ছবি : ভোরের আকাশ
সাতক্ষীরা জেলার সকল থানায় সব ধরনের অনলাইন জিডি চালুর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত ১২:০১ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে জেলার সকল থানায় সব ধরনের অনলাইন জিডি চালুর শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মুকিত হাসান খান , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শাহিনুর চৌধুরী, সদর থানার ওসি মোঃ শামিনুল হক, ডিআইও -১ চৌধুরী রেজাউল করিম প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় চালু হলো অনলাইনে সব ধরনের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সুবিধা। বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে এখন থেকে ঘরে বসেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার যেকোনো থানায় জিডি করা যাবে। ইতোপূর্বে অনলাইনে কেবলমাত্র হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করার সুযোগ ছিল। তবে এখন থেকে জেলার সব থানায় সব ধরনের জিডি অনলাইনে করার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এই সেবা ব্যবহার করে এখন চুরি, জবরদখল, হুমকি, পারিবারিক দ্বন্দ্বসহ অন্যান্য সাধারণ বিষয়েও ঘরে বসেই জিডি করা যাবে।
জিডি করার পদ্ধতি কীভাবে? এই সেবা গ্রহণের জন্য সর্বপ্রথম অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর কিছু সহজ ধাপে অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে জিডি সম্পন্ন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি: অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর প্রেরিত ওটিপি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। এনআইডি, জন্মতারিখ ও ছবি আপলোড করতে হবে। এছাড়া ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে হবে।
জিডি করার ধাপ: অ্যাপে লগইন করে ‘হারানো/পাওয়া/অন্যান্য’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য (বিষয়বস্তু, স্থান, তারিখ) পূরণ করতে হবে। এনআইডি ও মোবাইল নম্বর পুনরায় যাচাই করতে হবে। সবশেষে ‘ফাইনাল সাবমিট’ ক্লিক করলে জিডি সম্পন্ন হবে।
এদিকে, জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এখন আর সাধারণ মানুষকে থানায় গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে জনগণের দোরগোড়ায় নিরাপত্তা সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
জেলা পুলিশের এই উদ্যোগে নাগরিকরা স্বচ্ছ, সহজ ও সময় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে পুলিশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ স্লোগানকে সামনে রেখে তিন দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে।উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে সোমবার (২১ জুলাই) সকালে উপজেলা চত্বরে থেকে র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করেন।মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল হক।দিনাজপুর জেলার সহকারিবন রক্ষক মোছাঃ নুরুন্নাহার এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায়, ২ নং বিনোদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম ফতেহ, সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী সহ অনেকেই ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী বন সংরক্ষক ও চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানভীর ইসলাম নাহিদ।এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.আশরাফুল হক বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়, গাছ থেকে আমরা ফল পাই। গাছ না থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা যত বেশি গাছ লাগাব তত বেশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাই আসুন আমরা সবাই বেশি করে গাছ লাগাই, গাছের যত্ন নেই পরিবেশ বাঁচাই, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি ।তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।এবারের মেলায় মোট ৮টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে। স্টলে বেশিরভাগ গাছে ছিল ঔষধি ও ফলজ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে একটি করে পেয়ারার গাছ বিতরণ করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
বরগুনার তালতলীতে বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে স্কাউট সদস্যদের জন্য সিপিআর বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২১ জুলাই) দিনব্যাপী তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে 'সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)' আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০ জন স্কাউট সদস্য অংশগ্রহণ করেন।কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, সিআইপিআরবি'র উপ-পরিচালক মোঃ আবুল বরকাত, ডেপুটি কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফারহানা ফেরদৗস, এরিয়া অর্ডিনেটর রজত সেন, তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার, সিনিয়র শিক্ষক জনাব জিয়াউল হক রুবেল প্রমুখ।কর্মশালায় পানিতে ডুবা ব্যক্তির শ্বাস ও জ্ঞ না থাকলে কিভাবে সিপিআর এর মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা যায় সে বিষয়ে স্কাউট সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক এ.এম.এম কামাল উদ্দিন বলেছেন, “দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কার করে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে আয়োজন করা জরুরি। এতে জনগণ নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”রোববার (১৯ জুলাই) রাতে চরফ্যাশন পৌর সদরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে চরফ্যাশন প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছি এবং দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও নৈতিক সংকট নিয়ে কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস, চরফ্যাশন ও মনপুরার জনগণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। এই পরিবর্তন হতে হবে নৈতিকতা, জবাবদিহিতা ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এসব মূলনীতিকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতার লোভে নয়, বরং আদর্শিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই।”অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আরও বলেন, “আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি চরফ্যাশন-মনপুরার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে মাঠে থাকবো। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যাত্রায় গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে সঠিক তথ্য পরিবেশন এবং ইতিবাচক সহযোগিতার আহ্বান জানান।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও ভোলা জেলা দক্ষিণ শাখার উপদেষ্টা হাজী আলাউদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন ভোলা দক্ষিন শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুব, ভোলা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী মাওলানা আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।এছাড়াও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ভোলা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভোলা দক্ষিণ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম সিকদার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এমদাদসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে জীবন-যাপনে উপযোগী তাপমাত্রা রক্ষার্থে কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ইতোমধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের বৃক্ষরোপনের নিদের্শনা দিয়েছেন।তারেক রহমানের নিদের্শনা মতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ আর মামুন খান । সামাজিক সংগঠন বৃক্ষ উৎসর্গ এই কাজে সহযোগিতা করছেন।সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১১ টায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খাস মহল লতিফ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপন ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীসহ বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।এদিন বিদ্যালয় মাঠে ও রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ওষধি গাছের চারা লাগান তারা। গাছে প্রয়োজনীয় খুটি লাগানো হয়। এছাড়াও গাছে পানি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বৃক্ষরোপনের আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বর্তমান সময়ে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়। খাস মহল লতিফ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র অবকাঠামো বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি হিসেবে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা।কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ আর মামুন খান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মন্দির ও রাস্তার দুই ধারে বৃক্ষরোপণ চলমান রয়েছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ