ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:০৭ পিএম
ছবি : ভোরের আকাশ
আর মাত্র চার মাস পরই হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে চলছে নির্বাচনী ঢামাডোল। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠাতব্য বহুল প্রতীক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের মাঠে জোটসহ তিনশ আসনের নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে বড় ধরনের চমক রয়েছে দলটির।
তরুণ ভোটার আকর্ষণে অনেক আসনেই প্রাধান্য পাচ্ছে তরুণ প্রার্থী। তরুণদের এগিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীরা তারেক রহমানের বিশেষ নজর পেতে যোগাযোগ করছেন। তুলে ধরছেন বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ। এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী। সংসদীয় আসন ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন তরুণ নেতা আবু সাঈদ জনী।
টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পুরো সময়ে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষা জীবন শেষে ঢাকার রাজপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব এর ব্যানারে প্রায় ১ যুগের বেশী সময় আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
এমনকি জেটেব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র কাউন্সিলে দ্বিত্বীয় বারের মত সিনিয়র সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে কয়েকবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হন। ২০১৪-এর পরবর্তী সময়ে হরতাল অবরোধে ছাত্রনেতা জনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হরতাল অবরোধ পালিত হয়েছিল। সেই সময়ে যারা কারাগারে ছিলো তাদেরকে কারাগারে ও তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তা করেছিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৭ কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করেছেন নিরলসভাবে। বিভিন্ন দুর্যোগ এর সময় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, হত দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ ও পূজায় উপহার প্রদান ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির উন্নয়নে সহযোগিতা করেন। এই সহযোগিতা ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বনায়ন, অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ সহ সামাজিক বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন জনি ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফা নিয়ে ২৭ কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনের মানুষদের দ্বারে-দ্বারে গেছেন জনি। মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ৩১ দফা।দীর্ঘকয়েক বছর ধরে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করায় সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পান জনি। সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেই দাবি উঠেছে আগামী নির্বাচনের ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী যেন ধানের শীর্ষ প্রতীক পায়। সাধারণ মানুষের মনে ঠাঁই পাওয়া জাতীয়তাবাদী সৈনিক জনিকে স্বপ্ন দেখছেন তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী ভোরের আকাশকে বলেন,আমি জাতীয়তাবাদের একজন সৈনিক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবনেই বিএনপির রাজনীতি শুরু করি।
গত ১৯৯৯ সাল ছাত্রদল দিয়ে রাজনীতির যাত্রা হয় আমার। রাজনীতির উত্থান-পতনে আমার ঠিকানা শুধু জিয়া পরিবার। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর একটানা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। জেল খেটেছি, রিমান্ডে গিয়েছি, গুমের হুমকি পেয়েছি, মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি, এতে ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবুও দলের কর্মসূচি কর্মকাণ্ড ও এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম সর্বক্ষণ।
এখন এলাকার মানুষে চায় আমি যেন আগামী নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাই। এই জনদাবি তো আমি উপেক্ষা করতে পারি না। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আবু সাঈদ জনী বলেন, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশিত কর্মসূচি ও রাজপথে সক্রিয় থেকে যে কাজ করেছি তার সঠিক মূল্যায়ন করলে আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস করি। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো বলেছেন, তরুণদের মূল্যায়ন করবেন। তাহলে আমি ধানের শীষ পাবো।
ভোরের আকাশ/মো.আ.