিস্টেমের বদল।তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করে আওয়ামী লীগ অনেক বড় শক্তি। না, আওয়ামী লীগ বড় শক্তি নয়। তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা টিকেছিল সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্রেসির আনহোলি নেক্সাসের জোরে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বড় প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।তিনি বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং বাকিরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে। ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও ইইউ সহায়তা করবে।প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে। তিনি সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকেও ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন।‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বাড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালামের সই করা এক চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, অফিস সময়ের বাইরে নির্বাচন ভবনের আশপাশে রাত পর্যন্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় সেখানে নাশকতার ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মনে করছে ইসি। এ কারণে এসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধসহ নিরাপত্তা টহল জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।চিঠিতে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটে কিছু দুষ্কৃতিকারী নির্বাচন ভবনের ভাস্কর্যের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ অবস্থায় ভবনের আশেপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশেপাশে পুলিশ টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।চিঠিতে বলা আরও হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না। দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ(ইউএলবি)'র ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও। তিনি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। এসময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-ইউএলবি এর উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান।এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ