ঢাকা ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট
চলতি বছরের হজযাত্রা শুরু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম প্লেনটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সৌদি আরবের জাতীয় ক্যারিয়ার সাউদিয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এ বছরের হজ ফ্লাইট। প্রথম ফ্লাইটে (এসভি ৩৮০৩) পবিত্র হজ পালনের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন ৩৯৮ জন হজযাত্রী। হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এবারও ‘রোড টু মক্কা’ কর্মসূচির আওতায় ঢাকাতেই দুই দেশের ইমিগ্রেশন হবে যাত্রীদের।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় হজযাত্রীদেরকে সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
জানা গেছে, প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে চার হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় এবং বাকি দুটি ফ্লাইট মদিনায় বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন। হজ ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৩১ মে। আর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পবিত্র হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন ৮২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। মোট ২১৫টি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন তারা। অন্যদিকে চলতি বছর হজে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। হজ পালনকালে বিভিন্ন সময়ে মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও আরাফায় মারা যান তারা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবের সূত্রে হজ বুলেটিনের আইটি হেল্প ডেস্ক জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা নাগাদ দেশে প্রত্যাবর্তনকারী হাজির সংখ্যা ৮২ হাজার ৪১৬ জন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৭ জন। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও ৭৭ হাজার ৩২৯ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।অন্যদিকে দেশে ফেরা হজের ২১৫টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ৩৬ হাজার ৮৩৩ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৮১ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন ১২ হাজার ১৬৯ জন বাংলাদেশি।এদিকে, চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। এরমধ্যে ২৬ জন মক্কায়, ১৪ জন মদিনায়, ৩ জন জেদ্দায় এবং একজন আরাফায় মারা যান।উল্লেখ্য, হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল থেকে এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আজ ১০ জুলাই পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিয়ে ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত সম্মানিত ও পবিত্র ইবাদত। এটি শুধু দুটি মানুষের বৈধ সম্পর্ক স্থাপনই নয়, বরং একটি পরিবার ও সমাজ গঠনের ভিত্তি। তাই যে কেউ যদি কারও বিয়েতে সাহায্য করে—বিশেষত দরিদ্র বা অসহায় কোনো পাত্র-পাত্রীর—তাহলে সে একটি মহান সওয়াবের কাজে শরিক হয়। কোরআন ও হাদিসে বিয়েতে সহায়তার গুরুত্ব ও ফজিলত বারবার তুলে ধরা হয়েছে।আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত রয়েছে, তাদের বিবাহ সম্পন্ন করো এবং দাস-দাসীদের মধ্য থেকে যারা উপযুক্ত, তাদেরও। তারা যদি গরিব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাব দূর করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আন-নূর, আয়াত ৩২)এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, সমাজে বিয়ের পরিবেশ গড়ে তোলা এবং গরিবদের বিয়েতে সহায়তা করা একটি ধর্মীয় দায়িত্ব। যে কেউ আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে এই কাজে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তার সহায় হয় এবং তাদের জীবনের রিজিকের দরজা খুলে দেন।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন শ্রেণির লোকের সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব। তাদের একজন হলো সে ব্যক্তি, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করে।’ (তিরমিজি, হাদিস ১৬৫৫)অর্থাৎ, যারা বিয়ের মতো পবিত্র কাজকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করে এবং যারা এ কাজে সহায়তা করে, তারা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের আওতায় পড়ে।আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ এটি চোখকে নিচু রাখে এবং যৌন অঙ্গের হেফাজত করে।’ (সহিহ বুখারি: ৫০৬৫; সহিহ মুসলিম: ১৪০০)এটি প্রমাণ করে, বিয়েতে সহায়তা করা মানে সমাজে পবিত্রতা রক্ষা করা এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ করা।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৬৯৯) কোনো অসহায় যুবক-যুবতীর বিয়েতে সাহায্য করা তার জীবনের এক বড় কষ্ট দূর করার মাধ্যম, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ লাভের দরজা খুলে দেয়।সার্বিকভাবে ইসলাম বিয়েকে কেবল সামাজিক রীতিনীতি নয়, বরং একটি ইবাদতের স্থান দিয়েছে—যার মাধ্যমে সমাজ শুদ্ধ থাকে, পাপ থেকে বাঁচা যায় এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যারা আন্তরিকভাবে অন্যের বিয়েতে, বিশেষ করে দরিদ্রদের, সহযোগিতা করে, তারা একটি সওয়াবের ধারায় অংশ নেয়, যা তাদের জন্য সদাকায়ে জারিয়া হয়ে যেতে পারে।আজকের সমাজে যখন অনেক তরুণ-তরুণী অর্থসংকট কিংবা সামাজিক বাধার কারণে বিবাহে দেরি করে, তখন সমাজের সামর্থ্যবানদের উচিত এগিয়ে আসা। এটি শুধু সাহায্য নয়, বরং এক অপার নেকি অর্জনের সুযোগ। ভোরের আকাশ/হ.র
ভারতের তাঁবেদারদের এদেশকে শাসন করতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন অপর্না রায়।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অপর্না রায় বলেন, এদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, নৃগোষ্ঠী সকলের। কোন তাঁবেদার বা প্রতিবেশী দেশের দ্বারা পরিচালিত কোন সরকারকে এদেশ পরিচালনা করতে দেওয়া যাবে না।মঙ্গলবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ জাতীয় শিব মন্দিরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বোসের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় আসন্ন হিন্দু মহাসমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন জেলা, মহানগর, ইউনিট থেকে আগত প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।বিএনপি'র প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অপর্না রায় দাসের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের ৪৪টি জেলা মহানগর ইউনিট প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বেলা ১১টা থেকে সভা শুরু হয়।বক্তারা আসন্ন হিন্দু মহাসমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।এসময় সনাতনীদের বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাদেশের যেকোনো উন্নয়নে কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।বক্তারা পূজা ফ্রন্টকে নিয়ে কিছু কূচক্রী মহলের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।সভায় পূজা ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, গৌতম মিত্র, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব রায়, ঢাকা মহানগর পূজা ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভদ্র, তথ্য প্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সীমান্ত দাস, সহ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বাড়ৈ , সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিভাগ তন্ময় সাহা প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন বাংলাদেশি হাজি। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৯৯৩ জন হাজি। চলতি বছর হাজিদের পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৩৪ হাজার ৮ জন হাজি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৬ হাজার ৬৮৩ জন হাজি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১০ হাজার ৩৮৮ জন হাজি, অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫ হাজার ৬৮৯ জন হাজি।এ পর্যন্ত ২০০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৯৮টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৪টি ফ্লাইট ও ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ২৮টি ফ্লাইট। চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।উল্লেখ্য, এবার হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ