ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তারা জানায়, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেটের ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যনন্ত নগরীর লালদিঘীরপাড়, পুলিশ লাইন, ভাতালিয়া, পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আ/এ, ভাঙ্গাটিকর, কুয়ারপাড়, ইঙ্গুলাল রোড, লামাবাজার, বিলপাড়, শেখঘাট সরকারী কলোনি, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজল শাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইন, দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, মধুশহীদ, রিকাবীবাজার, উদ্যম আ/এ, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আ/এ, নবাব রোড, বর্নমালা পয়েন্ট, মনিপুরি বস্তি, সাগরদিঘীরপাড়, সুরমা আ/এ, প্রেসক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।ওই দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওয়তাধীন ১১ কেভি এমসি কলেজ ফিডারের শাহমীর মসজিদ ও আব্দুল মতিন ট্রেডার্স সংলগ্ন এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের-১ এর প্রকৌশলী গ্রাহকদের দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগীতা চেয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সাথে গতকালের আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার পরিবর্তন করা হয়েছে৷এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।এসময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন। এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ভোরের আকাশ/মো.আ.
সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।তারা জানায়, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেটের ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যনন্ত নগরীর লালদিঘীরপাড়, পুলিশ লাইন, ভাতালিয়া, পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আ/এ, ভাঙ্গাটিকর, কুয়ারপাড়, ইঙ্গুলাল রোড, লামাবাজার, বিলপাড়, শেখঘাট সরকারী কলোনি, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজল শাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইন, দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, মধুশহীদ, রিকাবীবাজার, উদ্যম আ/এ, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আ/এ, নবাব রোড, বর্নমালা পয়েন্ট, মনিপুরি বস্তি, সাগরদিঘীরপাড়, সুরমা আ/এ, প্রেসক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।ওই দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওয়তাধীন ১১ কেভি এমসি কলেজ ফিডারের শাহমীর মসজিদ ও আব্দুল মতিন ট্রেডার্স সংলগ্ন এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের-১ এর প্রকৌশলী গ্রাহকদের দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগীতা চেয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থলে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে৷ গেট ভেঙে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন তারা।এরপর সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাদের বের করে দেওয়ার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও লাঠি হাতে ধাওয়া দেন পুলিশ ও এবিপিএনের সদস্যরা।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলমান৷ সংসদ ভবন এলাকায় সরেজমিনে এসব চিত্র দেখা গেছে।এর আগে সকাল ১০টার পরে জুলাই যোদ্ধারা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে চায়৷ তবে তারা এতে রাজি হয় না। এরপর মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। বের হওয়ার পরে জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের ওপর চরাও হয়। খেজুরবাগার এলাকায় রাখা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ এরপর এমপি হোস্টেলের সামনে কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশকিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভকারী জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করে ফার্মফেট ও ধানমন্ডি আড়ংয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় উভয়পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।