ছবি: ভোরের আকাশ
দেশজুড়ে অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে পিরোজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় জেলা স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে বিপুল সংখ্যক যুবদল নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রসমাজ এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, জেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান তুষার, সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ, ১নং যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ সরদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন ও যুব সমাজকে বিপথগামী করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু গুপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।
তারা আরও বলেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় পিরোজপুর জেলা যুবদলসহ সারাদেশের জেলা, উপজেলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ইউনিটসমূহ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সমাবেশ শেষে নেতারা দাবি করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদল।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সামনে থেকে জেলা যুবদলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয় এবং শহরের টিএ রোড সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় জেলা যুবদলের সভাপতি মো: শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে এক পথসভা করেন তারা।পথসভায় বক্তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জামায়াত শিবির এবং আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে যেভাবে অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে তা বন্ধ করতে হলে দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে স্ব-সম্মানে ক্ষমতা ছাড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুশিয়ারি প্রদান করেন তারা।জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈয়মুর, সাবেক ছাত্রদল নেতা সাঈদ হাসান সানি, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজহার হোসেন চৌধুরী দিদার প্রমূখ।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা শহর ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিম সরকার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. জহুরুল হক সরকার, সহকারি সেক্রেটারী সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফেরদৌস আলম, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম মন্ডল, শহর সেক্রেটারী আবু হাসান নয়া মিয়া, সদর উপজেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মো. ওবায়দুল ইসলাম, শিবিরের জেলা সভাপতি রুম্মান ফেরদৌস প্রমূখ।বক্তারা বলেন, যারা বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। কিন্তু বছর না যেতেই এই সন্ত্রাসী আওয়ামী সংগঠন কিভাবে অস্ত্র হাতে গোপালগঞ্জে হামলা চালিয়েছে তা উদ্বেগের। গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের উপর যে হামলা দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। তাই ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে রুখে দিতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ, সেলাই মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে উপজেলা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।শুরুতে জেলা প্রশাসক বাকেরগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।পরে উন্নয়ন সংস্থা সেইন্ট বাংলাদেশ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জোরে পরা এবং বাল্যবিবাহে ঝুকিতে থাকা ১০ জন শিক্ষার্থীদের পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ও সেলাই কাজের জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।পাশাপাশি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা বক্স বিতরণ করা হয়। একই সময় পূবালী ব্যাংক এর আয়োজনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ফজল বৃক্ষের চারাগাছ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকেরগঞ্জ রুমানা আফরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকেরগঞ্জ তন্ময় হালদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ আবুল কালাম আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকেরগঞ্জ খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সেইন্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবিরসহ সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা।এর পূবে পৌরসভা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনসহ বৃক্ষ রোপণ এবং উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, এনজিও ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়।মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত ছাত্রদল কর্মী হলেন- মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩)।জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রদল কর্মী একটি মুঠোফোনের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রদল কর্মী রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬ থেকে ৭ জন মিলে অপর কর্মী মঠবাড়িয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে শামীম (২৩) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩) কে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মুবিনের মৃত্যু হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় ছাত্রদল কর্মী মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার সমর্থক।তবে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন দুলাল এর লোক নাজাত এই আক্রমণ করেছে এবং নাজাতই এদের জখম করেছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে আরেকজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি জড়িতদের বিচার চাই।এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ