ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫২ এএম
কোরআনের আলোকে হতাশা থেকে মুক্তির উপায়
জীবন সবসময় মসৃণ হয় না। পথে চলতে গিয়ে আসতে পারে দুঃখ, কষ্ট, ব্যর্থতা ও নিঃসঙ্গতা। কখনো মনে হয়—চারপাশে শুধু অন্ধকার, আলো নেই কোথাও। এই একাকিত্ব, অসহায়ত্ব আর ক্লান্তির অনুভূতিই হলো হতাশা।
হতাশা আসলে কী?
হতাশা সাধারণত কোনো কঠিন পরিস্থিতি বা ঘটনার কারণে আসে। তবে কখনো কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াও মানুষ হতাশায় ভুগতে পারে। দুঃখ অস্থায়ী, কিন্তু হতাশা দীর্ঘস্থায়ী ও মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। তবে মনে রাখতে হবে—হতাশা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
কোরআনের দিকনির্দেশনা
মুমিনদের জন্য হতাশা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো কোরআনের শিক্ষা ও স্মরণ।
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা
কোরআন আমাদের শেখায়—আল্লাহ কখনো বান্দাকে একা ফেলে দেন না। জীবনের প্রতিটি ঘটনা তাঁর পরিকল্পনার অংশ। বান্দা যদি এই বিশ্বাসকে অন্তরে লালন করে, তবে হতাশার অন্ধকার সহজেই কেটে যায়।
তিলাওয়াত ও সম্পর্ক গড়া
নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত অন্তরে প্রশান্তি আনে। এতে আমরা ভুলে যাওয়া নেয়ামতগুলো মনে করি, আল্লাহর রহমতের আশায় নতুন করে শক্তি পাই।
ভবিষ্যতের ভয় কাটানো
হতাশা ও উদ্বেগের বড় কারণ হলো অজানা ভবিষ্যতের ভয়। কোরআন মনে করিয়ে দেয়—ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে নয়, আল্লাহর হাতে। তিনি আমাদের জন্য সর্বোত্তম পরিকল্পনা করেছেন।
দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী
কোরআন আমাদের শেখায়—এই দুনিয়া সাময়িক। এটি পরীক্ষা নেওয়ার ময়দান। কষ্ট ও হারানোর বেদনা আল্লাহর পরীক্ষা। এর মাধ্যমে পাপ মোচন হয়, মর্যাদা বাড়ে। আর যারা ধৈর্য ধরে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
কেন বিপদ আসে?
আল্লাহ চান, আমরা তার কাছে ফিরে আসি। দুনিয়ার ব্যস্ততায় হারিয়ে না গিয়ে তার ওপর নির্ভর করি। তাই বিপদ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—আসল প্রশান্তি কেবল আল্লাহর সান্নিধ্যেই।
হতাশা জীবনের অংশ হলেও তা স্থায়ী নয়। আল্লাহর প্রতি আস্থা, কোরআনের আলো ও ধৈর্য মুমিনকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে আনে।
ভোরের আকাশ/হ.র