আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৮ পিএম
যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনার পর ভারতের হুমকির প্রতিবাদে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে)-সহ পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
তিনি বলেছেন, “পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে বিশ্বকে ভাবতে হবে।” ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
খাজা আসিফ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, পরিস্থিতি এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিবাচক উত্তর দেন। তিনি বলেন, দু’টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ সর্বদা উদ্বেগজনক। যদি পরিস্থিতি সে রকম কিছু হয়, তাহলে দুঃখজনক পরিণতি আসতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এছাড়া ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।
স্থানীয় একটি দলের ডাকা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আজমল বালুচ নামের একজন ব্যবসায়ী সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ভারত যদি যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে প্রকাশ্যে এগিয়ে আসুক।’ আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ নানা হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৫ বছর বয়সি মুহাম্মদ ওয়াইস বলেন, ‘পানি আমাদের অধিকার এবং আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা এটি পুনরুদ্ধার করব। এমনকি যদি এর জন্য যুদ্ধের মাধ্যমেও কিছু করতে হয়, আমরা পিছু হটব না।’
আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ নানা হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভারতবিরোধী স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মুজাফ্ফরাবাদের মূল শহরেও মিছিল হয়।
আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভকারী ভারতবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির আঞ্চলিক নেতা শওকত জাভেদ মীর বলেন, “ভারত যদি হামলার ভুল করে, পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা ফ্রন্টলাইনে থেকে লড়বে। পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আমরা।”
এছাড়া বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায়ও বিক্ষোভ হয়েছে।
ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বুধবার বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পালটাপালটি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ৬ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনার পর ভারতের হুমকির প্রতিবাদে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে)-সহ পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
তিনি বলেছেন, “পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে বিশ্বকে ভাবতে হবে।” ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
খাজা আসিফ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, পরিস্থিতি এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিবাচক উত্তর দেন। তিনি বলেন, দু’টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ সর্বদা উদ্বেগজনক। যদি পরিস্থিতি সে রকম কিছু হয়, তাহলে দুঃখজনক পরিণতি আসতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এছাড়া ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।
স্থানীয় একটি দলের ডাকা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আজমল বালুচ নামের একজন ব্যবসায়ী সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ভারত যদি যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে প্রকাশ্যে এগিয়ে আসুক।’ আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ নানা হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৫ বছর বয়সি মুহাম্মদ ওয়াইস বলেন, ‘পানি আমাদের অধিকার এবং আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা এটি পুনরুদ্ধার করব। এমনকি যদি এর জন্য যুদ্ধের মাধ্যমেও কিছু করতে হয়, আমরা পিছু হটব না।’
আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ নানা হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভারতবিরোধী স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মুজাফ্ফরাবাদের মূল শহরেও মিছিল হয়।
আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভকারী ভারতবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির আঞ্চলিক নেতা শওকত জাভেদ মীর বলেন, “ভারত যদি হামলার ভুল করে, পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা ফ্রন্টলাইনে থেকে লড়বে। পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আমরা।”
এছাড়া বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায়ও বিক্ষোভ হয়েছে।
ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বুধবার বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পালটাপালটি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসআই