ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫ ০১:৫১ এএম
মৃত আত্মীয়কে স্বপ্নে দেখার অর্থ কী? ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি বলছেন যা
মানুষ মৃত্যুর মাধ্যমে পার্থিব জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনে পা রাখে। পরকালীন মুক্তির জন্য যেমন আল্লাহর আদেশ মানা জরুরি, তেমনি রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করাও অপরিহার্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেবেন’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)।
মৃত্যুর পর প্রত্যেকের সামনে জান্নাত বা জাহান্নামের আবাসস্থল তুলে ধরা হয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, “মৃত ব্যক্তির সামনে তার আবাসস্থল দেখানো হয়— সে যদি জান্নাতি হয় তবে জান্নাতের স্থান, আর জাহান্নামী হলে জাহান্নামের স্থান দেখানো হয়” (তিরমিজি, হাদিস: ১০৭২)।
এদিকে, অনেকেই মাঝে মাঝে স্বপ্নে মৃত বাবা-মা, আত্মীয় বা পরিচিতদের দেখতে পান। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নও জাগে। ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখার দুটি ধরন থাকতে পারে— ভালো কিছু দেখা অথবা খারাপ কিছু দেখা।
তার মতে, যদি স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিকে কষ্টে থাকতে দেখা যায়, কিংবা নিজের মধ্যে অস্থিরতা বা উদ্বেগ কাজ করে, তাহলে মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাত চাওয়া এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সদকা ও দান করা উচিত। প্রয়োজনে মৃত ব্যক্তির নামে হজ বা ওমরার মতো আমল করাও সওয়াবের কাজ।
অন্যদিকে, যদি মৃত ব্যক্তিকে হাসিখুশি বা শান্তভাবে দেখা যায়, তাহলে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা উচিত এবং তার ভালো অবস্থার ব্যাপারে সু-ধারণা পোষণ করতে হবে। তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, স্বপ্ন কোনো নিশ্চিত দলিল নয়। কারো স্বপ্ন দেখে শুধু ধারণার ওপর ভিত্তি করে বিচার করে নেওয়া উচিত নয় যে, কেউ জান্নাত বা জাহান্নামে রয়েছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “স্বপ্নে যা-ই দেখা হোক না কেন, একজন মুসলমানের উচিত সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও সু-ধারণা পোষণ করা।”
ভোরের আকাশ//হ. র