আন্তর্জাতিক ডেক্স
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫৬ পিএম
‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু নেতানিয়াহু’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিন বেটের শীর্ষ নির্বাহী রোনেন বারকে অপসারণ করেছেন এবং গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। শনিবার তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল রাষ্ট্রের পতাকা এবং গাজার অবশিষ্ট জিম্মিদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড।
নেতানিয়াহু সম্প্রতি ঘোষণা করেন যে, রোনেন বারকে শিন বেটের শীর্ষ নির্বাহীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে। নেতানিয়াহু জানান, তিনি রোনেনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন এবং তার বহিষ্কার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এই পদক্ষেপের পর থেকেই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিরোধী রাজনীতিকরা অভিযোগ করছেন যে, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। তবে নেতানিয়াহু বিরোধীদের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু শুক্রবার ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট রোনেন বারের অপসারণে নিষেধাজ্ঞা দিলে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বৃদ্ধি পায়।
এদিকে গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অতর্কিত হামলায় ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও ৫৪ জন গাজায় আটকে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বেঁচে আছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন।
রোনেন বারের অপসারণ বাতিলের দাবিতে বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং গাজার জিম্মিদের মুক্তির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়। মোশে হাহারোনি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, "ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।" তিনি আরও বলেন, "২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও, তিনি দেশের নাগরিকদের স্বার্থ কখনোই ভাবেননি।"
আরেক বিক্ষোভকারী এরেজ বেরমান মন্তব্য করেন, "গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী গত দেড় বছর ধরে সামরিক অভিযান চালালেও হামাস এখনও ক্ষমতায়। এই অভিযান ব্যর্থ হয়েছে, এবং নেতানিয়াহুর উচিত এই ব্যর্থতা স্বীকার করে জিম্মিদের মুক্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।"
সূত্র: রয়টার্স
ভোরের আকাশ/মি