সংগৃহীত ছবি
আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বিতর্ক একটি সৃজনশীল শিক্ষা মাধ্যম। যারা আজ থেকে নিজেকে একজন বিতার্কিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন একদিন তারা সমাজে নেতৃত্ব দিবেন। বিতর্ক যেমন মানুষকে যুক্তিবাদী করে তোলে, তেমনি দেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, স্কুলভিত্তিক এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুধু বড়বড় শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামে ও মফস্বলে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশটা আমাদের তাই দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। স্বাগত বক্তৃতা করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহবায়ক শেখ দিদারুল আলম।
আইইউবি এর প্রতিনিধি মোঃ ফুয়াদ হোসেন ও সাবেক বিতার্কিক সারোয়ার—ই—আক্তার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ^বিদ্যালয়ের আয়োজিত এতে খুলনা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকা জনকল্যাণ সমিতি সহযোগিতা করে। পরে প্রধান অতিথি আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মহানগরের আটটি স্কুলে ৩২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। আগামী ১৬ অক্টোবর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে খুলনা পাবলিক কলেজ ও নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ একে অপরের মুখোমুখি হবে।
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
বরিশালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আয়োজনে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আয়োজনে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে পুলিশ -ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার বেল্লাল হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়া আমেনা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন নাজনীন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদিক আহমেদ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত গাজী মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম অহিদ, পুলিশ পরিদর্শক পিবি আই হুমায়ুন কবির, মোঃ মশিউর রহমান পুলিশ পরিদর্শক সিআইডি, সিভিল সার্জন পরিচালক ডাঃএস.এম.মন্জুর এ এলাহী, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহকারী পরিচালক ( প্রশাসন) ডা: মোঃ মাহামুদ হাসান, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ফরেনসিক প্রভাষক ডা:অনিক নিলয় দে,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আনন্দ কুমার শীল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তানভীর হোসেন, বরিশাল কোতোয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান, কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেন, বিমানবন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আল মামুন উল ইসলাম, বন্দর থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।ছবি: ভোরের আকাশকনফারেন্সের শুরুতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ জহির উদ্দিন বলেন ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) তদন্ত করার সময় বিভিন্ন মামলার আলামত যথাযথভাবে জব্দ করার জন্যেও নির্দেশ দেন।তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আরও প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা দিতেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় মতামত ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।সভায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কয়েদিদের খাবারের জন্য যে বরাদ্দ হয় সেটা সঠিকভাবে কয়েদিরা পান কিনা সে ব্যাপারে তদারকি করেন, এবং যেদিন তাকে আদালতে আনা হয় ঐদিন যাতে কয়েদির জন্য যেটা বরাদ্দ খাবার থাকে তাকে সেই খাবারটা জেল থেকে সরবরাহ করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন চীফ পেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহির উদ্দিন। এতে করে কোর্ট পুলিশের বিরম্বনা পোহাতে হবে না, এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তদন্তের ব্যাপারে আরো সুসংগঠিত হতে হবে এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন।কনফারেন্সের পরিশেষে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই ম্যাজিস্ট্রেসি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন এবং তিনি উক্ত প্রোগ্রামে যে আলোচনা করেছেন সেটা দেশের সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছেন এবং কাজ করতে গিয়ে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে তার দরজা সব সময় খোলা আছে এমনটাই তিনি পরিশেষে ব্যক্ত করেছেন।ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপাপ্ত নাজির মোঃ কামরুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/তা.কা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঈশ্বরপুর গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৯) এবং উত্তর খলাপাড়া গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে রানা হামিদ (৩৩)।কালীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় জনৈক আলামিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে দুইজনকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে ১০ গ্রাম ওজনের ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি কালো রঙের আইটেল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং একটি কালো রঙের ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল (নম্বর: ঢাকা মেট্রো-ল-43-3137) জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় থানার এসআই আসলাম খান বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা (নং-২৪, তারিখ-১৬/১০/২০২৫) দায়ের করেছেন।কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধ্যনগর থানাধীন ৪নং মধ্যনগর ইউনিয়নের পিপড়াকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মনিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় এএসআই মো. আব্দুর রউফ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।গ্রেফতারকৃত আসামির নাম স্বপন মিয়া (৪০), পিতা নজরুল ইসলাম, সাং- ফারুকনগর, থানা- মধ্যনগর, জেলা- সুনামগঞ্জ। তিনি নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা থানার জিআর নং ৮০/২২ মামলার মামলা নং ০৬(০৪)২২ এর মাদক মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন।অভিযানে গ্রেফতারের পর আসামিকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
স্থান ভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন (এলএসটিডি) প্রকল্পের উদ্যোগে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত নতুন জাত ব্রি ধান১০৩ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় বিকেলে সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর মধ্যপাড়ায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সিরাজগঞ্জের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার এবং প্রধান ড. হীরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালক, এলএসটিডি প্রকল্প-ব্রি।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. মোঃ মহি উদ্দিন, পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত),বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার, সুজানগর, পাবনা, মোঃ সেন্টু রহমান, সাইন্টিফিক অফিসার, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ এবং কৃষক মোঃরবিউল ইসলাম প্রমুখ।চলতি আমন ২০২৫ মওসুমে সুজানগর উপজেলায় এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় ১ একরের ৭০ টি জাত প্রদর্শনী স্থাপিত হয়েছে।নমুনা ফসল কর্তনে ১ বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে ২৬ মণ নতুন জাতের ধান ব্রি ধান১০৩ উৎপাদিত হয়েছে যা প্রচলিত আমন মৌসুমের যেকোন জাতের চেয়ে বেশি ফলন দিতে সক্ষম। জাতটির জীবনকাল ১২৮-১৩৩ হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকগণ পিঁয়াজ ও সরিষা চাষের ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছেন।এছাড়া জাতটিতে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ কম, ফলন বেশি এবং খড় ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। মাঠ দিবসে ব্রির বিজ্ঞানীগন ধান চাষে সকল ধরনের কলাকৌশল ও সুবিধা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/তা.কা