ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩৪ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দুই কোটি টাকার চাঁদাবাজদের ধরেছেন, ভালো কথা। কিন্তু ২ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজদের খবরও আপনাদের কাছে আছে। তাদের নাম প্রকাশ করুন অতিসত্বর। গত ১১ মাসে কে কী করেছে, সেটাও প্রকাশ করুন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার ১১ মাস পার হলেও এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি, যা জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থি।
বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ডা. এম ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ প্রমুখ।
ফারুক বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামগঞ্জ, চা দোকান, মহল্লায় এখন একটি প্রশ্ন– আপনারা তো কারো পক্ষের লোক না, তাহলে কেন এখনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না? শাহাবুদ্দিন আহমেদ মাত্র তিন মাসের মাথায় এরশাদের ১০ বছরের দমন-নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ১১ মাসেও নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা তো রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের নেতা শহীদ জিয়া দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আমাদের নেত্রী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষকের সন্তান ১৬টি বছর দেশের বাইরে থেকে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতাদেরকে দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আপনাদেরকে সহায়তা করে হাসিনাকে বিদায় করেছে। সেই বিদায়ের ফল কি আজকে ১১ মাসে আমরা পেয়েছি?
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, জামায়াতে ইসলামী, আপনারা কোনো একসময় আমাদের বন্ধুও ছিলেন। অবহেলা করি না, করতেও চাই না। কিন্তু মনে দুঃখ হয়, যখন দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে লড়াইয়েও আপনারা এক সময় আমাদের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু ঠিক যেই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু রাজনৈতিক দল নানা অজুহাত দিচ্ছে। কখনো বলছে পিআর, কখনো বলছে সংবিধান সংশোধন না হলে নির্বাচনে যাবে না। এসব অজুহাত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
ফারুক বলেন, বিএনপি কোনো অন্যায়ের পক্ষপাতী নয়। আমাদের কর্মীরা যদি ভুল করে, তারেক রহমান নিজে ব্যবস্থা নিয়েছেন, বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন। তারপরও আমাদের বদনাম দেওয়া হচ্ছে। অথচ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ