৫ বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায় দেড় লাখ, প্রাণ গেছে ৭২০ জনের
গত ৫ বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এক লাখ ২১ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে, হাজারখানেক আগুন দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭২০ জন। সামাজিক দ্বন্দ্ব, ব্যবসায়িক বিরোধ আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও অগ্নিসংযোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস।নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, জড়িতদের দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনায় বাড়ছে আগুনের ঘটনা।সম্প্রতি আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়েছে দেশের প্রধান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ। তার আগে চট্টগ্রাম ইপিজেড কিংবা মিরপুরে রাসায়নিকের গুদামে ভয়াব্হ আগুন জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুনের ধরণ ও কারণ নিয়ে।ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান মতে, গেল ৫ বছরে দেশে আগুনের ঘটনা এক লাখ ২১ হাজারের বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৭২ থেকে ৭৫টি। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, হাজারখানেক আগুন লাগানো হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭২০ জন।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেন, সামাজিক দ্বন্দ্ব, ব্যবসায়িক বিরোধ, এমনকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও অগ্নিসংযোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।ফায়র সার্ভিস বলছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ হতে পারে। কোনো দল বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থে এটা করতে পারে, এরকম হয়ে থাকে। প্রতিদিন বাংলাদেশে ৭২-৭৫ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো ঘটছে আমাদের সচেতনতার অভাবে কারণে।নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, দোষীদের দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনতে না পারায় দিন দিন বাড়ছে এমন ঘটনা।নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক এলাহি চৌধুরী বলেন, পাবলিক অ্যাওয়ারনেস বেশ জরুরি, ল ইনফোর্সমেন্ট খুব স্ট্রং হতে হবে। দৃশ্যমান কারেকশন শুধু কমিটি করলাম, ৩-৪ জন বসলাম, আলোচনা করলাম রিপোর্টও হয়ত সাবমিট হবে কিন্তু সেগুলো বাস্তবে প্রতিফলিত হলো না।পুলিশ প্রধান বলছেন, আগুনের ঘটনা গভীরভাবে মনিটরিং করছেন না। এই নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কিছু নেই।অগ্নিসংযোগ কেবল সম্পদের ক্ষতি নয়, জনজীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.