ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে সরকার। পিছিয়ে নেই নির্বাচন কমিশনও। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই নির্বাচনকেন্দ্রিক নতুন নতুন তথ্য দেশবাসীকে জানিয়ে যাচ্ছেন তারা । গতকাল শনিবার প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে আরেকটি সুখবর। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে জুলাই সনদ, বিচার এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি বলেও দাবি করছেন অনেকে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় ভোটের মাস হিসেবে ‘ফেব্রুয়ারি’ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবার নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে দেশবাসী। মানুষের আড্ডা-আলোচনায় এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন- ‘কবে জানা যাবে ভোটের তারিখ’। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লন্ডন বৈঠকের পর থেকেই নির্বাচনের বিষয়ে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে সরকার। নির্বাচনী মাস ঘোষণার একদিন পরই নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে একটি অবাধ, সুষ্ঠুও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।এর আগে তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরদিন গত বৃহস্পতিবার থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গতকাল শনিবার বিকেলে রংপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।এর আগে সকালে রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেছিলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই, পরামর্শ চাই।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অস্ত্রের চেয়ে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার।সিইসি বলেন, নির্বাচন সিস্টেমের প্রতি, নির্বাচন কমিশনের প্রতি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে যে একটা ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া আজ রোববার প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে কারো তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ মিলবে ১২ দিন। গতকাল শনিবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এবারের হালনাগাদে ৪৪ লাখের মতো নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। এদেরই তথ্য খসড়া সম্পূরক তালিকায় প্রকাশ করা হবে রোববার। উপজেলা কর্মকর্তারা এই তালিকা নির্দিষ্ট স্থানে সাঁটিয়ে দেবেন। অন্যান্য কাজ শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ আগস্ট। বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এদিকে যাদের বয়স ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গত বৃহস্পতিবার তফসিলের সম্ভাব্য সময় সাংবাদিকদের জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এদিন নবম কমিশন সভা হয়। পরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ।তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছেছে। তবে কমিশন সভায় সেই চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা অতি শিগগির আলোচনা করব। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপনাদেরকে যেটা বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে ঘোষণাটা আসবে দুই মাস আগে। আপনারা ধরেই নিতে পারেন, এই শিডিউল ঘোষণার কাজটা আমাদের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে (করব)।”এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেদিন নির্বাচন হবে, আনুমানিক তার ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। রোজার আগে নির্বাচন, রোজা যদি হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি, তার আগে দুই চার দিন সময় দেবেন ফর নিউ গভার্নমেন্ট টু টেক ওভার, শপথ গ্রহণ ইত্যাদি। তার আগে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের যে ডেটটা হবে, টেন্টেটিভলি তার থেকে ৬০ দিন আগে আপনারা হিসাব করবেন।”ইসির নির্বাচন প্রস্তুতি নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পূর্বে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, ব্যালট পেপার প্রস্তুতসহ আরও কিছু বিষয় যুক্ত থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের পর ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল। তবে দিন-তারিখ ছাড়াও প্রার্থীরা কবে থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন, মনোনয়নের কাগজপত্র কতদিনের মধ্যে বাছাই করা হবে, কাগজ বাতিল হলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তিরা কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে- এরকম খুঁটিনাটি আরও অনেক বিষয়ে তথ্য দেওয়া থাকে তফসিলে।এছাড়া যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন, তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনি প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে, নির্বাচনের দিন ক’টার সময় ভোট শুরু হয়ে কতক্ষণ চলবে, ভোট শেষে কোথায়-কীভাবে ভোট গণনা করা হবে, তফসিলে সেটিরও উল্লেখ থাকে।নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দেড় থেকে দুই মাস আগে সেটার তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা, ব্যালট পেপার প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।‘এক্ষেত্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে,’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের আগে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ইতোমধ্যেই তারা ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বাগেরহাট ও গাজীপুরসহ তিন ডজনেরও বেশি এলাকায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সীমানা নিয়ে আপত্তি থাকলে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর শুনানি শেষে আগস্টের মধ্যেই সীমানা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।এছাড়া ইতোমধ্যে সীমানা আইন সংশোধন অধ্যাদেশ, ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম নীতিমালা, পর্যবেক্ষক সংস্থা নীতিমালা জারি ও আবেদন আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই করে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে কমিশনকে। কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ১৪৫টি দলের নিবন্ধন আবেদন তাদের কাছে জমা পড়েছে।এর মধ্যে তথ্য ঘাটতি চেয়ে চিঠি দেওয়ার পর ৮০টির মতো দল প্রয়োজনীয় নথি দিয়েছে। এছাড়া সময় বাড়াতে আবেদন করেছে ছয়টি দল। তফসিল ঘোষণার আগেই নতুন আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে ভোটে অংশ নেওয়া দলের তালিকা প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।এর বাইরে, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও প্রস্তুত করা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা, ব্যালট পেপার প্রস্তুতসহ অন্যান্য কাজও চলছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারচেজ প্রকিউরমেন্টে আটটি আইটেম ছিল। তার ভেতরে একটিতে পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সময়সীমা রয়েছে, তার মধ্যে পাওয়া যাবে।’কমিশনের সামনে যত চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের শাসনামলের গত দেড় দশকে বাংলাদেশে যে তিনটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, সেগুলোর সবগুলোই ছিল বিতর্কিত। ওই সময় ভোট দিতে না পারার অভিযোগ তোলেন অনেক ভোটার। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। ফলে আগামী নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা অর্জনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।তিনি বলেন,‘ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেকের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। আমরা আয়নার মত স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও বানিয়ে দলগুলোকে নানা ধরনের প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে অনেকের মধ্যে শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ভোটের আগে এ ধরনের প্রচারণা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করার বিষয়টিও কমিশনের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ গত ১০ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই বৈঠকের আলোচনা ও নির্দেশনার বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।ভোরের আকাশ/এসএইচ