প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় অন্তরা আক্তার নামে প্রবাস ফেরত এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার (৮ জুন) রাত ১১টার পর কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। নিহত অন্তরা আক্তার (২৫) ওই এলাকার সিরাজ ডাক্তারের বাড়ির ভ্যান চালক কামাল হোসেনের মেয়ে। তিনি সৌদিআরব প্রবাসী ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অন্তরা আক্তার তার ৩ বছর বয়সী ছেলে জামাল হোসেনকে নিয়ে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার শোবার ঘরে ঘুমাতে যায়। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অন্তরা আক্তারের ছেলে জামাল হোসেনকে ঘরের বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখে অন্তরা আক্তারের মা সুবর্ণা আক্তার অন্তরাকে ঘরের বাহির থেকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। পরে স্বজনরা ঘরের ভেতর গিয়ে দেখে অন্তরা আক্তার নিজের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা কামাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে অন্তরা আক্তারের গত ৫ বছর আগে কিশোরগঞ্জের হাবিবুর রহমান সালামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর আমার মেয়ে জানতে পারে তার স্বামী অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। পরে আমার মেয়ে অন্তরা উপায়ান্তর না পেয়ে তার শিশুসন্তানসহ আমাদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সে সৌদিআরবে প্রবাসী জীবন পার করছিল। গত দুই মাস আগে সে বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন রোববার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টার কোনোএক সময় সে তার শোবার ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হাচানাত বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। নিহতের লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলায় ৯টি কলেজের কেউই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজ শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর (২০২৪) এ জেলায় শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল ২টি।শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় দিনাজপুর বোর্ডের ৬৬৬টি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৩টি কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। শূণ্য পাস করা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুড়িগ্রামের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—৯টি।কুড়িগ্রামের শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো—১. সিংগার ডাবড়ী হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ২. চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ৩. বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ৪. দাশিয়ার ছড়া মহাবিদ্যালয় (পূর্ব নাম: রাশেদ খান মেনন মহাবিদ্যালয়)৫. টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজ৬. নাগেশ্বরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ (পূর্ব নাম: সোশ্যাল কল্যাণ মহিলা কলেজ,নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম)৭. চিলাখানা মডেল কলেজ৮. কুটি পয়ড়াডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ৯. ধলডাঙ্গা বি.এল. উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের পাশের হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কুড়িগ্রামের দুইটি কলেজ শতভাগ ফেল করেছিল—রৌমারীর শৈলমারী এম এল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নাগেশ্বরীর গোপালপুর এম আর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক সংকট,পাঠদানে অনিয়ম এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এই ফলাফলের জন্য দায়ী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, আমরা ইতোমধ্যে ফলাফল বিশ্লেষণ শুরু করেছি। যেসব কলেজের ফলাফল শূন্য, সেগুলোর বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এদিকে, শিক্ষার মানোন্নয়নে কুড়িগ্রামের অভিভাবক ও সচেতন মহল সরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের কাউখালীতে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ণেরর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব শামীম সাঈদী।মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম সাঈদী বলেন, শিক্ষকরা হলো জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের মাধ্যমেই লেখাপড়া করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে বিভিন্ন স্থানে চাকরিসহ বিভিন্ন স্থানে কাজকর্ম করছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেন।শিক্ষকরা শিক্ষা না দিলে নিজেকে গড়ার সুযোগ পেত না। সরকারের কাছে আবেদন করবো, সরকার যেন শিক্ষকদের ন্যায্য যৌক্তিক দাবি মেনে নেন।তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে চলছে।আমার মনে হয় শিক্ষকদের উপর হামলাও এই ষড়যন্ত্রের অংশ।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান। কাউখালী উপজেলা জামাতের সেক্রেটারি অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি হাসিবুর রহমান সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ
ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এর আগে, দুপুরের দিকে সাভারের নবীনগরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এসময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তাররা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও ধানের শীষের পক্ষে সুনামগঞ্জে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমাবেশস্থলে এসে মিলিত হন। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল এর সমর্থনে মুহূর্মুহু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। পরে একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি লুৎফা আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফেজা ফেরদৌস লিপনের সঞ্চালনায় নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল।সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আকবর আলী, আ ত ম মিসবাহ, এড. মাসুক আলম, এড. শেরেনুর আলী, মো. রেজাউল হক, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, মো. ফুল মিয়া, সদর বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ লিলু, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি সুহেল আহমদ, কামরুল হাসান রাজু, পৌর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল্লাহ হাসান জুনেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুর্শেদ আলম, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা কলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক রুমি বেগম, রুনা আক্তার, প্রচার সম্পাদক মনিরা আক্তার লিজা, যুগ্ম সম্পাদক লায়লা বেগম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমদ মণি,সদর উপজেলা মহিলা বিএনপির সভাপতি আফসানা রহমান এলসি, সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদা উদ্দিন, পৌর বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি সাবরিনা জেনি, সাধারণ সম্পাদক মার্জিয়া বেগম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মহিলা বিএনপি নেত্রী নাজমা আক্তার, রহিমা বেগম, সুফিয়া আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মুনাজ্জির হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মো. সোহেল মিয়া, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন, মমিনুল হক কালার চাঁন, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।সমাবেশে নারী নেত্রীরা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভপুর-৪ আসনে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল এর বিকল্প নেই। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান তাঁরা।ভোরের আকাশ/জাআ