আইসিটি প্রভাষক নিয়োগ বৈষম্যের অভিযোগে মানববন্ধন
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে কলেজ পর্যায়ে আইসিটি প্রভাষক পদে নিবন্ধনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা মেনে আবেদন করলেও তাদের সুপারিশ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাকরী প্রত্যাশীরা।রোববার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করে অভিযোগ তোলেন কয়েক শ চাকরী প্রার্থী।মানবন্ধনে চাকরী প্রত্যাশী এসসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল বাশার বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিবাদী আইনের কারণে কলেজ ও মাদ্রাসাকে আলাদা করা হয়েছে। এর পেছনে এক চক্রান্ত আছে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে এটি করা হয়েছে। একারণে মাদ্রাসায় মাত্র ১৭৭ জন পাশ করেছে, অন্যদিকে কলেজে প্রায় ১৪ শ পাশ করার পরেও কলেজের জন্য পাশ করা কোন শিক্ষককে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। যদিও আমাদের চয়েজে উল্লেখ করা ছিলো যে আমাদের মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু অদৃশ্য কোন শক্তির কারণে তা দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রায় ১৪ শ প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চাকরি প্রত্যাশীরা আরো বলেন, আইসিটি বিষয়ে কলেজ ও মাদ্রাসা উভয়ের জন্যই ছিল একই সিলেবাস, একই প্রিলিমিনারি, লিখিত মৌখিক পরীক্ষা এবং ফলাফল ও কলেজ, মাদ্রাসা একত্রে মেরিট লিস্ট দেওয়া হয়েছে। এমনকি, আবেদন ফর্মের ৭ নম্বর অপশনে ‘Rajvatang Rdhhrrdh’’ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল যেখানে কলেজ ও মাদ্রাসা উভয় অপশনই রাখা হয়। অথচ সুপারিশে সময় কলেজ প্রার্থীদের ৪০ টি কলেজ পছন্দ দেওয়ার পরে আদার্স অপশনের মাদ্রাসায় সুপারিশ করা হয়নি।তারা বলেন, প্রার্থীদের সামনে কোনো স্বচ্ছ মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি যাতে বোঝা যায় না, একজন প্রার্থী কলেজ বা মাদ্রাসা কোনটি পাবে, কিংবা তার সামনে কতজন প্রার্থী আছেন মাদ্রাসা অথবা কলেজের জন্য। ফলে চয়েস লিস্ট সাজানো ছিল একপ্রকার ‘ব্লাইন্ড গেম’। যেখানে অনেক কলেজ প্রার্থী ৭০-এর উপরে নাম্বার পেয়েও কোনো সুপারিশ পাননি, সেখানে মাদ্রাসা প্রার্থী ৪০ নাম্বারে সুপারিশ পেয়েছেন। এইভাবে একই বিষয় কোড ও সিলেবাসের অধীনে থাকা হাজারো কলেজ প্রার্থী চাকরিচ্যুত হয়েছেন, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।মানবন্ধনে চাকরী প্রত্যাশীরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আইসিটি প্রভাষক (বিষয় কোড: ৪৫২) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইসিটি ৪৫২ কোডে প্রায় ১৬ জন প্রার্থী ভাইভায় উত্তীর্ণ হন, যেখানে মোট শূন্যপদ ছিল প্রায় ১৭শ। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কলেজ এবং মাদ্রাসা আলাদা করা হয়েছে অর্থাৎ আলাদা সুপারিশ করবে। কলেজ শাখায় ভাইভা উত্তীর্ণ প্রার্থী প্রায় ১৪ শ জন কিন্ত সিট মাত্র ১৫১টি, অথচ মাদ্রাসা শাখায় মাত্র ১৭৭ জনের বিপরীতে শূন্যপদ ছিল ১৪শ ৫০ টির বেশি। তারা ভাইভা পাশ করাইছে বিষয় কোড ৪৫২ অনুযায়ী কলেজ মাদ্রাসা আলাদা নয়। কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।ভোরের আকাশ/জাআ