সংগৃহীত ছবি
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব জানে ভারতের অর্থনীতি মৃত, শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়া।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) লোকসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল বলেন, তিনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। আমি খুশি যে ট্রাম্প সত্যটা বলেছেন। বিজেপি ভারতের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। কেন করেছে? আদানিকে সাহায্য করতে।
এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে অভিহিত করে বলেন, তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করুক, আমার কিছু যায় আসে না। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানাও।
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে ট্রাম্পের ভাষায় রাহুল গান্ধী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, মোদী সরকার ভারতের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা দেশ চালাতে জানে না, দেশকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংসদে ‘পহেলগাম হামলা’ ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী যেন সাহস করে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যা বলছেন। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ থামাতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন।
মোদী অবশ্য তার জবাবে বলেন, কোনো বিশ্বনেতা অপারেশন সিঁদুর থামানোর অনুরোধ করেননি। তবে তিনি সেসময় ট্রাম্পের নাম নেননি। জানা গেছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বুধবার (৩০ জুলাই) জানায়, তারা শুল্কের প্রভাব ও পরিণতি বিশ্লেষণ করছে।
রাহুল আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি চমৎকার। অথচ একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে খোঁচা দিচ্ছে, অন্যদিকে চীন আমাদের ঘাড়ের ওপর। পাকিস্তানকে দোষারোপ করলেও, আপনি যখন বিদেশে প্রতিনিধি পাঠান, তখন কোনো দেশই পাকিস্তানকে নিন্দা করে না। আসলে তারা জানেনই না, কীভাবে দেশ চালাতে হয়। একেবারে বিভ্রান্তি চলছে।
রাহুল প্রশ্ন রাখেন, ট্রাম্প বলেছে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এখন বলছে ২৫ শতাংশ শুল্ক। কখনো ভেবে দেখেছেন কেন মোদী এর জবাব দিতে পারছেন না? কে নিয়ন্ত্রণে আছে? ব্যাপারটা বুঝুন।
বৃহস্পতিবার এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া বিবৃতিতেও রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতের অর্থনীতি মৃত। মোদী তা হত্যা করেছেন।
তিনি লিখেছেন, আদানি-মোদী জোট, নোটবন্দি, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি, ব্যর্থ ‘অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া’, ক্ষুদ্র ব্যবসা ধ্বংস, কৃষকদের দমন- এই সবকিছু মিলিয়ে ভারতের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছেন। কারণ দেশে কোনো চাকরি নেই।
সূত্র: দ্য ওয়্যার
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক দুই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) নিয়মিত মহড়ার সময় এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর। উভয় ঘটনায় সব ক্রু সদস্য নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। তবে আধঘণ্টার ব্যবধানে ঘটা এই দুর্ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠছে মার্কিন নৌবাহিনীর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিয়ে।মার্কিন এ বার্তাসংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়ন করা এক যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার রোববার বিকেলে আধঘণ্টার ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট।বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর এমএইচ-৬০আর সি হক হেলিকপ্টারের তিন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এফ/এ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের দুই পাইলটও ইজেক্ট করে নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। মোট পাঁচজনই “সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অবস্থায়” রয়েছেন। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, দুটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অবসর নেওয়ার আগে ইউএসএস নিমিৎজ বর্তমানে তার শেষ মিশনে অংশ নিচ্ছে। পুরো গ্রীষ্মজুড়ে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করার পর এটি এখন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের নেভাল বেস কিটস্যাপে ফিরে যাচ্ছে।এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করতে নিমিৎজকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। অবশ্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমানবাহী রণতরীতে দুর্ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও মার্কিন নৌবাহিনীর আরেক রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান-এ পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ-১৮ জেটকে ভূপাতিত করে। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে আরেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার ডেক থেকে পিছলে লোহিত সাগরে পড়ে যায়। এরপর মে মাসে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেসময় লোহিত সাগরে ট্রুম্যান রণতরীতে অবতরণের সময় একটি এফ/এ সিরিজের যুদ্ধবিমান থামার তারে আটকে না গিয়ে সাগরে পড়ে যায়। আর তাই পাইলট দুজনকে বাধ্য হয়ে ইজেক্ট করতে হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অক্টোবরের শেষ রোববার মানেই পর্তুগাল তথা ইউরোপজুড়ে সময় বদলের উৎসব। এ বছর ২৬ অক্টোবর ২০২৫-এ ইউরোপের দেশগুলোতে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে শেষ হবে ‘ডে-লাইট সেভিং টাইম’ বা গ্রীষ্মকালীন সময় এবং শুরু হবে শীতকালীন বা স্ট্যান্ডার্ড টাইম। এ নিয়মের মূল লক্ষ্য ছিল দিনের আলোকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো।গ্রীষ্মকালে যখন সূর্য ভোরে ওঠে ও দেরিতে অস্ত যায়, তখন সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে দেওয়ার ফলে সন্ধ্যার আলোতে বেশি সময় কাজ করা যায়। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতো– অন্তত একসময় তাই ভাবা হতো। কিন্তু অক্টোবর এলে দিন ছোট হতে শুরু করে, তাই আবার ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক সময় ফিরিয়ে আনা হয়।তবে এই সময় বদলের নিয়ম নিয়ে এখন ইউরোপেই নানা মতভেদ। অনেকেই মনে করেন, আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সেই পুরোনো যুক্তি আর কার্যকর নয়। বরং বছরে দুইবার সময় বদলের ফলে মানুষের ঘুমের ছন্দ, কাজের তাল ও শরীরের জৈবিক ঘড়ি বিঘ্নিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে এ ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে।বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের সময়ের পার্থক্যও এ পরিবর্তনের কারণে কিছুটা বদলায়। উদাহরণস্বরূপ– যখন লন্ডনে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হবে, তখন বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য হবে ৬ ঘণ্টা, আগের ৫ ঘণ্টার পরিবর্তে।ঘড়ির কাঁটা পেছানো মানে শুধু সময়ের সূচক বদল নয়, বরং ঋতুর পরিবর্তনের এক প্রতীকী বার্তা। দিন ছোট হয়, সন্ধ্যা নামে তাড়াতাড়ি আর শীতের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। সময় চলে যায় তার নিজের ছন্দে, মানুষ শুধু সেই ছন্দে নিজেকে মানিয়ে নেয়– এক ঘণ্টা এগিয়ে কিংবা এক ঘণ্টা পিছিয়ে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২০২২ সালের শুরুর দিক থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।ইসরায়েলের সংসদ সদস্য গিলাদ কারিভ এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ‘এটি কেবল অভিবাসনের ঢেউ নয়— এটি একপ্রকার সুনামি, যেখানে ইসরায়েলিরা দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’সম্প্রতি দেশটির পার্লামেন্টে (নেসেট) পেশ করা এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শুরুর দিক থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন— যা এত স্বল্প সময়ে মানবসম্পদের দিক থেকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।গত ২০ অক্টোবর ইসরায়েলি পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন ও অ্যাবসরপশন কমিটিতে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ইসরায়েলের নিট অভিবাসন ভারসাম্য— অর্থাৎ যারা স্থায়ীভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন কিন্তু ফিরে আসার পরিকল্পনা নেই, তাদের সংখ্যা থেকে দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যাবর্তনকারীদের বাদ দিলে— ১ লাখ ২৫ হাজার ২০০ জনের হ্রাস দেখা গেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ এই স্থায়ী দেশত্যাগের সংখ্যাবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় ২০২৫ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।কনেসেট রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের প্রস্তুত করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে প্রায় ৫৯,৪০০ ইসরায়েলি দেশ ছেড়েছেন; ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮২,৮০০ জনে পৌঁছায়। ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে প্রায় ৫০,০০০ জন দেশত্যাগ করেছেন। এর তুলনায়, ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসনের বার্ষিক গড় সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০,৫০০ জন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। তাদের আগ্রাসনে প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যে নিহত হন। দুই বছরের মাথায় চলতি মাসের শুরুতে একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ভয়াবহ এই আগ্রাসনের অবসান ঘটে।তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অমান্য করে সেখানে বেসামরিক জনগণের ওপর দখলদার ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ায় শান্তির সম্ভাবনা অনিশ্চয়তায় ঢেকে গেছে। সূত্র: মেহের নিউজভোরের আকাশ/মো.আ.
তুরস্কে এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে শুধু এই কারণে যে, স্বামী তার স্ত্রীর ফোন নম্বর ‘Chubby’ বা বাংলায় ‘মোটু’ নামে সেভ করেছিলেন। প্রথমে বিষয়টি মজা বা আদরের মনে হলেও স্ত্রী এটিকে অপমানজনক বলে মনে করেন। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।সংবাদমাধ্যম গলফ নিউজ জানায়, আদালত এই ঘটনাকে অসম্মানজনক ও বিবাহের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর বলে রায় দিয়েছেন। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তার স্বামী নিয়মিত হুমকি ও অপমানজনক বার্তা পাঠাতেন, এমনকি বাবার চিকিৎসার খরচের টাকা তার কাছ থেকে দাবি করতেন। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, স্বামী তার স্ত্রীর নাম ফোনে ‘চাবি’ নামে সেভ করেছিলেন, যার মানে ‘মোটা’। স্ত্রী বলেন, এই নাম তাকে অপমান করেছে এবং তাদের সম্পর্ক নষ্ট করেছে। আদালত মনে করে, এই আচরণ মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতার মধ্যে পড়ে।অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তার স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই দিতে এসেছিলেন এবং কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত শেষে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও আর্থিক চাপই সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ। ফলে স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করে আদালত স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন, যদিও অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।তুরস্কের আইনে কারও সম্মান বা মর্যাদা নষ্ট করার মতো আচরণের জন্য দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে—কেউ বলছেন ডাকনামটা আদুরে, আবার কেউ বলছেন স্ত্রীকে অপমান করার জন্যই এই রায় যথার্থ।ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এটিকে মজার, আবার কেউ কেউ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। এক অনলাইন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাকনাম আসলে আদুরে শোনায়। মোটা হওয়া অপরাধ নয়, আর মোটা বলে ডাকাও সব সময় অপমান নয়।’ তবে অন্য একজনের মতে, ‘এটা একদম ন্যায্য রায়। স্বামী নিয়মিত স্ত্রীকে অপমান করতেন আর এখানেই সীমা অতিক্রম হয়েছে।’ আরেকজন রসিকতা করে লিখেছেন, ‘এখনই আমার ফোনের কনট্যাক্ট লিস্ট চেক করব—কোনো নাম যেন বিপদ না ডেকে আনে!’এর আগেও এমন অদ্ভুত সম্পর্কভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন, কারণ প্রেমিকার ফোন হঠাৎ তাদের একসঙ্গে প্রথম যাওয়া একটি হোটেলের ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যায়। এতে ওই ব্যক্তি মনে করেন, প্রেমিকা আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত বোধ করে সেই নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে গিয়ে নিজের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.