মিয়ানমারে মৃত্যু ছাড়াতে পারে ১০ হাজার : ইউএসজিএস
মিয়ানমারে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে ইউএসজিএস। শুক্রবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও কম্পন হয়েছে। এই ৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।
এদিকে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৯৪ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। তবে আহত এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জন হয়েছে। এই সংখ্যা ৩ হাজার জনেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা সরকারি হিসেবে এখনো ৪ হাজার ৫২১ জন আহত ও ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং এসব তথ্য জানান।এদিকে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়ের মানবিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আশ্রয়, খাদ্য এবং পানির জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে অভাবীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জরুরি দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।এর আগে, গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে শোকের ঘোষণা এসেছে।এদিকে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি এবং এখনো নিখোঁজ দুই শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের তিনদিন পরও আটকেপড়া মানুষদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা জোরদার রেখেছে প্রশাসন। সোমবার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানায়, শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২,০৫৬ জন নিহত হয়েছেন। ৩,৯০০ জনেরও বেশি আহত।এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭০ জন। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সংকট আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এরপর জাতিসংঘ ৮০ লক্ষ ডলার জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহত রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করতে ‘যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে পারে এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই দরকার। এদিকে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্তে মিয়ানমারের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার পর জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেই বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি হামলার শিকার হলো গাজাবাসী। রোববার (৩০ মার্চ) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৩৫০ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।আল-জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খোদারি জানান, ঈদের দিনে যেখানে ফিলিস্তিনিদের ভালো খাবার খেয়ে রোজা ভাঙার কথা, সেখানে আজ তাদের একবেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে। হামাসের নেতাদের গাজা ছাড়তে হবে। যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে হামলা আরও জোরদার করা হবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এখন পর্যন্ত ৫০,৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে ১,১৪,০৯৫ জন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদের কোনো উৎসব নেই। সেখানে আছে শুধু কান্না, ক্ষুধা আর বোমার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন নতুন করে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ।বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে।যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে মৃত্যু ছাড়াতে পারে ১০ হাজার : ইউএসজিএস
মিয়ানমারে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে ইউএসজিএস। শুক্রবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও কম্পন হয়েছে। এই ৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।
এদিকে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৯৪ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। তবে আহত এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জন হয়েছে। এই সংখ্যা ৩ হাজার জনেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা সরকারি হিসেবে এখনো ৪ হাজার ৫২১ জন আহত ও ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং এসব তথ্য জানান।এদিকে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়ের মানবিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আশ্রয়, খাদ্য এবং পানির জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে অভাবীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জরুরি দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।এর আগে, গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে শোকের ঘোষণা এসেছে।এদিকে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি এবং এখনো নিখোঁজ দুই শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের তিনদিন পরও আটকেপড়া মানুষদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা জোরদার রেখেছে প্রশাসন। সোমবার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানায়, শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২,০৫৬ জন নিহত হয়েছেন। ৩,৯০০ জনেরও বেশি আহত।এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭০ জন। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সংকট আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এরপর জাতিসংঘ ৮০ লক্ষ ডলার জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহত রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করতে ‘যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে পারে এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই দরকার। এদিকে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্তে মিয়ানমারের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার পর জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেই বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি হামলার শিকার হলো গাজাবাসী। রোববার (৩০ মার্চ) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৩৫০ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।আল-জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খোদারি জানান, ঈদের দিনে যেখানে ফিলিস্তিনিদের ভালো খাবার খেয়ে রোজা ভাঙার কথা, সেখানে আজ তাদের একবেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে। হামাসের নেতাদের গাজা ছাড়তে হবে। যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে হামলা আরও জোরদার করা হবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এখন পর্যন্ত ৫০,৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে ১,১৪,০৯৫ জন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদের কোনো উৎসব নেই। সেখানে আছে শুধু কান্না, ক্ষুধা আর বোমার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন নতুন করে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ।বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে।যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন