রাজবাড়ীতে মতবিনিময় করলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতা
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হলো এক মতবিনিময় সভা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া। এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুন্সি আব্দুল।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, বর্তমান আহ্বায়ক মো. আব্দুল মালেক খান, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদ, এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
অ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি জেনারেটর দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা সব সময় পাশে থাকব।
তিনি বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের জনগণের সেবায় কাজ করতে চাই। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে সামনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেওয়ার আশা রাখি।
ভোরের আকাশ/আমর
সংশ্লিষ্ট
পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে পাবনা বাইপাস মহাসড়কের ইয়াকুব ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ট্রাকচালক সেলিম হোসেন (৩৮) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।আহতরা হলেন, বাসের হেলপার তারেক (৩৫) ট্রাকের হেল্পার আলামিন (৩৫)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল। কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ট্রাক চালক সেলিম সুনামগঞ্জ থেকে পাথর ভর্তি করে মাওয়া যাচ্ছিলেন। অপরদিক পাবনা এক্সপ্রেস বাসটি ঢাকা থেকে পাবনা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে হেলপার আলামিন গাড়ি গ্যারেজ করার জন্য দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ইয়াকুব প্লিজ ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তাৎক্ষিনক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্রাক চালক সেলিম কে মৃত ঘোষণা করেন।অপরদিকে আহত ট্রাকের হেলপার ও বাসের হেলপারের অবস্থা গুরুতর হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়।পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে রেখেছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রি হয় চড়া দামে। যে কারণে সাধারণ ক্রেতা ও স্থানীয়রা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ‘জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণ’ এর জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের হাতে আসে।ঠিচিতে উল্লখ করা হয়, প্রাচীণকাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী/আড়ৎদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে। এতে জেলা প্রশাসন চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হলেও এর ফলপ্রসু প্রভাব পড়বে না। চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরো অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। নদী কিংবা সাগরে উৎপাদিত ইলিশে জেলেদের কোন উৎপাদন খরচ লাগে না। এরপরেও ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী/সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, তাই ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।তবে ভিন্ন মত প্রকাশ করে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী সবেবরাত সরকার বলেন, চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা ওইরকম আমদানি হয় না। অল্প কিছু ইলিশ আসে যে কারণে দাম বেড়ে যায়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনায় আগেরমত ইলিশ নাই। দিনে ৫ থেকে ১০ কেজি ইলিশ আসে আড়তে। যে কেউ দাম নিয়ে মন্তব্য করতে হলে বাস্তবে এসে দেখতে হবে।চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, মৎস্য বিভাগ বছরজুড়েই ইলিশ সরবরাহের তথ্য সংরক্ষণ করে। যদি কোন সংস্থা মূল্য জানতে চায় তখন ওই সময়ের বাজার দর দেয়া হয়। মূলত মৎস্য বিভাগ ইলিশের দর নিয়ে কাজ করে না। কাজ করে সরবরাহ নিয়ে।চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, জাতীয় মাছ ইলিশ এর মূল্য নির্ধারণের জন্য বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯৩) মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনির বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ।নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলীর গুরুই ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং গুরুই শাহী মসজিদের পাশের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। সখিনা বেগমের জন্ম নিকলী উপজেলার হাওর অধ্যুষিত গুরুই গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই স্বামী কিতাব আলী মারা যান। নিঃসন্তান সখিনা বেগম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কিছু বই থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনার ভাগনে মতিউর রহমান যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনি হিসেব কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের বিভিন্ন খবর মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। পরে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও কৌশলে সেখান থেকে একটি দা’ নিয়ে পালিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। দা’টি বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে, যার নামফলকে রয়েছে সখিনা বেগমের নাম। ভোরের আকাশ/এসএইচ
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপজেলা প্রশাসনিক হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আকলিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাসাইল উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য পৌর সভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে।সভায় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার শার্লী হামিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুপ জিন্নাত রিয়া, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হীরা মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান খান, কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রমজান মিয়া, ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু, হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, কাউলজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল গনি হাবিব।উল্লেখ্য, বাসাইল উপজেলায় এখন পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার আহবান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ