ছবি: সংগৃহীত
তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান হোসেইন বাকেরি এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তাদের মৃত্যুর পর গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে দুই র্শীষ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার (১৩ জুন) পৃথক ডিক্রিতে এই দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে দেশটির দুই র্শীষ বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন আয়াতুল্লাহ খামেনি।
ডিক্রিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত মেজর জেনারেল বাকেরির ও মেজর জেনারেল সালামির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নতুন কমান্ডারের যোগ্যতা এবং মূল্যবান অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। এছাড়া ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য নতুন কমান্ডারের জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার ভোরের দিকে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন এলাকায় সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তেহরানের বিভিন্ন আবাসিক ভবন লক্ষ্য করা হয়। এতে অনেক সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান এবং দেশটির উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান হোসেইন বাকেরি, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতামু আম্বিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ এবং দুই পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মাদ মাহদি তেহরাঞ্চি ও ফেরিদুন আব্বাসি উল্লেখযোগ্য।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬০ জন ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন।বুধবার (৩০ জুলাই) টেলিগ্রামে প্রকাশিত গাজার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে অন্তত ৩৯৯ জন আহত হয়েছে।মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মোট ৬০ হাজার ১৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ মে ইসরায়েল নতুন সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিহত ত্রাণপ্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
রাশিয়ায় ভূমিকম্পের জেরে জাপানেও সুনামি আঘাত হেনেছে। দেশটির উপকূলে সুনামির প্রথম ঢেউ আঘাতের পর আরও শক্তিশালী ঢেউ এগিয়ে আসছে। জাপানের কিছু অংশ ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের কবলে পড়তে পারে। এবার এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সি পাপুয়া অঞ্চলের জন্য সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। দ্রুত এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।সতর্কতায় বলা হয়েছে, আজ বিকেলের মধ্যে ০.৫ মিটার (১.৬ ফুট) এর কম উচ্চতার সুনামির ঢেউ ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। পাপুয়া অঞ্চল, উত্তর মালুকু প্রদেশ এবং গোরোন্তালো প্রদেশের কিছু উপকূলীয় শহর সুনামির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।এর আগে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, হোক্কাইডোর উত্তরাঞ্চলসহ দেশটির কিছু অংশে আজ বুধবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ৩ মিটারের (৯ দশমিক ৮ ফুট) বেশি উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে। ধীরে ধীরে তা দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূ–কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।ইউএসজিএস শুরুতে জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৮। পরে তা দুই দফায় সংশোধন করে ৮ দশমিক ৭ করা হয়। সুনামি সতর্কতা জারির পর স্থানীয় শাখালিন অঞ্চলের ছোট একটি শহর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে জাপানের পাশাপাশি সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। এরপর একাধিক দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে নিজেদের পূর্ব উপকূলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে জাপানও। বুধবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের উপকূলে বুধবার (৩০ জুলাই) ভোরে এ শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ ৩ থেকে ৪ মিটার (১০-১৩ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছে কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে। কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদভ জানিয়েছেন, এটি সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ (ইইএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটি ছিল অগভীর এবং উপকূলবর্তী পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে প্রায় ১২৫ কিমি দূরে। রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপান ও হাওয়াইয়ের উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপানে কিছু এলাকার জন্য ৩ মিটার পর্যন্ত সুনামির পূর্বাভাস দিয়ে মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। সেভেরো-কুরিলস্ক শহরের জন্য সরাসরি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাখালিন গভর্নর।উল্লেখ্য, কামচাটকা ও রাশিয়ার দূর-পূর্ব অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরীয় 'রিং অব ফায়ার'-এ অবস্থিত, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক বেশি ঘটে থাকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তুরস্ক তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বোমা ‘গাজাপ’ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এনেছে। ইস্তাম্বুলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পমেলা ২০২৫-এ এই বোমাটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন করা হয়। প্রায় ৯৭০ কেজি ওজনের এই বিধ্বংসী বোমাটি তৈরি করেছে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র।বোমাটির বিষয়ে তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, বোমাটি প্রতি মিটারে ১০ দশমিক ১৬টি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। বিপরীতে একটি সাধারণ বোমা তিন মিটার ব্যবধানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিপরীতে একটি সাধারণ বোমা তিন মিটার ব্যবধানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এর ধ্বংস ক্ষমতা অনেক বেশি। তিনি বলেন, বোমাটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এই বোমাটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা যায়।ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আরঅ্যান্ডডি সেন্টার বিস্ফোরক ও ফিলার ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছে। বোমাটির গুণগত যাচাই ও সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এবং এটি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানকে তুরস্কের আকাশ পাহারার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে তুরস্কের হাতেই রয়েছে। বিশ্বজুড়ে মাত্র ৫টি দেশ রয়েছে যারা স্থানীয়ভাবে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে, তুরস্ক তার অন্যতম। বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, তুরস্কের কাছে বর্তমানে ২৩০ থেকে ২৭০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ