ছবি সংগ্রহীত
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের তিস্তা তীরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’-এর উদ্যোগে রাজারহাট উপজেলার বুড়ীরহাট ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মশাল মিছিলে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ অংশ নেন। কর্মসূচিতে বক্তৃতা দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মোস্তাফাজুর রহমান, যুগ্ম-সমন্বয়ক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদস্য অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব ও আনিসুর রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ভারত ২০১৪ সালে গজলডোবা বাঁধের সব জলকপাট বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর প্রায় ১১৫ কিলোমিটার এলাকায় পানি শূন্য হয়ে পড়ে। এর ফলে তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ জীবিকা হারিয়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তারা অবিলম্বে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ডাকে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা—কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় মোট ১২টি স্থানে একই দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারিতে একই দাবিতে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় তিস্তা তীরে ১২ স্পটে দুই দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছিল, যেখানে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে পানিতে ডুবে সাইম (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামের বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়। নিহত সাইম একই এলাকার সাদ্দাম মিয়ার ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু সাইম খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।বালিয়াকান্দি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ওই শিশুকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে উপকূলীয় জনপদ কয়রায় টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে আহ্বান জানান।বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়রা উপজেলা যুবদলের আয়োজনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজিজুল বারী হেলাল বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, মিথ্যা মামলা, হয়রানী, গুম, খুন ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং ৫ আগস্ট দেশের মানুষের গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট দিয়ে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আনবেন। পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল পিআরের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কয়রা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ শরিফুল আলম। সদস্য সচিব মোহতাসিম বিল্লাহ এবং সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এহছানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাক্তার আব্দুল মজিদ, এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী।প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের আহবায়ক এবাদুল হক রুবায়েত। এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপি ও যুবদলের বহু নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ//হ.র
নারায়ণগঞ্জে সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়। দীর্ঘদিনের জটিলতা, অভাব ও ফাইলবন্দি প্রস্তাবের সংস্কৃতিতে গা না ভাসিয়ে বাস্তব পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির আওতায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে হস্তান্তর করা হলো দুটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্র। একটি ব্লাড সেল কাউন্টার (সিবিসি মেশিন) এবং একটি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন।এই উদ্যোগে জেলার সবচেয়ে প্রাচীন (৮৭ বছরের) সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ঘটেছে বড় ধরনের উন্নয়ন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে রক্ত পরীক্ষা করা হতো পুরোপুরি হাতে-কলমে, অর্থাৎ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এতে সময় লাগত বেশি, ভুলের আশঙ্কাও ছিল। তাছাড়া হার্টের রোগীদের জরুরি অবস্থায় ইসিজি পরীক্ষা করার মতো কোনো পোর্টেবল যন্ত্রও ছিল না। যা গুরুতর রোগীদের বেডেই দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক।জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি হাসপাতালটি পরিদর্শনকালে এই ঘাটতির বিষয়টি জানতে পারেন এবং বিষয়টি দ্রুত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠান। তার উদ্যোগ ও তদবিরে দ্রুত অনুমোদন আসে। পরে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের স্বনামধন্য কোম্পানির তৈরি আধুনিক দুটি মেশিন সংগ্রহ করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. জহিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “আগে আমাদের এখানে অটোমেটিক সিবিসি মেশিন ছিল না। এখন আমরা আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্টসহ রক্তের অন্যান্য উপাদান পরীক্ষা করতে পারব। এতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা অনেক উন্নত হবে। আর পোর্টেবল ইসিজি মেশিনের কারণে এখন সরাসরি রোগীর বেডের কাছেই পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, যা রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের জন্যই বড় সুবিধা।”জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও প্রতিদিন গড়ে কয়েক শ রোগী এখানে ভর্তি থাকেন। আমরা কাউকে ফিরিয়ে দিই না। এই নতুন মেশিনগুলো আমাদের সক্ষমতা ও চিকিৎসা মান দুই-ই বাড়িয়ে দেবে। জেলা প্রশাসক শুধু স্বাস্থ্য নয়, জেলার প্রতিটি খাতেই মনোযোগীভাবে কাজ করছেন এটাই একজন প্রকৃত জনবান্ধব প্রশাসকের পরিচয়।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, হাসপাতালের পুরনো একটি পরিত্যক্ত ভবন ইতিমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে এবং নতুন ভবনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে ভবন নির্মাণে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুর ঝুঁকি ও পরিবেশ দূষণ এড়াতে জেলা প্রশাসক ‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় হাসপাতালের খালি জায়গায় বাগান তৈরি করে দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সেবার মান উন্নয়ন অপরিহার্য। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রতি মাসে লক্ষাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন তাদের সেবা মান উন্নত করাই এখন মূল লক্ষ্য।তিনি আরও বলেন, আগামী রবিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে মেশিনগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে মানসম্মত সেবা দেওয়া। সরকারি হাসপাতালেও মানুষ যেন নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও আন্তরিক চিকিৎসা পায়, সেটিই নিশ্চিত করতে চাই।ডিসি জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের সব উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ তখনই সফল হবে, যখন আপনাদের সেবার মানসিকতা থাকবে। রোগীর প্রতি মনোযোগ, আন্তরিকতা ও সহানুভূতিই একজন চিকিৎসকের আসল পরিচয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. তারিকুল ইসলাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।সবশেষে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা চাই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালটি একদিন ‘মডেল সরকারি হাসপাতাল’ হিসেবে পরিচিত হোক। এটি কেবল যন্ত্র হস্তান্তরের অনুষ্ঠান নয়—এটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতীক।এই উদ্যোগকে অনেকেই নারায়ণগঞ্জে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাস্তব পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তিন তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের মাধ্যমে আয়োজন করেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এখন সমগ্র দেশবাসী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে চায়, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।গিয়াসউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি এই দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি, যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই জাতিকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নেতৃত্ব দেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আদর্শ ও দর্শনই আজও আমাদের পথপ্রদর্শক।”তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করে প্রমাণ করেছেন যে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ, জনবান্ধব এবং উন্নয়নমুখী একটি দল। গণতন্ত্র রক্ষায় ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তারেক রহমান বিদেশে থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন, ষড়যন্ত্র ও নিপীড়ন মোকাবিলা করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেছেন।”গিয়াসউদ্দিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “দেশের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তারা জানে—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন হবে, গণতন্ত্র ফিরবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ বিএনপির রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, রয়েছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা। জনগণ আজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।”তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এ দেশে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণের শক্তিই আমাদের মূল শক্তি, সেই শক্তিকে সংগঠিত করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী এবং সঞ্চালনা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, মোস্তফা কামাল, সেলিম মাহমুদ, ডিএইচ বাবুল, এডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডা. মাসুদ করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব কায়সার রিফাত, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, সহ-সভাপতি কাজী শাকিল, মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা একে হিরা, শাহাদাৎ হোসেন রনি, যুবদল নেতা জাকির হোসেন ও রোমান প্রমুখ।পথসভা শেষে এলাকাজুড়ে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশ নেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার মাধ্যমে তারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে এই পথসভা ও গণসংযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি আরও স্পষ্ট হলো।ভোরের আকাশ//হ.র