ফাইল ছবি
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ জন বাংলাদেশি হাজি। সোমবার (৩০ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫৫ হাজার ৫০৬ জন হাজি।
চলতি মৌসুমে হজযাত্রী পরিবহনে অংশ নিয়েছে তিনটি এয়ারলাইন্স—বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফিরিয়ে এনেছে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার ৭৬৭ জন হাজি। সৌদি এয়ারলাইন্স ফিরিয়েছে ২৪ হাজার ৯৭০ জন এবং ফ্লাইনাস ৮ হাজার ৭৭৬ জন।
এ পর্যন্ত মোট ১৬০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে ৭১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৩টি ফ্লাইট। হজ অফিস জানিয়েছে, এই ফ্লাইট কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।
চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ ছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতা।
উল্লেখ্য, এবারের হজযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল থেকে। সর্বশেষ হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৩১ মে এবং মূল হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ জন বাংলাদেশি হাজি। সোমবার (৩০ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫৫ হাজার ৫০৬ জন হাজি।চলতি মৌসুমে হজযাত্রী পরিবহনে অংশ নিয়েছে তিনটি এয়ারলাইন্স—বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফিরিয়ে এনেছে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার ৭৬৭ জন হাজি। সৌদি এয়ারলাইন্স ফিরিয়েছে ২৪ হাজার ৯৭০ জন এবং ফ্লাইনাস ৮ হাজার ৭৭৬ জন।এ পর্যন্ত মোট ১৬০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে ৭১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৩টি ফ্লাইট। হজ অফিস জানিয়েছে, এই ফ্লাইট কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ ছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতা।উল্লেখ্য, এবারের হজযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল থেকে। সর্বশেষ হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৩১ মে এবং মূল হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন।ভোরের আকাশ/আজাসা
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ জন। সোমবার (৩০ জুন) হজ পোর্টালের সবশেষ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, দেশে ফেরা হজ যাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫৫ হাজার ৫০৬ জন।হজযাত্রী পরিবহনে তিনটি এয়ারলাইনস যুক্ত ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিবহন করেছে ২৬ হাজার ৭৬৭ জন, সৌদি এয়ারলাইনস পরিবহন করেছে ২৪ হাজার ৯৭০ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিবহন করেছে ৮ হাজার ৭৭৬ জন হাজিকে।এদিকে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।প্রসঙ্গত, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজে গিয়েছেন। তাদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি গিয়েছিল ৩১ মে। হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈমান শুধু মুখে উচ্চারণের নাম নয়, বরং তা অন্তরের গভীর অনুভূতির নাম, যা একজন মুমিনকে আল্লাহর দিকে একান্তভাবে প্রবাহিত করে। আর এই ঈমানের এমন এক বিশেষ স্বাদ বা তৃপ্তি রয়েছে, যা শুধু কিছু গুণাবলীর অধিকারীরাই উপভোগ করতে পারেন বলে জানিয়ে গেছেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—“তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে, সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে।”এই তিনটি গুণ হলো: আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তাঁর কাছে সবকিছুর চেয়ে বেশি প্রিয় হওয়া। কোনো মানুষকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসা। কুফরিতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো ঘৃণিত মনে করা।(মুসলিম, হাদিস: ৪৩; আহমাদ, হাদিস: ১২০০২)ঈমান কী?ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়, ঈমান হলো—মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে দ্বীন হিসেবে যা কিছু এনেছেন, তা মনেপ্রাণে স্বীকার করা, বিশ্বাস করা এবং মেনে নেওয়া। এই বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণই একজন মুমিনকে চিরন্তন জাহান্নাম থেকে মুক্তি এনে দেয়। বিপরীতে, যারা ঈমান বর্জন করে, তারা পরিণত হন চিরজীবনের জন্য জাহান্নামের বাসিন্দায়।কোরআনে ঈমানের স্বাদ ও বৃদ্ধি প্রসঙ্গেআল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ঈমান বৃদ্ধি সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন:“যখন কোনো সূরা নাজিল হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে—‘এ সূরা তোমাদের কার ঈমান কতটা বাড়াল?’ যারা ঈমান এনেছে, তাদের ঈমান এতে বাড়ে এবং তারা আনন্দিত হয়।”(সূরা তাওবা, আয়াত: ১২৪)অন্যত্র আল্লাহ বলেন:“যখন তাদের সামনে কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়।”(সূরা আনফাল, আয়াত: ২)এ থেকে বোঝা যায়, কোরআন পাঠ, অর্থ ও মর্মার্থ অনুধাবন এবং সে অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি পায়, ঈমান শক্তিশালী হয়। এতে অন্তর আলোকিত হয়ে ওঠে ঈমানের নূরে।সাহাবিদের দৃষ্টিভঙ্গিহজরত আলী (রা.) বলেছেন,“যখন ঈমান অন্তরে প্রবেশ করে, তখন তা শ্বেত বিন্দুর মতো দেখা যায়। যত ঈমান বাড়তে থাকে, সেই বিন্দু ততই প্রসারিত হতে থাকে, অবশেষে গোটা অন্তর নূর ও আলোয় পূর্ণ হয়ে যায়।”(তাফসিরে মাযহারী, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩২৬; মা‘আরিফুল কুরআন, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪৯৪)উপসংহারঈমানের স্বাদ এক অতুলনীয় আত্মিক প্রশান্তি, যা কেবল ঐসব হৃদয়েই স্থান পায়, যাঁরা ঈমানকে জীবনের প্রতিটি স্তরে ধারণ করেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সর্বোচ্চ ভালোবাসা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা শুধুই আল্লাহর জন্য, আর কুফরি থেকে ভয়াবহ পরিহার—এই গুণগুলো যার মধ্যে থাকবে, সেই সত্যিকারের মুমিনই ঈমানের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে।আল্লাহ যেন আমাদের সেই সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যারা ঈমানের আসল মিষ্টতা অনুভব করতে পারে। আমিন।ভোরের আকাশ//হ.র
পানি মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন পরিমাণমতো পানি পান করা জরুরি। তবে পানি পান করার ক্ষেত্রে কিছু শিষ্টাচার ও আদব রয়েছে, যেগুলো ইসলাম ধর্মে গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কিছু অভ্যাস থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো—পানি পানের সময় পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা ও তাতে ফুঁ দেওয়া।ইসলামী শরিয়তের আলোকে জানা যায়, রাসূল (সা.) পানির পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন,“রাসূল (সা.) পানির পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন।”(তিরমিজি, হাদিস: ১৮৮৮; মিশকাত, হাদিস: ৪২৭৭)ধারনা করা হয়, পানিতে ফুঁ দিলে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু পানিতে মিশে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ কারণে গরম চা বা কফি ঠান্ডা করার সময়ও ফুঁ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী পানি পান করার আদবপানি পানের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) যেসব নিয়ম অনুসরণ করতেন এবং অনুসারীদের করতে বলেছেন, তা হলো—✅ ডান হাতে পানি পান করা✅ বসে বসে পানি পান করা✅ শুরুতে 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলাকোরআনের বর্ণনায় পানির গুরুত্বপানির নিয়ামত সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছেন—“তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছা করলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না?”(সুরা ওয়াক্বিয়া, আয়াত: ৬৮–৭০)ফতোয়া ও মতামতপ্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ উছায়মীন বলেন,“পানীয় ঠান্ডা করার জন্য ফুঁ দেওয়াকে কেউ কেউ প্রয়োজন সাপেক্ষে বৈধ বলেছেন, তবে উত্তম হচ্ছে এ কাজ থেকে বিরত থাকা। খাবার গরম হলে তা ঠান্ডা করার জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা উচিত।”(শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন, ৪/২৪৪–৪৫)বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলাম শুধু ইবাদতের নিয়মই নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের আদব ও স্বাস্থ্যবিধিও শিক্ষা দেয়। পানি পানের আদবগুলো অনুসরণ করলে তা যেমন সুন্নাত পালন হয়, তেমনি স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তা উপকারী।ভোরের আকাশ//হ.র