× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গণভোটে ঘোলাটে রাজনীতি

মাজাহারুল ইসলাম

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৩০ এএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গণভোট সম্পর্কে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল এবং ঐকমত্য কমিশনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বিস্তারিত অবগত হলেও সাধারণ জনগণ-এ সম্পর্কিত ধারণা নেই বললেই চলে। ‘গণভোট আসলে কী’-এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, গণভোট এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে জনগণ কোনো আইন, প্রস্তাব বা রাজনৈতিক বিষয়ে সরাসরি ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নয়।  এই গণভোট নিয়েই এখন দেশজুড়ে আলোচনার পারদ চড়ছে।

গণভোট কবে হবে-এ নিয়ে চুলছেরা বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর। ঐকমত্য কমিশন এখনো গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করেননি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্য গণভোট কবে হবে এ নিয়ে চলছে মতানৈক্য।  কেউ বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের আগে।

আবার কেউ বলছে, জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোট হবে। আবার কেউ কেউ বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে হবে গণভোট। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অনুয়ায়ী, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলছে। তবে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো এর সঙ্গে একমত নয়।

জামায়াত ইসলাম ও এনসসিপি বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগেই গণভোট হতে হবে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদের ভোটের পরে গণভোট। দলগুলোর ত্রিমুখী অবস্থানের কারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে যেতে বাধ্য হতে পারে ধারণা বিশিষ্টজনদের। তাদের ভাবনায়, বিশেষ করে গণভোটের আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন অব্যাহত থাকলে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কঠোর হতে পারেন। সরকারপ্রধান হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করে সরকারের সব পক্ষকে জানিয়ে দেবেন।

ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতার আভাস মেলেনি। পাশাপাশি সরকারের নানা পক্ষগুলোও দিনক্ষণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ড. বদিউল আলম মজুমদার ভোরের আকাশকে বলেন, এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য দেখা যায়নি। গণভোট কবে নাগাদ হতে পারে, এ নিয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আলোচনা চলছে সব পক্ষের মধ্যে, এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে, কমিশন সূত্র জানা যায়, গণভোট অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে দলগুলোর যুক্তি আছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বশক্তি নিয়োগ করে সনদের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারতো। এক্ষেত্রে জুলাই সনদের প্রতি জনগণের সম্মতি আসার সম্ভাবনা বেশি। যদি নির্বাচনের দিন হয়, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতীকের বিজয়ের দিকেই মনোযোগী হবে, ফলে জুলাই সনদের গুরুত্ব হ্রাস পাবে।

বিএনপির সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জুলাই সনদে গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে দলটির একাধীক স্থায়ী কমিটির সদস্য বিভিন্ন সভায় তাদের বক্তব্যে বলছেন  নির্বাচনের আগে গণভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত’ হিসেবেই চিহ্নিত করছেন।

এছাড়া, প্রসঙ্গে আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জুলাই সনদে যে যে দল যা প্রস্তাব করেছে, তা উল্লেখ থাকতে হবে। আমরা চাই, যেদিন জাতীয় নির্বাচন হবে সেদিনই জুলাই সনদের ওপর মানুষের মতামত বা গণভোট নিতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদের স্বীকৃতি আনতে গণভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির একটি প্রসঙ্গ রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের একজন সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে গণভোট করতে সক্ষম কিনা, এই প্রশ্নও রয়েছে।

তবে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, গণভোট নির্বাচনের জন্য দু-আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের যে তথ্য সামনে আসছে, তা বড় কোনো অঙ্ক নয়। এই খরচ বহনে সক্ষম সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একজন সদস্য উল্লেখ করেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করার বিষয়ে দিনক্ষণ নির্ধারণের কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। তিনি আশা করেন, সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেলে ভালো। কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো খুব ছোট ছোট বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে বড় বিপদ ডেকে আনছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের একজন সদস্যের পর্যবেক্ষণ-পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। ঘটনা অন্য কোথাও। এর পেছনে একটি ধর্মভিত্তিক দলের ভূমিকা রয়েছে। কারণ জাতীয় নির্বাচন পেছালে তাদের সুবিধা হবে।

গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে দলগুলোর বিরোধে সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করছে কি না- এ প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ভোরের আকাশকে বলেন, সরকার তো এর থেকে আরও সহজ অবস্থানেও আসতে পারে। নেগেটিভটা ভাবেন কেন, আমরা তো পজিটিভ ভাবি। রাজনৈতিক নেতারা ঐকমত্য হলে সবকিছুই সম্ভব। একদিনে হলে ভালো, তারা যেমন বলছে, আগে বলুক, আগে হলে ক্ষতি কী- এমনটাই বললেন জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সব অ্যারেঞ্জমেন্টে করা, এখানে কোনো ক্যাম্পেইন নাই, কোনো পোস্টার নেই, কোনো পার্টি নেই, একটা ব্যালটে মাত্র। স্টাবলিশমেন্ট ইজ দেওয়ার যে এখানে কোনটা ‘হ্যাঁ’ হলো, কোনটা ‘না’ হলো- তার ভিত্তিতেই মানুষের মধ্যে একটা কনসাশনেস হলো। ভোটের আগেই এটা মানুষকে বুঝতে হবে। মানুষের মতামত, জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব হবে।

তিনি বলেন, একদিনে হলে তো ভোটের ব্যালট কী হচ্ছে, গণভোটের ব্যালটে কী হচ্ছে- এটা কেউ বুঝতে পারছে না। একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আমি যাচ্ছিÑ সংস্কার প্রস্তাবনার পজিশনের কী হলো। এ জন্য একটা ক্রিটিক্যাল অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য গণভোট আগে হওয়া দরকার।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমাদের ভোটের ইতিহাস বলছে, সাধারণ একটা ব্যাপার, ভোটকেন্দ্রে একটা ঝামেলা হয়। ভোট কাটাকাটি হয়, ইলেকশন স্থগিত হয়। এমন ঘটনা ঘটেনি এমন কোনো নির্বাচন নাই। বেশি হোক, কম হোক হয়েছে তো। এখন যদি একদিনে হয়, হঠাৎ করে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়ে গেল, তা হলে আমার গণভোটের দশাটা কী হলো। ওখানে কি আবার গণভোটের পুনর্নির্বাচন হবে, নাকি শুধু জাতীয় নির্বাচন হবে? এসব টেকনিক্যাল ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমরা বলেছি, বিফোর ইলেকশন গণভোট নেওয়া হোক শান্তিপূর্ণভাবে।

তিনি বলেন, শুধু একজন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বের ইগোকে প্রাধান্য দেবেন, না জনস্বার্থ, জনআকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দেবেন- এটা হচ্ছে মূল ম্যাটার। এটা খেয়াল রাখতে হবে।

ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠিত হবে, তার হাতে যেতে পারে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব। ৯ মাসের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের শর্ত দেওয়া হবে তাদের। কিন্তু পরিষদ শর্ত না মানলে কী হবে, তা ঠিক করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ফলে গণভোটে সাংবিধানিক আদেশ অনুমোদিত হলেও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। বিশেষজ্ঞরা সনদ বাস্তবায়নে নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কমিশন বাধ্যতামূলক করতে চায়, তবে তার উপায় বের করতে পারেনি।

সূত্র জানায়, সাংবিধানিক আদেশের কাঠামো তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে সাংবিধানিক আদেশের খসড়া। এরপর জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। সরকার সাংবিধানিক আদেশ জারি করবে। তাতে বলা থাকবে, গণভোট কবে হবে।

এ প্রসঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আদেশের কাঠামো অনেকটাই প্রস্তুত। শিগগির খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। জুলাই সনদে সই না করা এনসিপির দাবি, সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের মাধ্যমে আগামী সংসদের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। তবেই তারা সনদে সই করবে।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা সনদে সই করতে চান। তবে কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। সেগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে ব্যাখ্যার জন্য। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই আছে। সেগুলো বিবেচনা করে এগোচ্ছি। মূল লক্ষ্য, সব দল যেন সনদে সই করে।

কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দুই সদস্য বলেন, নির্ধারিত ৯ মাসের মধ্যে সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার না করলে কী হবে- এ-সংক্রান্ত তিনটি বিকল্প নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বিকল্প-৯ মাসের মধ্যে ব্যর্থ হলে সাংবিধানিক সংস্কার পরিষদ ও সংসদ বিলুপ্ত হবে। নতুন নির্বাচনে নতুন করে পরিষদ গঠিত হবে। কিন্তু এতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আইনিভাবে এ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হলেও রাজনৈতিকভাবে নয়। কারণ, সংস্কার না করার কারণে ৯ মাস পর সংসদ বিলুপ্ত হলে পরের নির্বাচন কার অধীনে হবে, এর জবাব মিলছে না। দ্বিতীয় বিকল্প-৯ মাসের মধ্যে সংস্কার না করলে জুলাই সনদ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এ প্রস্তাবও বাতিল হয়েছে আলোচনায়।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, সনদে সংস্কারের প্রথম সিদ্ধান্ত ভাষা-সংক্রান্ত। এতে বলা হয়েছে, বাংলা হবে রাষ্ট্রভাষা। নাগরিকদের অন্যান্য মাতৃভাষাও স্বীকৃতি পাবে। সনদে বলা হয়নি, কোন কোন ভাষা স্বীকৃতি পাবে। বিষয়টি নির্ধারণ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। জুলাই সনদ সংবিধান সংশোধনের বিল নয়, ফলে ৯ মাস পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংস্কার সম্ভব নয়। এখনো কোনো সংস্কার বিল খসড়া করা হয়নি। কাজটি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের, যারা পরিষদ বা সংসদে বসে বিতর্কের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন। তৃতীয় বিকল্প- নির্বাচনের পর প্রথমে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন হবে। দ্রুত সনদ অনুযায়ী সংস্কার করার পর পরিষদ সদস্যরা সংসদ গঠন করবেন। তারপর সরকার গঠিত হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, এ পদ্ধতি আইনিভাবে সঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, নির্বাচনের পরও কয়েক মাস সংসদ গঠন না হলে সরকারে কে থাকবে? অন্তর্বর্তী সরকারকে ততদিন মানবে না রাজনৈতিক দলগুলো। বর্তমান সরকারও নির্বাচনের পর থাকতে রাজি নয়। কমিশন ২৭০ দিনের সময়সীমা রাখবে। কিন্তু সময় শেষে কী পরিণতি হবে, তা উল্লেখ থাকবে না সুপারিশে।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, এসব কারণে সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক না করে নির্দেশনামূলক করা হতে পারে আগামী সংসদের জন্য। সইকারী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গিয়ে সনদ মানবে- এই আশাবাদ ছাড়া কিছু করার নেই। জুলাই সনদ পরিষদে অনুমোদনের পদ্ধতি কী হবে? তা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন করবে? এসব নিয়েও মতভেদ রয়ে গেছে।

সূত্র জানায়, বাহাত্তরের গণপরিষদ সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংবিধান অনুমোদন করেছিল। পৃথিবীর সব দেশেই এই নীতি অনুসরণ করা হয়। কিন্তু সংবিধান সংশোধনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাধ্যতামূলক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সদস্য বলেছেন, জুলাই সনদে যেসব সংস্কারের সিদ্ধান্ত রয়েছে, সেগুলো সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়, অর্থাৎ ১৫১ আসন পেলে অনুমোদন করতে পারবে পরিষদ। জুলাই সনদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে দুই-তৃতীয়াংশ তথা ২০০ এমপির সমর্থন লাগবে- এমন বিধান রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
সংবিধান সংস্কারে গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন

সংবিধান সংস্কারে গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ আজ জমা দেবে কমিশন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ আজ জমা দেবে কমিশন

ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ হস্তান্তর কাল

ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ হস্তান্তর কাল

জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

 অংশীজনদের সাথে গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা

অংশীজনদের সাথে গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা

 চিতলমারীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

চিতলমারীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

 কাপাসিয়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

কাপাসিয়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

 সাভারে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি

সাভারে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি

 বালিয়াকান্দিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

বালিয়াকান্দিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

 আমরা রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে যাচ্ছি: তথ্য উপদেষ্টা

আমরা রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে যাচ্ছি: তথ্য উপদেষ্টা

 বেনাপোলে মানব পাচার প্রতিরোধে নাটক ও জারি গান অনুষ্ঠিত

বেনাপোলে মানব পাচার প্রতিরোধে নাটক ও জারি গান অনুষ্ঠিত

 পিরোজপুরে জমে উঠেছে সুপারির বাজার

পিরোজপুরে জমে উঠেছে সুপারির বাজার

 আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ

 জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 মঠবাড়য়ার সৌদি প্রবাসী হাসপাতালের মালিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঠবাড়য়ার সৌদি প্রবাসী হাসপাতালের মালিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

 রাজবাড়ীতে নসিমনের ধাক্কায় নারী নিহত

রাজবাড়ীতে নসিমনের ধাক্কায় নারী নিহত

 টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার

 রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতা নাসিম আকনের মৃত্যু

রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতা নাসিম আকনের মৃত্যু

 নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

 ঈশ্বরগঞ্জে পিআইও’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, অপসারণ দাবি

ঈশ্বরগঞ্জে পিআইও’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, অপসারণ দাবি

 জামায়াত-শিবির এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ: ড. মাসুদ

জামায়াত-শিবির এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ: ড. মাসুদ

 চিতলমারীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

চিতলমারীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

 ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪১

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪১

সংশ্লিষ্ট

জামায়াত-শিবির এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ: ড. মাসুদ

জামায়াত-শিবির এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ: ড. মাসুদ

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এবি পার্টির চেয়ারম্যানের বৈঠক

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এবি পার্টির চেয়ারম্যানের বৈঠক

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

ধর্ম বিকৃত করে ভোটের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন: ফারুক

ধর্ম বিকৃত করে ভোটের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন: ফারুক