মানুষ চিনতে ভুল করেছে বিএনপি: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাপানে বসে প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাতে মনে হচ্ছে বিএনপি মানুষ চিনতে ভুল করেছে। গতকাল শনিবার শিশু একাডেমিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোকচিত্র ও হস্তলিপি প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এবার গণতন্ত্রের বিজয় আদায় করতে হবে।সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে গণমানুষের পাশে ছিলেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রচারমুখী ছিলেন না, প্রচারই তার পিছু নিতো।জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তিনি যা করতেন না, তা বলতেন না। অধিক সময় নিতেন না তার বক্তব্যে। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য কী করতে হবে, কেন করতে হবে, তা নিয়েই তিনি কাজ করতেন।তিনি আরও বলেন, জাতির মধ্যে জিয়াউর রহমানের আগমনটাও অত্যন্ত আকস্মিক। তার সম্পর্কে অনেক স্মৃতি রয়েছে, সব বলা সম্ভব নয়। জিয়া মানেই জাতীয়তাবাদী, জিয়া মানেই দেশপ্রেমিক, জিয়া মানেই গণতন্ত্র। তার প্রত্যেকটা পদচারণার মধ্যে উদ্দেশ্য থাকতো জাতির জন্য। জাতি জিয়ার আদর্শকে বুঝতে পারলে আমাদের মধ্যে ভয় থাকবে না।এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই হতে হবে। দেশে কেউ বিনিয়োগ করতে আসলে তারা জিজ্ঞেস করে নির্বাচন কবে। আমি একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চাই। নির্বাচিত বিরোধী দল, নির্বাচিত সংসদ দেখতে চাই।তিনি আরও বলেন, যদি কেউ বলে শুধু একটি দল নির্বাচন চায়, এটা কী সত্য? ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, এমন ৫২টা রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এই রকম একটা বক্তব্য আমাদের জন্য বিব্রতকর, জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে।হাতেগোনা কয়েকটি দল নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৪ থেকে ৫টি দল, এরা কোনো নিবন্ধিত দলও না, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তারা নির্বাচন চায় না। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও এমন কিংস পার্টি হয়েছিল। কথাগুলো বলতে চাই না এই কারণে, এসব বললে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, তাহলে কেনো বিলম্ব হচ্ছে। আমরা ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন চাই। ১৯৭১ সালে ভোটাধিকারের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তাহলে এখন কেন নির্বাচন নিয়ে সময় নষ্ট করা হচ্ছে?আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব ড. মো. এমতাজ হোসেন, মাহফুজুল রহমান ফরহাদ, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল লতিফ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ