ফাইল ছবি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যদি আমরা কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। কমিশন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এটা সবার ব্যর্থতা হবে। সেই জায়গায় আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না। অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির পথে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিনের আলোচনা থেকে কাঠামোগত বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, কমিশন কোনো ভিন্ন সংগঠন নয় এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সমষ্টিগত প্রয়াস। কমিশনের ব্যর্থতা মানেই আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আর আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।
আজকের আলোচনায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) নিবন্ধন চাওয়া নতুন ১৪৪টি দল। এসব দলকে তাদের আবেদনপত্রে ঘাটতি থাকা কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।ইসি জানায়, প্রাথমিকভাবে যাচাই করে দেখা গেছে, কোনো দলেরই জমা দেওয়া আবেদনপত্র পুরোপুরি মানসম্পন্ন নয়। প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চিঠি পাঠানো হবে বাকি ৮২টি দলকে। সংশোধনের সুযোগ থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘাটতি পূরণ না হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।এর আগে, গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী দলগুলোকে আবেদন করতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ইসি। পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করা হয়। এ সময়ের মধ্যে মোট ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি।ভোরের আকাশ/জাআ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল। এ কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত 'শ্রাবণ বিদ্রোহ', বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত 'সময়ের বীর শহিদ তানভীর' এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত 'দ্য মনসুন রেভুলেশন' প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।এদিন শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের নজরে এসেছে যে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ একটি রিট আবেদনে একটি রুল জারি করেছে যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা উচিত নয়। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলটির জবাব দেবে।ইতিমধ্যে, সরকার স্পষ্ট করে বলতে চায় যে অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করার ইচ্ছা নেই, এবং সরকার অধ্যাপক ইউনূসকে এই ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনাও করে না। রিট আবেদনকারী নিজেই আবেদনটি দায়ের করেছেন বলে মনে হচ্ছে এবং কী ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বিষয়টির সমাধান করবে।’উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।একইসঙ্গে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।ভোরের আকাশ/জাআ