ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হল সংসদের নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ৬টি হলেই ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রীসংস্থার নেতাকর্মীরা। ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে তারা নির্বাচনে অংশ নেন।
ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এসব হলের ফল ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা হাফছা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! ছাত্রীদের ছয়টি হলেই ছাত্রীসংস্থার প্রার্থী ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। আল্লাহ সবার দায়িত্ব পালনকে সহজ করুন।’
এদিকে ছাত্রদের ১১টি হলেও শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন।
এছড়া কেন্দ্রীয় সংসদে ২৩টি পদে ২০টি পদে জয়ী শিবির প্যানেল। ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি। একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।
এদিকে জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।
এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ভোট।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হল সংসদের নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ৬টি হলেই ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রীসংস্থার নেতাকর্মীরা। ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে তারা নির্বাচনে অংশ নেন।ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এসব হলের ফল ঘোষণা করা হয়।এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা হাফছা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! ছাত্রীদের ছয়টি হলেই ছাত্রীসংস্থার প্রার্থী ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। আল্লাহ সবার দায়িত্ব পালনকে সহজ করুন।’এদিকে ছাত্রদের ১১টি হলেও শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন।এছড়া কেন্দ্রীয় সংসদে ২৩টি পদে ২০টি পদে জয়ী শিবির প্যানেল। ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি। একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।এদিকে জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ভোট।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেছেন, আমাদের বিজয়ের পেছনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকাই সব। যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের অনুরোধ করবো, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে রাকসুর ফলাফল ঘোষণা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, যারা পরাজিত তারাও আমাদের সহযোদ্ধা। তাদের লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে। তাদের প্রতি আমাদের নবনির্বাচিতদের শ্রদ্ধা। আমরা চাইবো, তারা সবসময় আমাদেরকে সহযোগিতা করুক। সবার ইশতেহারগুলো এক করে সমন্বয় করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো।তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রত্যেকটি দল আমরা রাকসুর জন্য আন্দোলন করেছি। নানা ষড়যন্ত্রের পর রাকসু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। এই সফলতার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কৃতজ্ঞতা জানাই।নবনির্বাচিত রাকসুর জিএস সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমার ম্যান্ডেট শিক্ষার্থী, সুতরাং তাদের জন্যই আমি কাজ করবো। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটা গ্রাউন্ড থাকবে তবে শিক্ষার্থীরাই আমার কাছে সব।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। ইংরেজিসহ ৩টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। যারা ফল ভালো করেননি তাদের ফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ আছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রতি বিষয়ে ফি লাগবে ১৫০ টাকা।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুধু অনলাইন মাধ্যমেই গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি আবেদন করা যাবে না।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বোর্ড নির্বাচন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে ফি প্রযোজ্য হবে। এরপর আবেদনকারীকে একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যেখানে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর এসএমএস পাঠানো হবে।পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ফল দেখতে পারবেন। এক বা একাধিক বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য বিষয় নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয় পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রদেয় ফি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট বা টেলিটক মোবাইল সিমের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ফি পরিশোধের বিস্তারিত ধাপ ওয়েবসাইটের ‘হেল্প’ বাটনে পাওয়া যাবে।ফি পরিশোধের পর আবেদন জমা দিতে হবে ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে। প্রয়োজনে ফি দেওয়ার আগে আবেদন পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা যাবে ‘মুছে ফেলুন’ অপশন ব্যবহার করে। তবে একবার ফি পরিশোধের পর আবেদন বাতিল বা সংশোধন করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরৎ দেওয়া হবে না।এর আগে ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে বা মোবাইল ফোন থেকে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফলাফল জানতে পারেন।চলতি বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সারাদেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল সবচেয়ে বেশি– ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন। এরপর রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।এ ছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।এতে রাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি ভোট।একই পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।এদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১১ হাজার ৪৯৭টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, আর ফাহিম রেজাও একই সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক।সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি ভোট, যেখানে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি।রাকসু নির্বাচনে ২৩ পদে মোট ২৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০টি প্যানেল থেকে। এ ছাড়া ১৭টি হলে হল সংসদের ১৫ পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়েন।রাকসুর ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১, যার মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।ভোরের আকাশ/মো.আ.