গাজা দখলে ইসরায়েলের নতুন ছক, সামরিক হামলা বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন
গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরালো করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্প্রতি একটি বিস্তৃত হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে গাজার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে সেখানে দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।ইতিমধ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনাকে তলব করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এর লক্ষ্য হলো বাকি জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসকে সামরিকভাবে দুর্বল করা।ইসরায়েলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় এক বৈঠকে গাজায় হামলা জোরদারের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করে। প্রাথমিক পর্যায়ে গাজার আরও কিছু এলাকায় দখলদারি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মিসর-ইসরায়েল বাফার জোন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই মাস ধরে চলমান ত্রাণ অবরোধ কিছুটা শিথিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে, এটি মানবিক ত্রাণনীতির পরিপন্থী, এবং তারা এতে অংশ নেবে না।একজন ইসরায়েলি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ‘হারেৎজ’ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, এখন থেকে অভিযান হবে স্থায়ী দখল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে, যা সাময়িক অভিযানের ধারণা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়েল যামিড জানিয়েছেন, গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত ও তীব্র করার লক্ষ্যে সেনা সমাবেশ করা হচ্ছে। তাঁর মতে, পরবর্তী ধাপে সামরিক কৌশল বদলে পুরো গাজাকে স্থায়ীভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আনার রূপরেখা রয়েছে।উল্লেখ্য, এই পরিকল্পনার কার্যকর পর্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরেই শুরু হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত চারটি মিসাইল আছড়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। হামলার পরপরই দেশজুড়ে মিসাইল সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে, যার ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে যান প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।শনিবার সকালে হামলার সূচনা হয় ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশসীমা অতিক্রমের আগেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে বিস্ফোরণের মাত্রা ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।এর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি মিসাইল আঘাত হানে, যা পুরো শহরে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেনের শব্দে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা ও সামরিক ঘাঁটি রামাত ডেভিস হামলার লক্ষ্য ছিল। বিশেষ করে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রামাত ডেভিসে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। তারা মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজা অবরুদ্ধ থাকলে ইসরাইলে হামলাও চলবে।এছাড়া মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের ভাষ্য, বেসামরিক ইয়েমেনিদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও চড়া মূল্য দিতে হবে।ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ইয়েমেন থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলই এখন ইয়েমেনি মিসাইলের আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//র.ন
০৪ মে ২০২৫ ০৫:৫৪ পিএম
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়াল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় আরও অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। এই সহিংসতায় গাজায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫১ হাজারে। গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে আরও হামলা ও হতাহতের খবর আসা অব্যাহত রয়েছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের পাহারায় থাকা তাদের সংগঠনের এক ফিলিস্তিনি বন্দির অবস্থান সম্পর্কে তারা এখন আর কিছু জানে না। ওই এলাকায় ইসরায়েলের সরাসরি বোমাবর্ষণের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।জাতিসংঘ জানিয়েছে, দীর্ঘ এই যুদ্ধের ফলে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে ধ্বংস হয়েছে গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো। মানবিক বিপর্যয়ের মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। খাবার, পানি, ওষুধ এবং আশ্রয়ের সংকট মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।এর আগেও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।এছাড়া, গাজায় চলমান আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১১ পিএম
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৮
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু সংখ্যক মানুষ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, বুধবার গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বহু সংখ্যক আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।গাজার ভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে আটজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছেন। এছাড়া ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, হামলার শিকার ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে।দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২২ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ২৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৬ সদস্যসহ আরও ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে আরও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় একই পরিবারের ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিম গাজা শহরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রের কাছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম গাজা শহরের আরেকটি হামলায় সাবেক একজন ফুটবল খেলোয়াড়ও নিহত হয়েছেন। এর বাইরে, দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এলাকায় কাঠ সংগ্রহ করতে থাকা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় আরও দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:০৫ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।এক বিবৃতিতে গাজার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৩৭ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং সোমবার ভোর থেকে এ হামলায় কমপক্ষে আরও ৬০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:১৭ পিএম
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্মম আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীর মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘ইসরায়েলের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘নারায়ে তাকবীর’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’-ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ফিলিস্তিনে গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না।ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নতুন বাজারের দিকে আসে। এখানে তারা অবস্থান করছে। মিছিল শেষে তারা চলে যাবে।এদিকে সোমবার সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। তারা এক প্রকার মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন। ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী অধিকাংশ মানুষকে তল্লাশি করা হচ্ছে।এর আগে সকাল থেকে বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন বলে স্লোগান দেন।উল্লেখ্য, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ