গোপালগঞ্জে নিরীহ মানুষদের হযরানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিরীহ সাধারণ মানুষ হয়রানি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। রোববার (২০ জুলাই) বিকালে কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে হয় রানির বিষয়টি তুলে ধরেন।এস এম মহিউদ্দিন বলেন, গত বুধবার (১৬ জুলাই) উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়ক বন্ধ করে উপজেলার ওয়াবদার হাটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে।এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ১ শ' ৫৫ জুনের নাম উল্লেখ ও ১হাজার ৫শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় উপজেলা সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এই মামলায় অধিকাংশ আসামীই সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ মানুষ রাজনীতির সাথে জড়িত নেই। তা হলে কি ভাবে? কাদের মদদে এই নিরীহ মানুষদের আসামী করা হলো?পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার কোটালীপাড়া থানা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিক্ষোভের সময় সেখানে আপনারা উপস্থিত ছিলেন।কিন্তু তখন একজন ব্যক্তিকেও আপনারা আটক করতে পারেননি। আপনাদের কাছে তো ভিডিও ফুটেজ আছে।আপনারা এই ফুটেজ দেখে আসামি করে গ্রেপ্তার করতে পারতেন। কিন্তু আপনার তা না করে নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।তিনি আরো বলেন, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আপনারা যদি সেই মানুষদের হয়রানি করেন তা হলে সাধারণ মানুষদেরকে সাথে নিয়ে এর প্রতিরোধ করবো।এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, জেলা আইন শৃঙ্খলার সভায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করার পাশাপাশি নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করে হয়রানী না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির সভাপতি ইউছুপ আলী দাড়িয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শেখ ফায়েকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখ, যুবদলের সদস্য সচিব মান্নান শেখ, ছাত্রদলের আহবায়ক লালন শেখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ জুলাই ২০২৫ ১০:২৫ এএম
গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্টদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় পুলিশের সব ডিসি, র্যাবের কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীতে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের ডাকা হয়েছিল। তাদের থেকে আমরা শুনলাম এখন আইন-শৃঙ্খলার কি পরিস্থিতি এবং আগে কেমন পরিস্থিতি ছিল। তারা জানিয়েছেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে।আসলেই কী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। এখন আমি যদি বলি সেটা তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে কী হয়নি সেটা আপনার ভালো বলতে পারবেন।জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা আমার অস্বীকার করছি না৷ রাজনীতি করতে গেলে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়৷ এক সময় আমরাও করেছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেও অনেক সময় অনেক কিছু হয়। কিন্তু ঘটনার পর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা সেটাই হল আমাদের কথা। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে। কিন্তু হরতালটা হয়েছে কিনা সেটা আপনারাই বলেন। দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য সময় হরতালে এর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু তার থেকে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে কিনা সেটা দেখবেন।গোপালগঞ্জের ঘটনায় মামলার প্রসঙ্গে টেনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানে পুলিশ মামলা করবে কী করবে না সেটা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ গোপালগঞ্জের ঘটনা আপনারা নিজ চোখে দেখেছেন তারা কী পরিস্থিতি করেছে।দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সামনের নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা যাবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত। সামনে আরও সময়তো রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ০৪:৩৭ পিএম
গোপালগঞ্জে চার মামলায় আসামি ৩০০৮, গ্রেপ্তার ৩০৬
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে ঘিরে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ মোট ৩ হাজার ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজন।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ায় গাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানো ও রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সদর থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে।শুক্রবার রাতে থানার উপপরিদর্শক শামীম আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এ নিয়ে জেলায় মোট চারটি মামলায় ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে তিন হাজার ৮ জনকে আসামি করা হলো। গত ১৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলার পাঁচটি থানার তথ্য অনুযায়ী, সদর থানায় নতুন ৪৪ জনসহ মোট ৯২, কাশিয়ানীতে ৩৩ জনসহ ৭৭, মুকসুদপুরে ২২ জনসহ ৮৮, টুঙ্গিপাড়ায় ১০ জনসহ ২৭ এবং কোটালীপাড়ায় ১০ জনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে কার্যক্রমে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এনসিপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৪ পিএম
কারফিউ শিথিল, গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি
গোপালগঞ্জে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে জারি করা কারফিউ রোববার (২০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শিথিল করা হয়েছে। তবে একই সময় থেকে জেলায় জারি করা হয়েছে দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুযায়ী এই আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময় জেলার যেকোনো স্থানে সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, সরকারি অফিস ও জরুরি পরিষেবাগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি বলেন, শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ বলবৎ ছিল। সেই কারফিউ শেষে এখন ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।এর আগে, গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে জারি করেন ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতির অবনতিতে পরদিন রাত ৮টা থেকে পুরো জেলায় কারফিউ জারি করা হয়।এ পর্যন্ত এনসিপি সংশ্লিষ্ট ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ১১:২৭ এএম
তদন্তের প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ঢাকায় যে মারা গেছেন, তার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। গোপালগঞ্জে যারা মারা গেছেন, তাদের কায়েকজনের লাশ পরিবার নিয়ে গেছেন। তাদের ময়নাতদন্ত কীভাবে হবে? যদি দরকার হয় আবার ময়নাতদন্ত করা হবে।গোপালগঞ্জে ঘটনার দায় কাকে দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্ধারণ করবে এ দায় কার, আপনারা জানতে পারবেন।টার্মিনাল উদ্বোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি থার্ড টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হবে। তারিখ নির্ধারিত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।ইমিগ্রেশন বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইমিগ্রেশনে কী পরিমাণ জনবল প্রয়োজন হবে তা বুঝতে হবে। এটার অপারেশন ক্যাপাবিলিটি অনেক অনেক বেশি। তৃতীয় টার্মিনালের কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুলাই ২০২৫ ০২:০১ পিএম
গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
গোপালগঞ্জে আজ শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষের পর জারি করা কারফিউ আজ শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বুধবার এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে পরিস্থিতি অবনতির কারণে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়।পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রথম দফায় কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় কারফিউর মেয়াদ বাড়িয়ে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত কার্যকর রাখা হয়। সর্বশেষ গতকাল রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক জানান, আজ সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:১৩ এএম
গোপালগঞ্জে আরও বাড়লো কারফিউয়ের সময়
গোপালগঞ্জে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান কার্ফিউ বলবৎ থাকবে। শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান তথ্য জানিয়েছেন।গোপালগঞ্জের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা সমাবেশ কে ঘিরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরসহ অন্যান্য অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৫ এ।গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মোহাম্মদ আব্দুল বাছেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও কাশিয়ানি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গত রাতে ৯০ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরির ঘটনায় গতকাল কাশিয়ানি থানায় করা সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুকসুদপুরে আরও ৬৬ জনকে গত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৩৬ জনকে সদর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ২০ জন কাশিয়ানির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ জন সন্ত্রাস দমন আইনের পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।অন্যদিকে, বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের কাজে বাধা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় মামালা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। গোপালগঞ্জ থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ১৮-৭-২০২৫। সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:৩৪ পিএম
গোপালগঞ্জ সহিংসতায় আরও একজনের মৃত্যু
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় রমজান মুন্সী (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত দুইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে আরও দুজন বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এর আগে, গত বুধবার ঘটনার দিনই চারজন নিহত হন। তারা হলেন- মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের দোকানি সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), সিরামিক পণ্যের দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭) ও রাজমিস্ত্রির সহযোগী রমজান কাজী (১৮)। রমজান মুন্সীকে ঢামেকে নিয়ে আসা তার ভাই হীরা মুন্সী বলেন, আমার ভাই রিকশাচালক। ঘটনার দিন (বুধবার) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় সিনেমা হলের পাশেই রিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে ফেরার পথে সহিংসতার মধ্যে পড়ে এবং গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই রাত দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই মারা যায়।’ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জ সদর এলাকা থেকে নিয়ে আসা রমজান মুন্সী নামের এক যুবক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৮ জুলাই ২০২৫ ১১:০৬ এএম
গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার পর জারি করা কারফিউর সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত (তিন ঘণ্টা) কারফিউ শিথিল থাকবে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আজ (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ আগামীকাল (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।এতে আরও বলা হয়েছে, আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ বন্ধ থাকবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলমান থাকবে।অন্যদিকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একই তথ্য জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৬:৩৯ পিএম
গোপালগঞ্জকে ‘মুজিববাদমুক্ত’ করার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের
গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে ‘মুজিববাদমুক্ত’ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরে পদযাত্রা শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকে কালই গোপালগঞ্জ যেতে চেয়েছিলেন। খুব শিগগিরই আমরা সেখানে যাচ্ছি। গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব। তবে সরকারকে সতর্ক করে দিতে চাই সাধারণ মানুষকে যেন হেনস্তা করা না হয়।তিনি বলেন, আমরা ন্যায্য বিচার আদায় না করে রাজপথ ছাড়ব না। এখনো সময় দিচ্ছি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করুন। তা না হলে আমরা আবারো গোপালগঞ্জ অভিমুখে লং মার্চ করব। তবে এবার আর ফিরে আসব না মুজিববাদ মুক্ত করে তবেই ফিরব।তিনি আরো বলেন, ৬৪টি জেলায় পদযাত্রা শেষ না করে আমরা ঘরে ফিরব না। আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহিদ মিনারে জড়ো হবো জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ প্রকাশের জন্য। যাই হোক না কেন, এই পদযাত্রা থামবে না। মানুষের মুক্তির এই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েই ফিরব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৫:০৮ পিএম
গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, সহিংসতা এবং মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।এতে বলা হয়, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। কমিটিতে আরো রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন করে অতিরিক্ত সচিব।একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।ভোরের আকাশ/এসএইচ