সংগৃহীত ছবি
পিরোজপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত এক নারী বেঁচে থাকার তাগিদে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। স্বামী দিন মজুর। বাঁচার আকুতি নিয়ে বিত্তবানদের কাছে সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছেন।
পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক সাধারণ দিনমজুরের পরিবার আজ বাঁচার জন্য লড়ছে—শুধু বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারটুকুর জন্য। দীর্ঘ এক বছর ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দিনমজুর বাচ্চু মৃধার স্ত্রী রেবা বেগম।
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকার ডেলটা হাসপাতালে চলমান চিকিৎসায় প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যেখানে বাচ্চু মৃধা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত অবধি কাজ করেও কোনো রকমে সংসার চালান, সেখানে স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় তার সাধ্যের অনেক বাইরে।
রেবা বেগমের সংসারে রয়েছে তিনটি সন্তান। তাদের চোখে আজ স্বপ্নের কোনো রঙ নেই, রয়েছে শুধুই উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তা। মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের একটি প্রশ্ন "মা, তুমি কি বাঁচবে?"
কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর আর দিতে পারছেন না মা, পারছেন না বাবা।
চিকিৎসকদের মতে, রেবা বেগমের জীবন বাঁচাতে হলে নিয়মিত কেমোথেরাপি ও বিশেষায়িত চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই হবে। চিকিৎসার কোনো ব্যত্যয় হলে রোগটি আরও জটিল হয়ে উঠবে এবং মৃত্যুঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে।
দিনমজুর বাচ্চু মৃধা বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ, তিন ছেলেকে নিয়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর লড়াই করছি। আপনারা পাশে না দাঁড়ালে আমার স্ত্রীকে হয়তো আর বাঁচাতে পারব না। সবার কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি, একটু সাহায্য করুন।
তার চিকিৎসা ও জীবন রক্ষায় সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছে পরিবারটি। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে আপনার ছোট একটি সহযোগিতাও হতে পারে এই অসহায় পরিবারের জন্য আশার আলো। সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ:
রেবা বেগমের ছেলে এনামুল ইসলাম মুন্না
মোবাইল নম্বর (বিকাশ/নগদ/রকেট): 01609-942124
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রামে আল হামিদ টেক্সটাইল নামে একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ভবনটিতে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।নয়তলা বিশিষ্ট ওই পোশাক কারখানাটি চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অবস্থিত।ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ১৪টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নৌবাহিনীর সদস্যরাও।বিস্তারিত আসছে...ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইলিশ চত্বর মোড়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।সম্প্রতি ওই এলাকায় সংস্কার কাজের ধীরগতি ও খানাখন্দের কারণে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির অভিযোগ উঠে।গত ৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ‘চাঁদপুরে ইলিশ চত্বর মোড়ে সংস্কার কাজের ধীরগতি, খানাখন্দে দেবে গেল ট্রাক’ শিরোনামে ভোরের আকাশে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।সংবাদটি প্রচারের পর স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেও নজরে আসে। এরপর এর সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল ১০টায় পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ শুরু হয়।পৌর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইলিশ চত্বর এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।স্থানীয় বাসিন্দারা পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং গণমাধ্যমের রিপোর্টের ইতিবাচক প্রভাবে অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় সাধুবাদ জানান।ভোরের আকাশ/তা.কা
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাসচাপায় নওরীন আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পাকুটিয়া খানপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত নওরীন উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের পাঁচতারাইল গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে। তিনি পাকুটিয়া বৃন্দাবন রাধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাগরপুরগামী এসবি লিং পরিবহনের একটি বাস পাকুটিয়া খানপাড়া এলাকায় পৌঁছালে নওরীনকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক বাসটি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে শহরের মৌলভীপাড়ায় ৬ তলা বিশিষ্ট দেওয়ান প্লাজা ভবনের ৫ম তলার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে শহরের মৌলভীপাড়ায় ওই ভবনের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দু'টি ইউনিট ও আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ফ্ল্যাটের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ থেকে শাহ ফরহাদ উদ্দিন আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।ধারণা করা হচ্ছে, আগুন রাত প্রায় ৩টায় লেগেছিল। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসকে বিলম্বে খবর দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপদে বের হয়ে গেলেও কক্ষের ভেতরেই ছিলেন শারীরিকভাবে অসুস্থ শাহ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ।নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলমান রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.